বিশ্ববাজারে আমাদের দেশের শুঁটকির কদর by আবুল কাসেম ভূঁইয়া
আমাদের
দেশে উত্পাদিত শুঁটকি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও বিশেষ স্থান দখল করে
নিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের লোকদের কাছে শুঁটকি অতি
প্রিয় খাবার হিসেবে সমাদৃত। শুধু বাংলাদেশের লোকের কাছেই শুঁটকি প্রিয়
খাবার নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছেও শুঁটকি প্রিয় খাবার। আমাদের
দেশের রপ্তানি পণ্য তালিকায় শুঁটকি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রাপ্ত তথ্য
থেকে জানা যায় আমাদের দেশে উত্পাদিত বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মধ্যপ্রাচ্য,
পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, হংকং, ভিয়েতনাম, মালেশিয়া,
শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বার্মাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের দেশ
থেকে শুঁটকি রপ্তানি শুরু হয় কয়েক দশক আগে থেকে। প্রাথমিক অবস্থায় স্বল্প
পরিমাণে শুঁটকি রপ্তানি হতো। এখন ব্যাপক পরিমাণে শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে। তবে
এসব শুঁটকি সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে রপ্তানি হয়ে থাকে। বেসরকারি উদ্যোগে
শুঁটকি রপ্তানি করতে গিয়ে রপ্তানিকারকদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বিদেশের বাজারে যে পরিমাণ শুঁটকির চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ শুঁটকি রপ্তানি
করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশে শুঁটকি রপ্তানিতে যদি সরাসরি সরকারি
পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যেত, তাহলে ব্যাপক ভিত্তিতে আমাদের দেশ থেকে শুঁটকি
রপ্তানি করা সম্ভব হতো।
আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, রাঙ্গাদিয়া, মহেশখালী, সোনাদিয়া, খুরুশকূল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, বাংলাবাজার কক্সবাজার এয়ারপোর্ট বিচসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি উত্পন্ন হয়ে থাকে। সমুদ্র্র উপকূলবর্তী এলাকার লোকদের উল্লেখযোগ্য পেশা হচ্ছে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে শুঁটকি উত্পন্ন করা। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় ১০ লাখ লোক শুঁটকি উত্পাদন কাজে নিয়োজিত আছে। সারা বছর ধরে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করা হলেও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এই সময়ে আমাদের দেশের সমুদ্রসীমানা থেকে হাজার হাজার টন মাছ ধরা হলেও সব মাছ দিয়ে শুঁটকি করা হয় না। কিছু কাঁচা মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়। অবিক্রীত অথবা নির্ধারিত পরিমাণের মাছ দিয়ে শুঁটকি করা হয়ে থাকে। এসব সামুদ্রিক মাছকে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে শুঁটকি উত্পাদন করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে অর্থাত্ রৌদ্রে শুকিয়ে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে অর্থাত্ বৈদ্যুতিক তাপে শুঁটকি উত্পাদন করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে উত্পাদিত শুঁটকির মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্পাদিত শুঁটকির গুণমান অপেক্ষা অনেক নিম্নমানের। বৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্পাদিত শুঁটকির মান অনেক উন্নত এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জাতের অপ্রচলিত শুঁটকি বিদেশে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ সমন্বয়ের অভাবে এসব শুঁটকি বিদেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপক ভিত্তিতে শুঁটকি রপ্তানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের শুঁটকি-শিল্পে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। শুঁটকি-শিল্পকে যথাযথ শিল্পের মর্যাদা দিয়ে অবাধে বিদেশে শুঁটকি রপ্তানির ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশের অর্থনীতিতে সুফল আসত।
>>>লেখক :বীমা কর্মকর্তা
আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, রাঙ্গাদিয়া, মহেশখালী, সোনাদিয়া, খুরুশকূল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, বাংলাবাজার কক্সবাজার এয়ারপোর্ট বিচসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি উত্পন্ন হয়ে থাকে। সমুদ্র্র উপকূলবর্তী এলাকার লোকদের উল্লেখযোগ্য পেশা হচ্ছে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে শুঁটকি উত্পন্ন করা। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার প্রায় ১০ লাখ লোক শুঁটকি উত্পাদন কাজে নিয়োজিত আছে। সারা বছর ধরে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করা হলেও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এই সময়ে আমাদের দেশের সমুদ্রসীমানা থেকে হাজার হাজার টন মাছ ধরা হলেও সব মাছ দিয়ে শুঁটকি করা হয় না। কিছু কাঁচা মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়। অবিক্রীত অথবা নির্ধারিত পরিমাণের মাছ দিয়ে শুঁটকি করা হয়ে থাকে। এসব সামুদ্রিক মাছকে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে শুঁটকি উত্পাদন করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে অর্থাত্ রৌদ্রে শুকিয়ে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে অর্থাত্ বৈদ্যুতিক তাপে শুঁটকি উত্পাদন করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে উত্পাদিত শুঁটকির মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্পাদিত শুঁটকির গুণমান অপেক্ষা অনেক নিম্নমানের। বৈজ্ঞানিক উপায়ে উত্পাদিত শুঁটকির মান অনেক উন্নত এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জাতের অপ্রচলিত শুঁটকি বিদেশে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ সমন্বয়ের অভাবে এসব শুঁটকি বিদেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপক ভিত্তিতে শুঁটকি রপ্তানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের শুঁটকি-শিল্পে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। শুঁটকি-শিল্পকে যথাযথ শিল্পের মর্যাদা দিয়ে অবাধে বিদেশে শুঁটকি রপ্তানির ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশের অর্থনীতিতে সুফল আসত।
>>>লেখক :বীমা কর্মকর্তা
No comments