অনুতপ্ত নন ম্যারাডোনা
দিন সাতেক পেরিয়ে গেছে। থিতিয়ে এসেছে উত্তেজনা। পেছন ফিরে তাকালে নিশ্চয়ই কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ হয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার? উরুগুয়ে ম্যাচের পর যেভাবে হামলে পড়েছিলেন সাংবাদিকদের ওপর, অশোভন আচরণ আর গালিগালাজের কারণে সেপ ব্ল্যাটার থেকে শুরু করে ইয়োহান ক্রুইফ পর্যন্ত সমালোচনা করেছেন। মাথার ওপর ঝুলছে ফিফা নিষেধাজ্ঞার খড়্গ।
কিন্তু না, ম্যারডোনা এখনো অটল। পরশু ক্যানাল সেভেন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘আমি নারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু তাদের কাছে চাইনি, যারা ফুটবল নিয়ে টেলিভিশনে কথা বলে। যা বলেছি তার জন্য আমি অনুতপ্ত নই। বিশ্বকাপে উঠে যাওয়ার পর আমি যা বলার বলেছি। প্রত্যেকেই দোষ করেছে।’
কেন অনুতপ্ত নন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। বলেছেন, বিশ্বকাপে তাঁর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অন্যায় সমালোচনা করা হয়েছে। যাঁরা নানা রকম মন্তব্য করেছিল তাদের অনেকেরই ফুটবলের কৌশল সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই। সেদিনের আচরণ তাঁকে আদর্শ মানে এমন তরুণ প্রজন্মের কাছে নেতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকল—এই সমালোচনার জবাবে ম্যারাডোনার বক্তব্য, ‘আমি এমন এক সময় কথাগুলো বলেছি যখন ছোটরা টিভি দেখে না।’
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগায় ফুটবল-পাগল পুরো দেশ যেন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। সেই উত্তাপের আগুনে ঘি ঢেলেছে সংবাদমাধ্যম। ম্যারাডোনা তাই বলছেন, ‘আমরা যদি বিশ্বকাপের বাইরে ছিটকে পড়তাম তাহলে হয়তো আমাকে হাইতিতে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে হতো... আর্জেন্টিনায় প্রথম যে মানুষটিকে গুলি করা হতো সেটি হতো ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।’
গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোট ১৩ ম্যাচে ৭০ জনের বেশি খেলোয়াড়কে ডেকেছেন ম্যারাডোনা। এ নিয়েও সমালোচনা সইতে হয়েছে তাঁকে। ম্যারাডোনার বক্তব্য, অনেকেরই বাজে ফর্ম আর কৌশলগত কারণে তাঁদের বাদ দিয়ে নতুনদের ডাকতে হয়েছে, ‘পেরু ও উরুগুয়ের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচগুলো ছিল ভাগ্য নির্ধারণী। আর্জেন্টাইন দলগুলোর অনেক খেলোয়াড় আমাদের তা পার করে দিয়েছে।’
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল। আর ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে দলকে তুলে নিয়েছেন তারই প্রতিশোধ, “আমি জানতাম আমি প্রতিশোধ নেবই। আর তাই বিশ্বকাপে যাওয়ার পর আমি (সাংবাদিকদের) বলেছিলাম, ‘তোমরা ভুল বলেছিলে’।”
এখন আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না ম্যারাডোনা। দলকে গুছিয়ে আনাই তাঁর মূল কাজ। আট মাসের মতো সময় আছে হাতে। এরই মধ্যে দলকে সুসংঘবদ্ধ করতে চান। কথা বলতে চান হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন, হাভিয়ের মাচেরানো, গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ আর লিওনেল মেসিদের মতো দলের শীর্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। কথা বলবেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুলিও গ্রন্ডোনার সঙ্গেও।
সবার প্রতি ম্যারাডোনার আহ্বান, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফকে দেখাতে হবে আমরা বিশ্বকাপের চাপ নিতে সক্ষম, যেটা সহজ নয়। একসঙ্গে থাকার, ইনজুরির চাপ সামলাতে হবে। আমাদের একটা দল গড়ে তুলতে হবে, যারা সবাই একে অন্যকে সাহায্য করবে।’
এদিকে লিওনেল মেসির পড়তি ফর্ম নিয়ে শোরগোল উঠে গেছে বার্সেলোনা শিবিরেও। লিগের প্রথম ৫ ম্যাচে ৫ গোল করা মেসির দ্যুতি হারিয়ে ফেলার জন্য স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ম্যারাডোনাকেই দায়ী করছে। স্পেনের একটি পত্রিকা লিখেছে, ‘ম্যারাডোনা মেসির সব ঝলকানি শুষে নিয়ে তাঁকে প্রতিভাশূন্য বানিয়ে ছেড়েছে।’ স্পেনের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক মার্কা লিখেছে, ‘মেসিকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন তাঁর গতি আর ড্রিবলিং করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, যে দুটোই তাঁর মূল শক্তি।’
কিন্তু না, ম্যারডোনা এখনো অটল। পরশু ক্যানাল সেভেন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘আমি নারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু তাদের কাছে চাইনি, যারা ফুটবল নিয়ে টেলিভিশনে কথা বলে। যা বলেছি তার জন্য আমি অনুতপ্ত নই। বিশ্বকাপে উঠে যাওয়ার পর আমি যা বলার বলেছি। প্রত্যেকেই দোষ করেছে।’
কেন অনুতপ্ত নন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। বলেছেন, বিশ্বকাপে তাঁর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অন্যায় সমালোচনা করা হয়েছে। যাঁরা নানা রকম মন্তব্য করেছিল তাদের অনেকেরই ফুটবলের কৌশল সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই। সেদিনের আচরণ তাঁকে আদর্শ মানে এমন তরুণ প্রজন্মের কাছে নেতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকল—এই সমালোচনার জবাবে ম্যারাডোনার বক্তব্য, ‘আমি এমন এক সময় কথাগুলো বলেছি যখন ছোটরা টিভি দেখে না।’
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগায় ফুটবল-পাগল পুরো দেশ যেন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। সেই উত্তাপের আগুনে ঘি ঢেলেছে সংবাদমাধ্যম। ম্যারাডোনা তাই বলছেন, ‘আমরা যদি বিশ্বকাপের বাইরে ছিটকে পড়তাম তাহলে হয়তো আমাকে হাইতিতে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে হতো... আর্জেন্টিনায় প্রথম যে মানুষটিকে গুলি করা হতো সেটি হতো ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।’
গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোট ১৩ ম্যাচে ৭০ জনের বেশি খেলোয়াড়কে ডেকেছেন ম্যারাডোনা। এ নিয়েও সমালোচনা সইতে হয়েছে তাঁকে। ম্যারাডোনার বক্তব্য, অনেকেরই বাজে ফর্ম আর কৌশলগত কারণে তাঁদের বাদ দিয়ে নতুনদের ডাকতে হয়েছে, ‘পেরু ও উরুগুয়ের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচগুলো ছিল ভাগ্য নির্ধারণী। আর্জেন্টাইন দলগুলোর অনেক খেলোয়াড় আমাদের তা পার করে দিয়েছে।’
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল। আর ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে দলকে তুলে নিয়েছেন তারই প্রতিশোধ, “আমি জানতাম আমি প্রতিশোধ নেবই। আর তাই বিশ্বকাপে যাওয়ার পর আমি (সাংবাদিকদের) বলেছিলাম, ‘তোমরা ভুল বলেছিলে’।”
এখন আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না ম্যারাডোনা। দলকে গুছিয়ে আনাই তাঁর মূল কাজ। আট মাসের মতো সময় আছে হাতে। এরই মধ্যে দলকে সুসংঘবদ্ধ করতে চান। কথা বলতে চান হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন, হাভিয়ের মাচেরানো, গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ আর লিওনেল মেসিদের মতো দলের শীর্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। কথা বলবেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুলিও গ্রন্ডোনার সঙ্গেও।
সবার প্রতি ম্যারাডোনার আহ্বান, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফকে দেখাতে হবে আমরা বিশ্বকাপের চাপ নিতে সক্ষম, যেটা সহজ নয়। একসঙ্গে থাকার, ইনজুরির চাপ সামলাতে হবে। আমাদের একটা দল গড়ে তুলতে হবে, যারা সবাই একে অন্যকে সাহায্য করবে।’
এদিকে লিওনেল মেসির পড়তি ফর্ম নিয়ে শোরগোল উঠে গেছে বার্সেলোনা শিবিরেও। লিগের প্রথম ৫ ম্যাচে ৫ গোল করা মেসির দ্যুতি হারিয়ে ফেলার জন্য স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ম্যারাডোনাকেই দায়ী করছে। স্পেনের একটি পত্রিকা লিখেছে, ‘ম্যারাডোনা মেসির সব ঝলকানি শুষে নিয়ে তাঁকে প্রতিভাশূন্য বানিয়ে ছেড়েছে।’ স্পেনের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক মার্কা লিখেছে, ‘মেসিকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন তাঁর গতি আর ড্রিবলিং করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, যে দুটোই তাঁর মূল শক্তি।’
No comments