মিরপুর ১২ থেকে শাহবাগ: ভোগান্তির যেন শেষ নেই by হাফিজ মুহাম্মদ
ঘড়ির
কাটায় তখন দুপুর ১২টা। মিরপুর ১২ নম্বর। প্রচণ্ড রোদে মানুষ দিশাহারা।
একটু ছায়ার আড়ালে বসে-দাঁড়িয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের গাড়ির অপেক্ষা করছেন। সরু
সড়কের অংশে তীব্র যানজট লেগে আছে। যানবাহনের সারি দীর্ঘই হচ্ছে। ঘণ্টার
বেশি সময় বাসে আটকে থেকে ক্লান্ত হয়ে গেছেন সবাই। ঘর্মাক্ত মানুষগুলোর যেন
নিশ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে।
তবুও গাড়ি চলছে না। মাঝেমধ্যে পিঁপড়া গতিতে আগালে তা সামান্য একটু যেয়েই আটকে যায়। গাড়ির চালকরাও বেশিরভাগ সময় ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকেন। গতকাল মিরপুর-১২ নম্বর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে অধিকাংশ স্থানের চিত্রই ছিল এমন। এরমধ্যে মিরপুর অংশের বেগম রোকেয়া সরণিতে প্রতিটি সিগন্যালেই ছিল গাড়ীর দীর্ঘ লাইন।
বেগম রোকেয়া সরণি ও কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এটি বাংলাদেশের বড় প্রকল্পগুলোর একটি। মেট্রোরেলের কাজ চলায় মিরপুর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কের চিত্র প্রায় একই রকম। রাস্তার মাঝে ব্যারিকেড থাকায় সড়ক সরু হয়ে গেছে। তবে যেসব স্থানে মেট্রোরেলের স্টেশন করা হচ্ছে সেসব জায়গার সড়ক এতটাই সরু যে কোনো মতে একটি বাস যাওয়ার জায়গা রয়েছে। এই সরু সড়কের কারণে যানজট লাগে পুরো রাস্তায়। ফার্মগেটে এসে একাধিক সড়কের গাড়ি কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে যুক্ত হয়। এ কারণে সড়কের এ অংশে গাড়ি আগায় না। ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে ঘণ্টা পার হয়ে যায়। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায় মিরপুর-১২ থেকে শাহবাগ যেতে প্রথম দীর্ঘ লাইন পড়ে ১০ নম্বর গোল চত্তরে। এখানেই কেটে যায় দীর্ঘ সময়। এ সিগন্যালটি পার হয়ে আবার কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়ায় যেয়ে আরেক দফা যানজটে পড়তে হচ্ছে। এরপরে তালতলা পর্যন্ত জ্যাম কম থাকলেও আগারগাঁও সিগন্যালের দুইপাশের জট অনেকদূর ছাড়িয়ে যায়। আগারগাঁওয়ের একপাশের জট তালতলা পর্যন্ত পৌছে গেছে অন্য পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্ত। আগারগাঁও সিগন্যাল বরাবর সড়কটি সরু হয়ে একলেন পরিমাণ আছে। এখান থেকে একটি বাস গেলে আর মানুষ পার হওয়ার জায়গা থাকে না। এ অংশে সরু সড়কের কারণেই দীর্ঘ যানজট পরে বলে জানান পথচারীরা।
মিরপুর ১২ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেলের প্রথম ভাগের কাজ অনেকটা দৃশ্যমান হয়েছে। তবে দ্বিতীয়াংশের কাজ প্রথামিক পর্যায়ে চলছে। আর দ্বিতীয়াংশের কাজ শুরুর পরেই যানজটের মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এ অংশে আগারগাঁও পার হয়ে প্রথমেই চন্দ্রিমা উদ্যানের সিগন্যালে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এখানে প্রতিটা সিগন্যাল ছাড়তে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। দুইবার ছাড়ার পরে পার গাড়ীগুলো যেতে পারে। খামারবাড়ি এসে বাসের চালক বাস থামিয়ে দিয়ে বসে থাকেন। বাস এখানে এসে আর সামনে আগায় না। খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট যেতে সময় লাগে ৩০মিনিট। এরপরে একটু একটু করে এক ঘণ্টা বসে শাহবাগ যেতে লাগে আরো একঘন্টা। এর মধ্যে শুধু কাওরানবাজার সিগন্যালেই ব্যয় করতে হয়েছে ৩০ মিনিট। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা বলেন, গতকাল তুলনামূলক সময় কমই লাগছে। মিরপুর থেকে শাহবাগ পৌঁছতে প্রতিদিন সাড়ে তিনঘণ্টা চলে যায়। কখনো আরো বেশি সময়ও লাগে।
মো. নুরুল হক। গতকাল দুপুরে বাসে কথা হয় এ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি মিরপুর থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, সপ্তাহে তিনি থেকে চারদিন এ পথে যাতায়াত করেন। কখনো সাড়ে ৩ ঘণ্টা আবার কখনো ৪ ঘণ্টা লেগে যায়।
সালেকা বেগম নামে বাসের আরেক যাত্রী বলেন, এত গরম আর সইতে পারছি না। দপুরের সময় অফিস নেই তারপরও এত জ্যাম। রোদে আর পারছি না। তার সঙ্গে ৫/৬ বছরের মেয়েটি একটু পরপর-ই কান্না করছিল।
কিছুদনি আগে সিরডাপ মিলনায়তনে একটি গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেছিলেন, কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য নাগরিকদের সাময়িক সমস্যা পোহাতে হয়। কিন্তু ঢাকার সমস্যাগুলো অনেকটা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এর বড় কারণ বাংলাদেশের মহা প্রকল্পগুলো সব একসঙ্গে চলছে। এর সুবিধা নাগরিকরা পাবেন। তবে সাময়িক ভোগান্তি তারা কিভাবে পার করবেন এটাই বড় কথা। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেট্রোরেলের কারণে তৈরি হওয়া ভোগান্তি লাগবের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলেন।
তবুও গাড়ি চলছে না। মাঝেমধ্যে পিঁপড়া গতিতে আগালে তা সামান্য একটু যেয়েই আটকে যায়। গাড়ির চালকরাও বেশিরভাগ সময় ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকেন। গতকাল মিরপুর-১২ নম্বর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে অধিকাংশ স্থানের চিত্রই ছিল এমন। এরমধ্যে মিরপুর অংশের বেগম রোকেয়া সরণিতে প্রতিটি সিগন্যালেই ছিল গাড়ীর দীর্ঘ লাইন।
বেগম রোকেয়া সরণি ও কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এটি বাংলাদেশের বড় প্রকল্পগুলোর একটি। মেট্রোরেলের কাজ চলায় মিরপুর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কের চিত্র প্রায় একই রকম। রাস্তার মাঝে ব্যারিকেড থাকায় সড়ক সরু হয়ে গেছে। তবে যেসব স্থানে মেট্রোরেলের স্টেশন করা হচ্ছে সেসব জায়গার সড়ক এতটাই সরু যে কোনো মতে একটি বাস যাওয়ার জায়গা রয়েছে। এই সরু সড়কের কারণে যানজট লাগে পুরো রাস্তায়। ফার্মগেটে এসে একাধিক সড়কের গাড়ি কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে যুক্ত হয়। এ কারণে সড়কের এ অংশে গাড়ি আগায় না। ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে ঘণ্টা পার হয়ে যায়। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায় মিরপুর-১২ থেকে শাহবাগ যেতে প্রথম দীর্ঘ লাইন পড়ে ১০ নম্বর গোল চত্তরে। এখানেই কেটে যায় দীর্ঘ সময়। এ সিগন্যালটি পার হয়ে আবার কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়ায় যেয়ে আরেক দফা যানজটে পড়তে হচ্ছে। এরপরে তালতলা পর্যন্ত জ্যাম কম থাকলেও আগারগাঁও সিগন্যালের দুইপাশের জট অনেকদূর ছাড়িয়ে যায়। আগারগাঁওয়ের একপাশের জট তালতলা পর্যন্ত পৌছে গেছে অন্য পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্ত। আগারগাঁও সিগন্যাল বরাবর সড়কটি সরু হয়ে একলেন পরিমাণ আছে। এখান থেকে একটি বাস গেলে আর মানুষ পার হওয়ার জায়গা থাকে না। এ অংশে সরু সড়কের কারণেই দীর্ঘ যানজট পরে বলে জানান পথচারীরা।
মিরপুর ১২ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেলের প্রথম ভাগের কাজ অনেকটা দৃশ্যমান হয়েছে। তবে দ্বিতীয়াংশের কাজ প্রথামিক পর্যায়ে চলছে। আর দ্বিতীয়াংশের কাজ শুরুর পরেই যানজটের মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এ অংশে আগারগাঁও পার হয়ে প্রথমেই চন্দ্রিমা উদ্যানের সিগন্যালে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এখানে প্রতিটা সিগন্যাল ছাড়তে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লেগে যায়। দুইবার ছাড়ার পরে পার গাড়ীগুলো যেতে পারে। খামারবাড়ি এসে বাসের চালক বাস থামিয়ে দিয়ে বসে থাকেন। বাস এখানে এসে আর সামনে আগায় না। খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট যেতে সময় লাগে ৩০মিনিট। এরপরে একটু একটু করে এক ঘণ্টা বসে শাহবাগ যেতে লাগে আরো একঘন্টা। এর মধ্যে শুধু কাওরানবাজার সিগন্যালেই ব্যয় করতে হয়েছে ৩০ মিনিট। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা বলেন, গতকাল তুলনামূলক সময় কমই লাগছে। মিরপুর থেকে শাহবাগ পৌঁছতে প্রতিদিন সাড়ে তিনঘণ্টা চলে যায়। কখনো আরো বেশি সময়ও লাগে।
মো. নুরুল হক। গতকাল দুপুরে বাসে কথা হয় এ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি মিরপুর থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, সপ্তাহে তিনি থেকে চারদিন এ পথে যাতায়াত করেন। কখনো সাড়ে ৩ ঘণ্টা আবার কখনো ৪ ঘণ্টা লেগে যায়।
সালেকা বেগম নামে বাসের আরেক যাত্রী বলেন, এত গরম আর সইতে পারছি না। দপুরের সময় অফিস নেই তারপরও এত জ্যাম। রোদে আর পারছি না। তার সঙ্গে ৫/৬ বছরের মেয়েটি একটু পরপর-ই কান্না করছিল।
কিছুদনি আগে সিরডাপ মিলনায়তনে একটি গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেছিলেন, কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য নাগরিকদের সাময়িক সমস্যা পোহাতে হয়। কিন্তু ঢাকার সমস্যাগুলো অনেকটা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এর বড় কারণ বাংলাদেশের মহা প্রকল্পগুলো সব একসঙ্গে চলছে। এর সুবিধা নাগরিকরা পাবেন। তবে সাময়িক ভোগান্তি তারা কিভাবে পার করবেন এটাই বড় কথা। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেট্রোরেলের কারণে তৈরি হওয়া ভোগান্তি লাগবের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলেন।
No comments