আগামী তিন বছরে বিশ্বব্যাংক ২১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেবে
আগামী তিন বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩০০ কোটি ডলার বা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দেবে।
এ বছর ডিসেম্বর মাসে ২০০৬-০৯ সময়কালের জন্য দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের (ক্যাস) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই সময়কালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দিয়েছে ২৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংক এখন নতুন দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের কাজ করছে। তবে চূড়ান্ত কৌশলপত্র প্রস্তুত হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট এল ফ্লয়েড বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুশাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া—এগুলোর ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যত্ সহায়তা কৌশলপত্র তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাসের কৌশলপত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বব্যাংক তার নতুন সহায়তা কৌশল তৈরি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে অর্থনৈতিক হালনাগাদ পরিস্থিতির ওপর এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া ও সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্জয় কাঠুরিয়া বলেছেন, বিশ্বমন্দার কারণে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কিছুটা কমে গেছে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১১ শতাংশ দারিদ্র্য কমবে। কিন্তু বিশ্বমন্দার কারণে এই হার ৯ শতাংশ হতে পারে।
সঞ্জয় কাঠুরিয়া আরও বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তবে এই প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।
জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মজবুত অবস্থায় আছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে দুর্বলতা আছে।
জাহিদ হোসেন বলেন, তিন বছর ধরে বিনিয়োগ মোট দেশজ উত্পাদনের ২৪ দশমিক ২০ শতাংশে আটকে আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দীর্ঘদিন সেটা থাকবে, তা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, ভারতে এ বছর খরার কারণে এবং অন্যান্য খাদ্য উত্পাদনকারী দেশগুলোতেও উত্পাদন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক পণ্য বাজারে কিছুটা অস্থিরতা আছে। ইতিমধ্যেই চিনির বাজারে তার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি পাঁচ শতাংশের ওপরে থাকলেও গত চার বছর ধরে এটা নিম্নমুখী একটা অবস্থায় আছে। অর্থাত্ প্রতিবছরেই কিছুটা কমছে। এটাকে বাড়াতে হলে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ দুটোই বাড়াতে হবে।
এ বছর ডিসেম্বর মাসে ২০০৬-০৯ সময়কালের জন্য দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের (ক্যাস) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই সময়কালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দিয়েছে ২৬০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংক এখন নতুন দেশভিত্তিক সহায়তা কৌশলের কাজ করছে। তবে চূড়ান্ত কৌশলপত্র প্রস্তুত হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট এল ফ্লয়েড বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুশাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া—এগুলোর ওপর জোর দিয়ে ভবিষ্যত্ সহায়তা কৌশলপত্র তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাসের কৌশলপত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বব্যাংক তার নতুন সহায়তা কৌশল তৈরি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে অর্থনৈতিক হালনাগাদ পরিস্থিতির ওপর এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া ও সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্জয় কাঠুরিয়া বলেছেন, বিশ্বমন্দার কারণে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কিছুটা কমে গেছে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১১ শতাংশ দারিদ্র্য কমবে। কিন্তু বিশ্বমন্দার কারণে এই হার ৯ শতাংশ হতে পারে।
সঞ্জয় কাঠুরিয়া আরও বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তবে এই প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।
জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মজবুত অবস্থায় আছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে দুর্বলতা আছে।
জাহিদ হোসেন বলেন, তিন বছর ধরে বিনিয়োগ মোট দেশজ উত্পাদনের ২৪ দশমিক ২০ শতাংশে আটকে আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দীর্ঘদিন সেটা থাকবে, তা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, ভারতে এ বছর খরার কারণে এবং অন্যান্য খাদ্য উত্পাদনকারী দেশগুলোতেও উত্পাদন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক পণ্য বাজারে কিছুটা অস্থিরতা আছে। ইতিমধ্যেই চিনির বাজারে তার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি পাঁচ শতাংশের ওপরে থাকলেও গত চার বছর ধরে এটা নিম্নমুখী একটা অবস্থায় আছে। অর্থাত্ প্রতিবছরেই কিছুটা কমছে। এটাকে বাড়াতে হলে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ দুটোই বাড়াতে হবে।
No comments