আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের হুমকি: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তির পথে উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের হুমকি। তিনি বলেছেন, পিয়ংইয়ং তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি। কেবল সিউলের জন্যই নয়, গোটা অঞ্চলের জন্যই পিয়ংইয়ং হুমকি। তিনি এ অঞ্চলে ওয়াশিংটনের মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে পরমাণু ছত্রচ্ছায়ায় রক্ষা করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। খবর এএফপির।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বার্ষিক নিরাপত্তা-বিষয়ক এক সভায় রবার্ট গেটস এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
গেটস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় আমি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’ তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।
উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ সেনা সদস্যের বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাড়ে ছয় লাখ সেনা সদস্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে এ অঞ্চলে ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ি-ইয়ুং বলেছেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেও বাস্তবে এর কোনো লক্ষণ নেই।
গতকাল বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে রবার্ট গেটস ও কিম তায়ি-ইয়ুং বলেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে পিয়ংইয়ং স্পষ্টত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশ্বে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে।
এর আগে গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি একেবারে বন্ধ করার পদক্ষেপ নিলেই কেবল পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। একই দিন সিউলে পৌঁছেই রবার্ট গেটস ঘোষণা দেন, ওবামা প্রশাসন কখনোই পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়াকে মেনে নেবে না।
পরমাণু ইস্যু নিয়ে কয়েক মাসের উত্তেজনা শেষে উত্তর কোরিয়া গত আগস্টে ফের ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহেও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় এ প্রক্রিয়া আবারও থমকে গেল।
গত এপ্রিলে ছয় জাতি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তত্পরতায় পিয়ংইয়ং সম্প্রতি আবার আলোচনায় বসতে রাজি হয়। তবে ছয় জাতি আলোচনায় বসার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসে দুই দেশের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের উন্নতি চায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বার্ষিক নিরাপত্তা-বিষয়ক এক সভায় রবার্ট গেটস এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
গেটস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় আমি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’ তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।
উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ সেনা সদস্যের বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাড়ে ছয় লাখ সেনা সদস্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে এ অঞ্চলে ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ি-ইয়ুং বলেছেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেও বাস্তবে এর কোনো লক্ষণ নেই।
গতকাল বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে রবার্ট গেটস ও কিম তায়ি-ইয়ুং বলেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে পিয়ংইয়ং স্পষ্টত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশ্বে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে।
এর আগে গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি একেবারে বন্ধ করার পদক্ষেপ নিলেই কেবল পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। একই দিন সিউলে পৌঁছেই রবার্ট গেটস ঘোষণা দেন, ওবামা প্রশাসন কখনোই পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়াকে মেনে নেবে না।
পরমাণু ইস্যু নিয়ে কয়েক মাসের উত্তেজনা শেষে উত্তর কোরিয়া গত আগস্টে ফের ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহেও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় এ প্রক্রিয়া আবারও থমকে গেল।
গত এপ্রিলে ছয় জাতি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তত্পরতায় পিয়ংইয়ং সম্প্রতি আবার আলোচনায় বসতে রাজি হয়। তবে ছয় জাতি আলোচনায় বসার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসে দুই দেশের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের উন্নতি চায়।
No comments