ম্যাচ বাড়ছে বাংলাদেশ লিগে
লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে আবাহনী অধিনায়ক বিপ্লব |
প্রথম দুটি পেশাদার ফুটবল লিগে ১১ দলের ম্যাচ ছিল ১১০টি। পরশু শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় পেশাদার লিগে ১৩ দল ম্যাচ খেলবে ১৫৬টি।
শুধু ৪৬টি ম্যাচ বাড়ছে না, লিগে এসেছে অনেক পরিবর্তন। বি-লিগের জায়গায় নতুন নাম ‘বাংলাদেশ লিগ’। ভারতে ‘আই লিগ’ মানে ইন্ডিয়া লিগ। কিন্তু বি-লিগ নামে শুরু হওয়া বাংলাদেশের পেশাদার লিগ নিয়ে বাফুফে সভাপতি বিদেশে প্রায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন করতেন, ‘তাহলে এ-লিগ কোনটা?’ এই বিড়ম্বনা এড়াতেই বাংলাদেশ লিগ নামকরণ।
লোগোতেও তাই পরিবর্তনটা অনিবার্য ছিল। তবে পরিবর্তন অতিসামান্য, বি-লিগের জায়গায় বাংলাদেশ লিগ কথাটা লেখা হয়েছে লোগোর মাঝখানে। কাল রাজধানীর একটি হোটেলে উন্মোচন করা হলো এই লোগো।
১৩টি দলের একজন করে খেলোয়াড় বা প্রতিনিধিকে নিয়ে ফ্যাশন শোর আয়োজন ছিল এতে। প্রথম দুটি পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল আবাহনীর হয়ে অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য ক্যাটওয়াকে অংশ নিয়েছেন। রানার্সআপ মোহামেডানের কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। অগত্যা দলটির সাবেক খেলোয়াড় ও বর্তমান দলের সঙ্গে যুক্ত ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবকে ধরে এনে পরিয়ে দেওয়া হলো সাদা-কালো জার্সি। বাকি দলগুলোর জার্সি গায়ে বর্তমান খেলোয়াড়েরা এলেও সমন্বয়হীনতা ছড়িয়ে ছিল গোটা অনুষ্ঠানেই।
উপস্থাপিকা লিগটাকে দুবার ‘টুর্নামেন্ট’ বললেন। আরামবাগকে বললেন ‘আরামগঞ্জ’! উপস্থাপিকাকে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যদি থাকে আয়োজকদের, সে দায়িত্ব পালনে বাফুফে ছিল উদাসীন।
লোগো উন্মোচন না করে সবাইকে অবাক করে গান গাওয়ার জন্য কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদারকে মঞ্চে তুলে দেওয়া হলো। লোগো উন্মোচন করা হলো দুটি গানের পর, তাও প্রতিবাদ ওঠায়। পৃষ্ঠপোষক সিটিসেল প্রতিনিধি সৈয়দ তানজীন হক, বাপ্পা মজুমদার ও অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাকে সঙ্গে নিয়ে এটি উদ্বোধন করেন বি-লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।
অনুষ্ঠানে একমাত্র বক্তা হিসেবে সালামের মুখে ছিল আশাবাদ, বাংলাদেশ লিগ জমজমাট হবে এবং ক্লাবগুলোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে। তবে একটা সমস্যার কথাও তুলে ধরলেন তিনি, ‘আন্তর্জাতিক খেলা থাকায় এবারের লিগটা বাধাগ্রস্ত হবে।’
এবার নতুন দল তিনটি। গতবারের দলগুলোর অবস্থান তো জানাই, নতুন দলগুলোর মধ্যে ক্লাব কাপে চ্যাম্পিয়ন নারায়ণগঞ্জ শুকতারা ১১তম, রানার্সআপ ফেনী সকার ১২তম এবং সিলেট বিয়ানীবাজার ১৩তম। নবাগত দলগুলোর হোম ভেন্যু তাদের জেলা স্টেডিয়াম। এর ফলে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পাঁচটি ভেন্যুতে খেলা হবে এই লিগ। মোটকথা, ভেন্যু বেড়েছে দুটি। প্রথম দুবার খুলনায় খেলা হয়েছিল, অবনমিত হওয়ায় তৃতীয় আসরে খুলনা নেই।
এবার ২৫ জনের জায়গায় প্রতিটি দল নিতে পারবে ২৭ জন খেলোয়াড়। বিদেশি খেলোয়াড় কোটা পাঁচজনই, এক ম্যাচে খেলতে পারবেন তিনজন। আগামীকাল পর্যন্ত বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে।
পরশু প্রথম দিনে আবাহনী-বিয়ানীবাজার ম্যাচ। পরদিন মোহামেডান-ফেনী সকার। ২৭ অক্টোবর শেখ রাসেল-শুকতারা। ২৮ অক্টোবর ব্রাদার্স-মুক্তিযোদ্ধা, ২৯ তারিখ চট্টগ্রাম মোহামেডান-আরামবাগ ও ফরাশগঞ্জ-চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রাম মোহামেডানের ম্যাচটা চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে। বাকি সব ম্যাচ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, শুরু বিকেল সাড়ে ৫টায়।
শুধু ৪৬টি ম্যাচ বাড়ছে না, লিগে এসেছে অনেক পরিবর্তন। বি-লিগের জায়গায় নতুন নাম ‘বাংলাদেশ লিগ’। ভারতে ‘আই লিগ’ মানে ইন্ডিয়া লিগ। কিন্তু বি-লিগ নামে শুরু হওয়া বাংলাদেশের পেশাদার লিগ নিয়ে বাফুফে সভাপতি বিদেশে প্রায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন করতেন, ‘তাহলে এ-লিগ কোনটা?’ এই বিড়ম্বনা এড়াতেই বাংলাদেশ লিগ নামকরণ।
লোগোতেও তাই পরিবর্তনটা অনিবার্য ছিল। তবে পরিবর্তন অতিসামান্য, বি-লিগের জায়গায় বাংলাদেশ লিগ কথাটা লেখা হয়েছে লোগোর মাঝখানে। কাল রাজধানীর একটি হোটেলে উন্মোচন করা হলো এই লোগো।
১৩টি দলের একজন করে খেলোয়াড় বা প্রতিনিধিকে নিয়ে ফ্যাশন শোর আয়োজন ছিল এতে। প্রথম দুটি পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল আবাহনীর হয়ে অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য ক্যাটওয়াকে অংশ নিয়েছেন। রানার্সআপ মোহামেডানের কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। অগত্যা দলটির সাবেক খেলোয়াড় ও বর্তমান দলের সঙ্গে যুক্ত ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবকে ধরে এনে পরিয়ে দেওয়া হলো সাদা-কালো জার্সি। বাকি দলগুলোর জার্সি গায়ে বর্তমান খেলোয়াড়েরা এলেও সমন্বয়হীনতা ছড়িয়ে ছিল গোটা অনুষ্ঠানেই।
উপস্থাপিকা লিগটাকে দুবার ‘টুর্নামেন্ট’ বললেন। আরামবাগকে বললেন ‘আরামগঞ্জ’! উপস্থাপিকাকে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যদি থাকে আয়োজকদের, সে দায়িত্ব পালনে বাফুফে ছিল উদাসীন।
লোগো উন্মোচন না করে সবাইকে অবাক করে গান গাওয়ার জন্য কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদারকে মঞ্চে তুলে দেওয়া হলো। লোগো উন্মোচন করা হলো দুটি গানের পর, তাও প্রতিবাদ ওঠায়। পৃষ্ঠপোষক সিটিসেল প্রতিনিধি সৈয়দ তানজীন হক, বাপ্পা মজুমদার ও অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাকে সঙ্গে নিয়ে এটি উদ্বোধন করেন বি-লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।
অনুষ্ঠানে একমাত্র বক্তা হিসেবে সালামের মুখে ছিল আশাবাদ, বাংলাদেশ লিগ জমজমাট হবে এবং ক্লাবগুলোর জন্য আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে। তবে একটা সমস্যার কথাও তুলে ধরলেন তিনি, ‘আন্তর্জাতিক খেলা থাকায় এবারের লিগটা বাধাগ্রস্ত হবে।’
এবার নতুন দল তিনটি। গতবারের দলগুলোর অবস্থান তো জানাই, নতুন দলগুলোর মধ্যে ক্লাব কাপে চ্যাম্পিয়ন নারায়ণগঞ্জ শুকতারা ১১তম, রানার্সআপ ফেনী সকার ১২তম এবং সিলেট বিয়ানীবাজার ১৩তম। নবাগত দলগুলোর হোম ভেন্যু তাদের জেলা স্টেডিয়াম। এর ফলে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ পাঁচটি ভেন্যুতে খেলা হবে এই লিগ। মোটকথা, ভেন্যু বেড়েছে দুটি। প্রথম দুবার খুলনায় খেলা হয়েছিল, অবনমিত হওয়ায় তৃতীয় আসরে খুলনা নেই।
এবার ২৫ জনের জায়গায় প্রতিটি দল নিতে পারবে ২৭ জন খেলোয়াড়। বিদেশি খেলোয়াড় কোটা পাঁচজনই, এক ম্যাচে খেলতে পারবেন তিনজন। আগামীকাল পর্যন্ত বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে।
পরশু প্রথম দিনে আবাহনী-বিয়ানীবাজার ম্যাচ। পরদিন মোহামেডান-ফেনী সকার। ২৭ অক্টোবর শেখ রাসেল-শুকতারা। ২৮ অক্টোবর ব্রাদার্স-মুক্তিযোদ্ধা, ২৯ তারিখ চট্টগ্রাম মোহামেডান-আরামবাগ ও ফরাশগঞ্জ-চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রাম মোহামেডানের ম্যাচটা চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে। বাকি সব ম্যাচ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, শুরু বিকেল সাড়ে ৫টায়।
No comments