‘আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজ’ প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে যে কলেজ by ইমাদ উদ দীন
মফস্বলের
বাতিঘর। গ্রামীণ জনপদের কলেজটি এখন এ নামেই পরিচিত। মৌলভীবাজার সদর
উপজেলার নাজিরাবাদে কলেজটির অবস্থান। নাম আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রী
কলেজ। প্রতিবছরই ভালো ফলাফলে জেলাজুড়ে সুনাম আর সুখ্যাতি। কলেজটিতে যেতে
চোখে পড়ে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। মাঠের পর মাঠ। ধান ক্ষেত আর সবুজ দুনিয়া।
প্রধান সড়কের দু’পাশই ছায়াবৃক্ষের রাজত্ব। এমন অপরূপ রূপ মাধুর্য্যে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ইউসুফনগর (রাতগাঁও) শমসেরগঞ্জ এলাকা জানান দেয় আবহমান গ্রাম বাংলার মনকাড়া রূপ সৌন্দর্য। এদেশের গ্রামীণ জনপদের মতো ওই এলাকাও কৃষিজীবী আর খেটে খাওয়া মানুষ প্রতিদিনই জীবন যুদ্ধে লড়ে। মাঠে মাটির সঙ্গে লড়ে সোনা ফলায়। এমনই শ্রমে-ঘামে চলে জীবন সংসার। অভাব-অনটন আর টানাপোড়েন ওদের পিছু ছাড়ে না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে ওদের আশপাশ। পরিবর্তন আসছে সর্বত্রই। তাই ওই স্রোতে গা না ভাসালেই পিছিয়ে পড়া। ওরা তা বুঝে। কিন্তু আর্থিক দৈন্যদশায় সে সাধ্য কি আর তাদের আছে। সাধ থাকলেও যে সাধ্য নেই। কৃষি ও শ্রমজীবী গ্রামীণ ওই জনপদের মানুষগুলো তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আর জীবন- জীবিকা নিয়ে ভাবে। এই ভাবনার শেষ নেই। শুধু বংশ পরম্পরায় পৈত্রিক পেশার উত্তরসূরি হলেই কি হবে। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কিন্তু মিলে না তার সদুত্তর। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে জ্ঞান- বিজ্ঞানেও পারদর্শী হওয়া চাই। সে জন্য হতে হবে শিক্ষিত। ছেলে সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাতে হবে। সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওদের সে রকম করে তৈরিও করতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা পড়ালেখায় উচ্চ শিক্ষা না নিলেও সন্তানদের এমন প্রয়োজনীয়তা খুব ভালো করে বুঝেন।
অনুধাবনও করেন। কিন্তু মফস্বলের এই গ্রাম ওই গ্রাম। তাদের এলাকার কোনো গ্রামেই নেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যা আছে তা শহরে। কিন্তু শহরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত আর পড়ালেখার খরচ কুলিয়ে ওদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সাধ্য কোথায়? সারা দিন মাঠেঘাটে কাজ করে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা যাদের নেই তাদের সন্তান শহরে গিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তা যেন দুঃস্বপ্ন। নিজ এলাকায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন নিয়ে এই দুঃখ গাঁথুনি যেন তাদের চলিষ্ণু রেওয়াজ। মাধ্যমিকের গণ্ডি পাড়ি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হয় ওই মফস্বল এলাকার হতদরিদ্র অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের। আর উচ্চ শিক্ষা না থাকায় চাকরিতেও অংশ নিতে পারেন না তারা। তাই তাদের ভাগ্যের চাকাও সচল হয় না। এমনটিই যেন তাদের নিয়তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে আগ্রহী হন ওই এলাকারই সু-সন্তান ব্রিটিশ কাউন্সিলর একাধিকবারের সিআইপি যুক্তরাজ্যে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, জনদরদি শিক্ষানুরাগী এম.এ. রহিম সি.আই.পি। তিনি নিজ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। এলাকার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিতে উদ্যোগী হন।
অভিভাবকদের সঙ্গে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরাও তার এমন প্রশংসনীয় মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এম. এ. রহিম সি.আই.পির ঐকান্তিক ইচ্ছা আর স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন ও আগ্রহকে বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে ইউসুফনগর (রাতগাঁও) শমসেরগঞ্জ এলাকায় তাঁর মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ হয় ওই এলাকাসহ আশপাশ এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের। ২০১০ সাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি জেলা তথা সিলেট বিভাগের মধ্যে একটি অন্যতম ভালো ফলাফলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ছড়িয়ে পড়া খ্যাতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের এমন (৮৫ শতাংশের উপরে ফলাফলে) অভিভূত এ জেলার অভিভাবক ও সচেতন সমাজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ালেখার সু-ব্যবস্থা, রয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। যাতায়াতের জন্য দু’টি ফ্রি কলেজ বাস। শিক্ষার্থীদের ফ্রি চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক নানা সুযোগ-সুবিধা। সু-প্রশস্ত কম্পিউটার ল্যাব, বিশাল ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম আর খেলাধুলার সু-ব্যবস্থা। রাজনীতিমুক্ত ও ধূমপানমুক্ত নির্মল পরিবেশে চমৎকার ক্যাম্পাস শুরু থেকেই দৃষ্টি কাড়ছে সকলের। কলেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ও স্থানীয় জনগণ কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা যারপর নাই আনন্দিত। কারণ কলেজটি ওই এলাকার অন্ধকার দূর করে আলোর বার্তা নিয়ে এসেছে। এখন দিন যত যাচ্ছে কলেজটি তার আলো ততই ছড়াচ্ছে। গতকাল কলেজটিতে সরজমিন গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক ও গ্রামবাসীরা গর্বের সঙ্গে মানবজমিনকে বলেন এম.এ. রহিম সি.আই.পি ও তার ভাই মো. মুজিবুর রহমান মুজিব দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কলেজটিকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে এত বিশাল ব্যয় বহন করছেন নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে। শুধু এই কলেজ নয়, নিজ এলাকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তারা প্রতিষ্ঠা করেছেন আরো একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীর সরকারের কাছে জোর দাবি কলেজটি এমপিভুক্ত করার। বর্তমানে আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক। আর শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, শিক্ষানুরাগী এম. এ. রহিম বলেন- ইউসুফনগর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে আমরা শতভাগ শিক্ষিত একটি মডেল গ্রাম ও এলাকা হিসেবে তৈরি করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ। মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও নবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭টি ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে এখানে অধ্যয়ন করে উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছেন। কলেজটি এগিয়ে নিতে তিনি শিক্ষাবান্ধব এ সরকারসহ সকলের সহযোগিতা চান।
প্রধান সড়কের দু’পাশই ছায়াবৃক্ষের রাজত্ব। এমন অপরূপ রূপ মাধুর্য্যে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ইউসুফনগর (রাতগাঁও) শমসেরগঞ্জ এলাকা জানান দেয় আবহমান গ্রাম বাংলার মনকাড়া রূপ সৌন্দর্য। এদেশের গ্রামীণ জনপদের মতো ওই এলাকাও কৃষিজীবী আর খেটে খাওয়া মানুষ প্রতিদিনই জীবন যুদ্ধে লড়ে। মাঠে মাটির সঙ্গে লড়ে সোনা ফলায়। এমনই শ্রমে-ঘামে চলে জীবন সংসার। অভাব-অনটন আর টানাপোড়েন ওদের পিছু ছাড়ে না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে ওদের আশপাশ। পরিবর্তন আসছে সর্বত্রই। তাই ওই স্রোতে গা না ভাসালেই পিছিয়ে পড়া। ওরা তা বুঝে। কিন্তু আর্থিক দৈন্যদশায় সে সাধ্য কি আর তাদের আছে। সাধ থাকলেও যে সাধ্য নেই। কৃষি ও শ্রমজীবী গ্রামীণ ওই জনপদের মানুষগুলো তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আর জীবন- জীবিকা নিয়ে ভাবে। এই ভাবনার শেষ নেই। শুধু বংশ পরম্পরায় পৈত্রিক পেশার উত্তরসূরি হলেই কি হবে। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কিন্তু মিলে না তার সদুত্তর। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে জ্ঞান- বিজ্ঞানেও পারদর্শী হওয়া চাই। সে জন্য হতে হবে শিক্ষিত। ছেলে সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাতে হবে। সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওদের সে রকম করে তৈরিও করতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা পড়ালেখায় উচ্চ শিক্ষা না নিলেও সন্তানদের এমন প্রয়োজনীয়তা খুব ভালো করে বুঝেন।
অনুধাবনও করেন। কিন্তু মফস্বলের এই গ্রাম ওই গ্রাম। তাদের এলাকার কোনো গ্রামেই নেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যা আছে তা শহরে। কিন্তু শহরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত আর পড়ালেখার খরচ কুলিয়ে ওদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সাধ্য কোথায়? সারা দিন মাঠেঘাটে কাজ করে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা যাদের নেই তাদের সন্তান শহরে গিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তা যেন দুঃস্বপ্ন। নিজ এলাকায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন নিয়ে এই দুঃখ গাঁথুনি যেন তাদের চলিষ্ণু রেওয়াজ। মাধ্যমিকের গণ্ডি পাড়ি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হয় ওই মফস্বল এলাকার হতদরিদ্র অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের। আর উচ্চ শিক্ষা না থাকায় চাকরিতেও অংশ নিতে পারেন না তারা। তাই তাদের ভাগ্যের চাকাও সচল হয় না। এমনটিই যেন তাদের নিয়তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে আগ্রহী হন ওই এলাকারই সু-সন্তান ব্রিটিশ কাউন্সিলর একাধিকবারের সিআইপি যুক্তরাজ্যে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, জনদরদি শিক্ষানুরাগী এম.এ. রহিম সি.আই.পি। তিনি নিজ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। এলাকার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিতে উদ্যোগী হন।
অভিভাবকদের সঙ্গে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরাও তার এমন প্রশংসনীয় মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এম. এ. রহিম সি.আই.পির ঐকান্তিক ইচ্ছা আর স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন ও আগ্রহকে বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে ইউসুফনগর (রাতগাঁও) শমসেরগঞ্জ এলাকায় তাঁর মরহুম পিতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রী কলেজ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ হয় ওই এলাকাসহ আশপাশ এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের। ২০১০ সাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি জেলা তথা সিলেট বিভাগের মধ্যে একটি অন্যতম ভালো ফলাফলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ছড়িয়ে পড়া খ্যাতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের এমন (৮৫ শতাংশের উপরে ফলাফলে) অভিভূত এ জেলার অভিভাবক ও সচেতন সমাজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ালেখার সু-ব্যবস্থা, রয়েছেন অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। যাতায়াতের জন্য দু’টি ফ্রি কলেজ বাস। শিক্ষার্থীদের ফ্রি চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক নানা সুযোগ-সুবিধা। সু-প্রশস্ত কম্পিউটার ল্যাব, বিশাল ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম আর খেলাধুলার সু-ব্যবস্থা। রাজনীতিমুক্ত ও ধূমপানমুক্ত নির্মল পরিবেশে চমৎকার ক্যাম্পাস শুরু থেকেই দৃষ্টি কাড়ছে সকলের। কলেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ও স্থানীয় জনগণ কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা যারপর নাই আনন্দিত। কারণ কলেজটি ওই এলাকার অন্ধকার দূর করে আলোর বার্তা নিয়ে এসেছে। এখন দিন যত যাচ্ছে কলেজটি তার আলো ততই ছড়াচ্ছে। গতকাল কলেজটিতে সরজমিন গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক ও গ্রামবাসীরা গর্বের সঙ্গে মানবজমিনকে বলেন এম.এ. রহিম সি.আই.পি ও তার ভাই মো. মুজিবুর রহমান মুজিব দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কলেজটিকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে এত বিশাল ব্যয় বহন করছেন নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে। শুধু এই কলেজ নয়, নিজ এলাকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তারা প্রতিষ্ঠা করেছেন আরো একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীর সরকারের কাছে জোর দাবি কলেজটি এমপিভুক্ত করার। বর্তমানে আলহাজ্ব মো. মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক। আর শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, শিক্ষানুরাগী এম. এ. রহিম বলেন- ইউসুফনগর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে আমরা শতভাগ শিক্ষিত একটি মডেল গ্রাম ও এলাকা হিসেবে তৈরি করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ। মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও নবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭টি ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে এখানে অধ্যয়ন করে উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছেন। কলেজটি এগিয়ে নিতে তিনি শিক্ষাবান্ধব এ সরকারসহ সকলের সহযোগিতা চান।
No comments