‘ভারতে বৈষম্য কখনই এত প্রকট ছিল না’: অনুরাধা রায়
অনুরাধা রায় |
অনুরাধা
রায় একজন সাহসী মিডিয়া ভাষ্যকার। হতাশার সাথে তিনি দেশের রাজনৈতিক
পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছেন। “আমাদের মধ্যে যাদের কোন বন্ধু নেই, যে সব নারী
পুরুষকে আমরা নৈতিক ও মানবিক মনে করি, তারা ক্ষমতাসীনদের নিষ্ঠুরতার
ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। এই পথেই ভারতের মুক্তি ঘটবে বলে মনে করছেন
তারা?”
ভারতীয় সংবাদ ভিত্তিক ওয়েবসাইট দ্য ওয়্যারে এ কথা লিখেছিলেন অনুরাধা রায়। আট বছর বয়সী এক মুসলিম বালিকাকে আট ব্যক্তি ধর্ষণ করে হত্যার পর ওই মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে প্রচারণা শুরু হলে ওই মন্তব্য করেন অনুরাধা। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আমাকে বলেন: “এখানে বৈষম্য আগে কখনই এতটা প্রকট ছিল না, কিন্তু আমি মনে করি ডানপন্থীরা যে জনগোষ্ঠিকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে, যেই নারী ও দলিতরাই এখন সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য শক্তি। নিম্নজাতের মানুষ – এদের উপর নিষ্পেষণ চলেছে কিন্তু তারা পরাজিত হয়নি। গত ৭০ বছরে এমন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক রূপান্তর ঘটেছে যে এখন আর অন্ধ যুগে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। এটা যদি আমি বিশ্বাস না করতাম, তাহলে বেঁচে থাকাটা কঠিন হতো আমার জন্য”।
এই ধরনের সাংবাদিকসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি দেখে কারো মনে হতে পারে তার উপন্যাসগুলোও হয়তো একই রকম বিতর্কিত হবে। কিন্তু পৃথিবীর নজর এদিকে একজন মাত্র ঔপন্যাসিকই টানতে পারলেন যিনি ভারতের যৌন ভণ্ডামির সাথে সামাজিক কমেডির মিশ্রনে উপন্যাস লিখেছেন।
স্লিপিং অব জুপিটার ছিল অনেক সাহসী ও সমসাময়িক। সে তুলনায় তার নতুন উপন্যাসটিতে বিষাদ রয়েছে অনেক বেশি। যে জীবনগুলো আমরা যাপন করতে পারিনি, সেই চরিত্রগুলোকেই বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষিতে স্থাপন করা হয়েছে। ভারত সে সময় যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে যেটা তার নিজের তৈরি নয় আর তারপর হঠাৎ করেই অর্জিত হলো স্বাধীনতা। এই অভ্যুত্থানকে রায় অনেকটা তীর্যক দৃষ্টিতে দেখেছেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ রাজ যে সব বাংলোগুলো ছেড়ে যায়, নতুন গজিয়ে ওঠা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সেগুলোতে বাগান তৈরির একটা সমস্যা তৈরি করে। কারণ তারা জমিকে অবকাশ যাপনের উপায় হিসেবে কখনও ভাবেনি। এক বছরের মাথায় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেননি তিনি। বরং ইঙ্গ-ভারত কৃষি ব্যবস্থার দৃষ্টিতে দেখেছেন তিনি সেটা যারা প্লেন থেকে ফুলের পাপড়ি ফেলে পুরো শেষকৃত্যের রাস্তাটা ঢেকে দিয়েছিল।
উপন্যাসের ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর মধ্যে পার্সি-ল্যঙ্কস্টার অন্যতম। এছাড়া রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জার্মান চিত্রশিল্পী ও কিউরেটর ওয়াল্টার স্পাইস। এই চরিত্রগুলোকে রায় তুলে ধরেছেন তাদের ডায়েরি, চিঠি এবং সংবাদপত্রের কলামে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে। তুলে ধরেছেন পার্সি-ল্যাঙ্কস্টারের কাল্পনিক সহকারী মাইশকিনের বিবেকের মাধ্যমে। মাইশকিনের বয়স যখন নয়, তার মা তখন তাকে আর তার বাবাকে ছেড়ে চলে যান। তার বাবা ছিলেন কট্টর রাজনীতির সাথে জড়িত। চিত্রশিল্পীস্পাইজের সাথে বালিতে পালিয়ে যান তিনি। বৃদ্ধ বয়সে নিজের গল্প বলছেন তিনি। মায়ের চলে যাওয়াকে নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন তিনি।
মাইশকিন সম্পর্কে রায় বললেন, “তাকে নিয়ে ঘুরছি আমি বেশ বহুদিন হলো। যখন প্রথম আমি শুরু করি, আমার মাথার মধ্যে ছিল একটা ছোট্ট বালক। বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে এতটা বিলীন ছিল যে সেগুলোর অংশ হয়ে ওঠে সে”। অনুসন্ধানের জন্য বালিতে যান তিনি। সেখানে স্পাইজের চিত্রকর্মের সাথে পরিচিত হন তিনি। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বালির সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল তার।
রায় লেখেন ইংরেজিতে। তবে মায়ের সাথে বাংলা, স্বামীর সাথে হিন্দি ও ইংরেজি আর কুকুরের সাথে হিন্দিতে কথা বলেন তিনি। ঐতিহাসিক এই তথ্যগুলো যাচাই বাছাইয়ের জন্য এক রকম আদর্শ অবস্থানে ছিলেন তিনি, যেগুলো প্রায় এক শতাব্দি ধরে সেভাবে নাড়াচাড়া করা হয়নি। তিনি বলেন, “সত্যিই আমার বইটা লেখার সময় মনে হয়েছে, আমার মাথার মধ্যে সব জানালাগুলো একের পর এক খুলে যাচ্ছে”। তবে অতিরিক্ত গবেষণার চক্করে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও ছিল সেখানে। “যখন আপনি ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো নিয়ে ঐতিহাসিক কোন উপন্যাস লিখবেন, তখন সেগুলোর যথার্থতা বজায় রাখার একটা চাপ তো থাকেই”।
তার প্রথম উপন্যাস অ্যান অ্যাটলাস অব ইমপসিবল লংগিং-এর সময়কালও বিংশ শতাব্দীর ইতিহাস, যদিও সেখানে বাস্তব চরিত্রের প্রবেশ ঘটেনি। ২০০৮ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসে তিন প্রজন্মের বাঙ্গালি পরিবারের গল্প উঠে এসেছে। সেখানে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে পারিবারিক বন্ধন ধসে পড়ে গেছে। গল্পে উপনিবেশ আমলের নদীতীরের এক ভিলায় বাস করছে গল্পের চরিত্রগুলো। সে ভিলাটি নদীর ভাঙনে ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে সব সময়।
রায় নিজে তার প্রকাশক স্বামীর সাথে বাস করেন হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ত পাহাড়ি খামারে। কিভাবে তারা সেখানে গেলেন সেটি সরাসরি বোঝা যায় তার একটি উপন্যাসের গল্প থেকে। ১৯৬৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রায়। বাবা মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে কণিষ্ঠতম রায় তার বাল্যকাল কাটিয়েছেন তাবুতে তাবুতে। কারণ তার ভূ-তাত্ত্বিক বাবা কাজের সূত্রের ভারতের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ঘুরে বেড়াতেন।
যখন তার বয়স সাত বছর, তখন তার বাবার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। তার বয়স যখন ১৯, তখন তার বাবা মারা যান। হায়দ্রাবাদে বসবাস শুরু করে তার পরিবার। সেখানেই পড়ালেখা শেষ করে কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা করেন তিনি। যেহেতু গ্রাজুয়েশানের পরে কি হবে, তা নিশ্চিত ছিল না, তিনি আর তার কয়েকজন বন্ধু পুরনো একটা টাইপরাইটার যোগাড় করে অক্সফোর্ড আর কেমব্রিজের কাছে আবেদনপত্র পাঠান। তাকে অবাক করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদনের জবাব দেয় এবং ক্যামব্রিজ নিউ হলে দ্বিতীয় দফা ইংরেজিতে লেখাপড়া করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ ভিত্তিক ওয়েবসাইট দ্য ওয়্যারে এ কথা লিখেছিলেন অনুরাধা রায়। আট বছর বয়সী এক মুসলিম বালিকাকে আট ব্যক্তি ধর্ষণ করে হত্যার পর ওই মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে প্রচারণা শুরু হলে ওই মন্তব্য করেন অনুরাধা। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আমাকে বলেন: “এখানে বৈষম্য আগে কখনই এতটা প্রকট ছিল না, কিন্তু আমি মনে করি ডানপন্থীরা যে জনগোষ্ঠিকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে, যেই নারী ও দলিতরাই এখন সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য শক্তি। নিম্নজাতের মানুষ – এদের উপর নিষ্পেষণ চলেছে কিন্তু তারা পরাজিত হয়নি। গত ৭০ বছরে এমন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক রূপান্তর ঘটেছে যে এখন আর অন্ধ যুগে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। এটা যদি আমি বিশ্বাস না করতাম, তাহলে বেঁচে থাকাটা কঠিন হতো আমার জন্য”।
এই ধরনের সাংবাদিকসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি দেখে কারো মনে হতে পারে তার উপন্যাসগুলোও হয়তো একই রকম বিতর্কিত হবে। কিন্তু পৃথিবীর নজর এদিকে একজন মাত্র ঔপন্যাসিকই টানতে পারলেন যিনি ভারতের যৌন ভণ্ডামির সাথে সামাজিক কমেডির মিশ্রনে উপন্যাস লিখেছেন।
স্লিপিং অব জুপিটার ছিল অনেক সাহসী ও সমসাময়িক। সে তুলনায় তার নতুন উপন্যাসটিতে বিষাদ রয়েছে অনেক বেশি। যে জীবনগুলো আমরা যাপন করতে পারিনি, সেই চরিত্রগুলোকেই বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষিতে স্থাপন করা হয়েছে। ভারত সে সময় যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে যেটা তার নিজের তৈরি নয় আর তারপর হঠাৎ করেই অর্জিত হলো স্বাধীনতা। এই অভ্যুত্থানকে রায় অনেকটা তীর্যক দৃষ্টিতে দেখেছেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ রাজ যে সব বাংলোগুলো ছেড়ে যায়, নতুন গজিয়ে ওঠা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সেগুলোতে বাগান তৈরির একটা সমস্যা তৈরি করে। কারণ তারা জমিকে অবকাশ যাপনের উপায় হিসেবে কখনও ভাবেনি। এক বছরের মাথায় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেননি তিনি। বরং ইঙ্গ-ভারত কৃষি ব্যবস্থার দৃষ্টিতে দেখেছেন তিনি সেটা যারা প্লেন থেকে ফুলের পাপড়ি ফেলে পুরো শেষকৃত্যের রাস্তাটা ঢেকে দিয়েছিল।
উপন্যাসের ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর মধ্যে পার্সি-ল্যঙ্কস্টার অন্যতম। এছাড়া রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জার্মান চিত্রশিল্পী ও কিউরেটর ওয়াল্টার স্পাইস। এই চরিত্রগুলোকে রায় তুলে ধরেছেন তাদের ডায়েরি, চিঠি এবং সংবাদপত্রের কলামে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে। তুলে ধরেছেন পার্সি-ল্যাঙ্কস্টারের কাল্পনিক সহকারী মাইশকিনের বিবেকের মাধ্যমে। মাইশকিনের বয়স যখন নয়, তার মা তখন তাকে আর তার বাবাকে ছেড়ে চলে যান। তার বাবা ছিলেন কট্টর রাজনীতির সাথে জড়িত। চিত্রশিল্পীস্পাইজের সাথে বালিতে পালিয়ে যান তিনি। বৃদ্ধ বয়সে নিজের গল্প বলছেন তিনি। মায়ের চলে যাওয়াকে নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন তিনি।
মাইশকিন সম্পর্কে রায় বললেন, “তাকে নিয়ে ঘুরছি আমি বেশ বহুদিন হলো। যখন প্রথম আমি শুরু করি, আমার মাথার মধ্যে ছিল একটা ছোট্ট বালক। বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে এতটা বিলীন ছিল যে সেগুলোর অংশ হয়ে ওঠে সে”। অনুসন্ধানের জন্য বালিতে যান তিনি। সেখানে স্পাইজের চিত্রকর্মের সাথে পরিচিত হন তিনি। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বালির সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল তার।
রায় লেখেন ইংরেজিতে। তবে মায়ের সাথে বাংলা, স্বামীর সাথে হিন্দি ও ইংরেজি আর কুকুরের সাথে হিন্দিতে কথা বলেন তিনি। ঐতিহাসিক এই তথ্যগুলো যাচাই বাছাইয়ের জন্য এক রকম আদর্শ অবস্থানে ছিলেন তিনি, যেগুলো প্রায় এক শতাব্দি ধরে সেভাবে নাড়াচাড়া করা হয়নি। তিনি বলেন, “সত্যিই আমার বইটা লেখার সময় মনে হয়েছে, আমার মাথার মধ্যে সব জানালাগুলো একের পর এক খুলে যাচ্ছে”। তবে অতিরিক্ত গবেষণার চক্করে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও ছিল সেখানে। “যখন আপনি ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো নিয়ে ঐতিহাসিক কোন উপন্যাস লিখবেন, তখন সেগুলোর যথার্থতা বজায় রাখার একটা চাপ তো থাকেই”।
তার প্রথম উপন্যাস অ্যান অ্যাটলাস অব ইমপসিবল লংগিং-এর সময়কালও বিংশ শতাব্দীর ইতিহাস, যদিও সেখানে বাস্তব চরিত্রের প্রবেশ ঘটেনি। ২০০৮ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসে তিন প্রজন্মের বাঙ্গালি পরিবারের গল্প উঠে এসেছে। সেখানে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে পারিবারিক বন্ধন ধসে পড়ে গেছে। গল্পে উপনিবেশ আমলের নদীতীরের এক ভিলায় বাস করছে গল্পের চরিত্রগুলো। সে ভিলাটি নদীর ভাঙনে ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে সব সময়।
রায় নিজে তার প্রকাশক স্বামীর সাথে বাস করেন হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ত পাহাড়ি খামারে। কিভাবে তারা সেখানে গেলেন সেটি সরাসরি বোঝা যায় তার একটি উপন্যাসের গল্প থেকে। ১৯৬৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রায়। বাবা মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে কণিষ্ঠতম রায় তার বাল্যকাল কাটিয়েছেন তাবুতে তাবুতে। কারণ তার ভূ-তাত্ত্বিক বাবা কাজের সূত্রের ভারতের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ঘুরে বেড়াতেন।
যখন তার বয়স সাত বছর, তখন তার বাবার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। তার বয়স যখন ১৯, তখন তার বাবা মারা যান। হায়দ্রাবাদে বসবাস শুরু করে তার পরিবার। সেখানেই পড়ালেখা শেষ করে কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা করেন তিনি। যেহেতু গ্রাজুয়েশানের পরে কি হবে, তা নিশ্চিত ছিল না, তিনি আর তার কয়েকজন বন্ধু পুরনো একটা টাইপরাইটার যোগাড় করে অক্সফোর্ড আর কেমব্রিজের কাছে আবেদনপত্র পাঠান। তাকে অবাক করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদনের জবাব দেয় এবং ক্যামব্রিজ নিউ হলে দ্বিতীয় দফা ইংরেজিতে লেখাপড়া করেন তিনি।
No comments