পশ্চিমবঙ্গে ২৩ মাওবাদীর মুক্তির বিনিময়ে ছাড়া পেলেন অপহূত ওসি
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ জনকে। এর মধ্যে ১৪ জন নারী ও নয়জন পুরুষ। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল লালগড় থেকে। ওই খবর নিশ্চিত হওয়ার পর মাওবাদীরা সাঁকরাইল থানার অপহূত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ছেড়ে দিয়েছে। মাওবাদীদের নেতা কিষানজি সংবাদমাধ্যমকে গতকাল ফোন করে এ কথা বলেছেন। এর আগে মাওবাদী ওই নেতা বলেছিলেন, সরকার কারাবন্দী মাওবাদীদের ছেড়ে দিলেই ওসিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানা থেকে কয়েক দিন আগে ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্তকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। এরপর কিষানজি টেলিফোনে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরাই সাঁকরাইল থানা আক্রমণ করে লুট করেছেন পুলিশের অস্ত্র।
ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্তকে মুক্ত করার জন্য গতকাল সকালে যৌথ বাহিনী জঙ্গলমহলের পূর্ণপানি এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই কিষানজি টেলিফোনে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার যদি ওই অভিযান বন্ধ না করে, তবে মেরে ফেলা হবে ওসিকে। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওসিকে মুক্ত করতে হলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ মাওবাদীকে মুক্তি দিতে হবে।
কিষানজির ওই টেলিফোন পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বন্ধ করে দেয় যৌথ বাহিনীর অভিযান। একই সঙ্গে মেদিনীপুরের জেলা দায়রা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় মাওবাদী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সাঁকরাইল থানা আক্রমণ করে মাওবাদীরা ছিনিয়ে নেয় পুলিশের সব অস্ত্র। তারা থানা লুট করার পর পাশের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি শাখায় হামলা চালিয়ে লুট করে নেয় ব্যাংকের নয় লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং অস্ত্র। এ সময় খুন করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে। একই সময় থানার ওসিকে অপহরণ করে তারা। এই মাওবাদীরাই দুই মাস আগে ছাব্বির হোসেন ও কাঞ্চন গড়াই নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে। তাঁদের আজও ছেড়ে দেয়নি তারা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানা থেকে কয়েক দিন আগে ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্তকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। এরপর কিষানজি টেলিফোনে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরাই সাঁকরাইল থানা আক্রমণ করে লুট করেছেন পুলিশের অস্ত্র।
ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্তকে মুক্ত করার জন্য গতকাল সকালে যৌথ বাহিনী জঙ্গলমহলের পূর্ণপানি এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই কিষানজি টেলিফোনে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার যদি ওই অভিযান বন্ধ না করে, তবে মেরে ফেলা হবে ওসিকে। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ওসিকে মুক্ত করতে হলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ মাওবাদীকে মুক্তি দিতে হবে।
কিষানজির ওই টেলিফোন পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বন্ধ করে দেয় যৌথ বাহিনীর অভিযান। একই সঙ্গে মেদিনীপুরের জেলা দায়রা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় মাওবাদী সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সাঁকরাইল থানা আক্রমণ করে মাওবাদীরা ছিনিয়ে নেয় পুলিশের সব অস্ত্র। তারা থানা লুট করার পর পাশের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি শাখায় হামলা চালিয়ে লুট করে নেয় ব্যাংকের নয় লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং অস্ত্র। এ সময় খুন করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে। একই সময় থানার ওসিকে অপহরণ করে তারা। এই মাওবাদীরাই দুই মাস আগে ছাব্বির হোসেন ও কাঞ্চন গড়াই নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে। তাঁদের আজও ছেড়ে দেয়নি তারা।
No comments