এমপি হলেই যা ইচ্ছা করা যায় না
ক্রিস ডেভিস ও ফিওনা ওনাসানিয়া |
প্রথম আলো, ২৩ জুন ২০১৯: এমপি
পদে জিতলাম তো পাঁচ বছরের জন্য গদি নিশ্চিত হয়ে গেল—অন্তত যুক্তরাজ্যের
গণতন্ত্রে এমন কথা প্রযোজ্য নয়। এখানে প্রতিটি কর্মের জন্য আইনপ্রণেতাদের
জবাবদিহি করতে হয়। অন্যায় করে ধরা পড়লেই সব শেষ। আদালতের দেওয়া শাস্তির
পাশাপাশি বাসিন্দারা কেড়ে নেন এমপি পদও।
যুক্তরাজ্যে গত তিন মাসে দুজন এমপির মসনদ কেড়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
দেশটির ওয়েলসের ব্রেকন অ্যান্ড রেডনোরশায়ার আসনের এমপি ছিলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ক্রিস ডেভিস। আইনপ্রণেতাদের বিভিন্ন কাজের জন্য যে ভাতা দেওয়া হয়, সেখানেই দুর্নীতি করে বসেন তিনি। ২০১৬ সালে নিজের অফিস সজ্জায় ব্যবহৃত একটি ছবির জন্য ৭০০ পাউন্ডের (প্রায় ৭৫ হাজার টাকা) বিল করেন, যা ভুয়া প্রমাণিত হয়। গত ২৩ এপ্রিল লন্ডনের সাউথওয়াক ক্রাইন কোর্ট তাঁকে ১৫০০ পাউন্ড (প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে ৫০ ঘণ্টা সমাজসেবামূলক (কমিউনিটি সার্ভিস) কাজের আদেশ দেন। কিন্তু তাঁর অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত এখানেই শেষ হয়নি। তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা এমপি পদ কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব (রি-কল পিটিশন) আনেন।
গত ২১ জুন শুক্রবার হাউস অব কমনসের স্পিকার জন বার্কো জানিয়ে দেন, ব্রেকন অ্যান্ড র্যাডনোরশায়ার আসনের ১৯ শতাংশ (১০ হাজার ৫ জন) ভোটার উপনির্বাচন চেয়ে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। ফলে ক্রিস ইভান্সের এমপি পদের অবসান ঘটল। স্পিকার ওই আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালে প্রণীত ‘দ্য রিকল অব এমপি’স অ্যাক্ট’-এর ক্ষমতাবলে বাসিন্দারা এই অধিকার চর্চা করতে পারেন। ওই আইনে বলা হয়েছে, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, কিংবা কোনো অপরাধের দায়ে কোনো আইনপ্রণেতা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে সংশ্লিষ্ট আসনের বাসিন্দারা ওই আসনে উপনির্বাচন দাবি করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর করলেই ওই আসন শূন্য হবে এবং উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতা চাইলে সেই উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে পারেন।
এর আগে গত মার্চে পিটারবোরা আসনের আইনপ্রণেতা ফিওনা ওনাসানিয়া বাসিন্দাদের অনাস্থা ভোটে এমপি পদ হারান। লেবার দলীয় এই আইনপ্রণেতা রাস্তায় গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন করে ধরা পড়েছিলেন। এ নিয়ে মিথ্যাচার করতে গিয়ে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। যে কারণে ওই এলাকার বাসিন্দারা তাঁর এমপি পদ কেড়ে নেন। লেবার দলও তাঁকে বহিষ্কার করে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই আসনের উপনির্বাচনে লেবার দলের নতুন প্রার্থী লিসা ফোর্বস নির্বাচিত হন।
তবে ক্রিস ডেভিসকে এখনো বহিষ্কার করেনি কনজারভেটিভ দল। সাধারণত আসন শূন্য ঘোষণার ৬ সপ্তাহের মাথায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপনির্বাচনে হারলে বর্তমান ঝুলন্ত সংসদে কনজারভেটিভের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
যুক্তরাজ্যে গত তিন মাসে দুজন এমপির মসনদ কেড়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
দেশটির ওয়েলসের ব্রেকন অ্যান্ড রেডনোরশায়ার আসনের এমপি ছিলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ক্রিস ডেভিস। আইনপ্রণেতাদের বিভিন্ন কাজের জন্য যে ভাতা দেওয়া হয়, সেখানেই দুর্নীতি করে বসেন তিনি। ২০১৬ সালে নিজের অফিস সজ্জায় ব্যবহৃত একটি ছবির জন্য ৭০০ পাউন্ডের (প্রায় ৭৫ হাজার টাকা) বিল করেন, যা ভুয়া প্রমাণিত হয়। গত ২৩ এপ্রিল লন্ডনের সাউথওয়াক ক্রাইন কোর্ট তাঁকে ১৫০০ পাউন্ড (প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে ৫০ ঘণ্টা সমাজসেবামূলক (কমিউনিটি সার্ভিস) কাজের আদেশ দেন। কিন্তু তাঁর অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত এখানেই শেষ হয়নি। তাঁর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা এমপি পদ কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব (রি-কল পিটিশন) আনেন।
গত ২১ জুন শুক্রবার হাউস অব কমনসের স্পিকার জন বার্কো জানিয়ে দেন, ব্রেকন অ্যান্ড র্যাডনোরশায়ার আসনের ১৯ শতাংশ (১০ হাজার ৫ জন) ভোটার উপনির্বাচন চেয়ে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। ফলে ক্রিস ইভান্সের এমপি পদের অবসান ঘটল। স্পিকার ওই আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালে প্রণীত ‘দ্য রিকল অব এমপি’স অ্যাক্ট’-এর ক্ষমতাবলে বাসিন্দারা এই অধিকার চর্চা করতে পারেন। ওই আইনে বলা হয়েছে, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, কিংবা কোনো অপরাধের দায়ে কোনো আইনপ্রণেতা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে সংশ্লিষ্ট আসনের বাসিন্দারা ওই আসনে উপনির্বাচন দাবি করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর করলেই ওই আসন শূন্য হবে এবং উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতা চাইলে সেই উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে পারেন।
এর আগে গত মার্চে পিটারবোরা আসনের আইনপ্রণেতা ফিওনা ওনাসানিয়া বাসিন্দাদের অনাস্থা ভোটে এমপি পদ হারান। লেবার দলীয় এই আইনপ্রণেতা রাস্তায় গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন করে ধরা পড়েছিলেন। এ নিয়ে মিথ্যাচার করতে গিয়ে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। যে কারণে ওই এলাকার বাসিন্দারা তাঁর এমপি পদ কেড়ে নেন। লেবার দলও তাঁকে বহিষ্কার করে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই আসনের উপনির্বাচনে লেবার দলের নতুন প্রার্থী লিসা ফোর্বস নির্বাচিত হন।
তবে ক্রিস ডেভিসকে এখনো বহিষ্কার করেনি কনজারভেটিভ দল। সাধারণত আসন শূন্য ঘোষণার ৬ সপ্তাহের মাথায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপনির্বাচনে হারলে বর্তমান ঝুলন্ত সংসদে কনজারভেটিভের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
No comments