পাট গবেষণা: ৩ বছরের প্রকল্প চলছে ৯ বছর ধরে by হামিদ সরকার
নতুন
নতুন পাটবীজ উদ্ভাবনের জন্য নেয়া তিন বছরের গবেষণা প্রকল্প গত ৯ বছরেও শেষ
হয়নি। এটি এখন ১০ বছরে পা দিতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পে গবেষণার চেয়ে পরামর্শক
খাতে ব্যয়ই বেশি। ৫১ জন পরামর্শক এ প্রকল্পে থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ২৯
জনকে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ৬৬ কোটি
টাকার প্রকল্পের ব্যয় ১২২ কোটি ২৭ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
গবেষণা থেকে নতুন যে উদ্ভাবন পাওয়া যায় তা অবমুক্ত করতে সাড়ে ৬ বছর লাগে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের পাটবীজের প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। আমদানিকৃত বীজ দিয়ে পাট চাষ করা হচ্ছে। নতুন নতুন পাটবীজ উদ্ভাবনের জন্যই নেয়া হয়েছিল এ প্রকল্প। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো পাটের জেনোম গবেষণা, বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ, উচ্চশিক্ষা প্রদান ও প্রশিক্ষণ, দেশী-বিদেশী পরামর্শক ও গবেষক সংগ্রহ এবং ৯ হাজার বর্গফুটের গবেষণাগার সম্প্রসারণ, মেশিনারি এবং ইকুইপমেন্ট মেরামত ও পুনর্বাসন।
প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেক সভায় ৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের আগস্টে সমাপ্ত করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু অনুমোদনের পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৫ বার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বাড়তে থাকে। সর্বশেষ প্রকল্পটি সমাপ্ত করার জন্য বাড়তি ব্যয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এখন আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। দু’জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগবৃদ্ধিতে এ খাতে ব্যয় বাড়ছে প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা।
আবারো প্রকল্পটির সময় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, প্রকল্পের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রকল্পের মূল বাস্তবায়ন এলাকা প্রথম-ক শ্রেণীর কেপিআই ঘোষিত হওয়ার কারণে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে ন্যূনতম ২০ জন নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। এ জন্য তাদের সংখ্যা ১৮ জন থেকে বাড়িয়ে ২০ জন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় সোয়া কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত মেয়াদে গবেষণার জন্য এ খাতে ব্যয় প্রায় ২৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যয় প্রায় ১৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৯ বছরে প্রকল্পের আওতায় ২টি তোষা এবং ২টি দেশী পাটের উচ্চফলনশীল লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে তোষা পাটের একটি লাইন জাত হিসেবে অবমুক্ত করা হয়েছে, যা দেশে বর্তমানে চাষকৃত তোষা পাটের চেয়ে ফলন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি। উন্নত আঁশ ও আগাম কর্তনযোগ্য। বর্তমানে দেশে চাষকৃত পাটবীজের ৮০ শতাংশই ভারত থেকে আমদানিকৃত জেআরও-২৫৪ জাতের। এ প্রকল্প হতে উদ্ভাবিত রবি-১ জাতটি বাজারে এলে বিজেআরআই উদ্ভাবিত জাতের কাজারেজ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। পরামর্শকদের ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, প্রকল্পে বিজ্ঞানী ও পেশাদারগণ সবাই পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং বলছে, তিন বছরের প্রকল্প প্রথম সংশোধনীতে ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। তাতেও কাজ সমাপ্ত হয়নি। পরে এক বছর বাড়ানোর পরও কাজ সমাপ্ত হয়নি। এতবার মেয়াদ বাড়ানো কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। একটি প্রকল্পে ৫১ জন দেশী-বিদেশী পরামর্শক। যাদের জন্য বরাদ্দ ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ২৯ জন পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের জন্য এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এখন এই ব্যয় আরো বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের পাটবীজের প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। আমদানিকৃত বীজ দিয়ে পাট চাষ করা হচ্ছে। নতুন নতুন পাটবীজ উদ্ভাবনের জন্যই নেয়া হয়েছিল এ প্রকল্প। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো পাটের জেনোম গবেষণা, বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ, উচ্চশিক্ষা প্রদান ও প্রশিক্ষণ, দেশী-বিদেশী পরামর্শক ও গবেষক সংগ্রহ এবং ৯ হাজার বর্গফুটের গবেষণাগার সম্প্রসারণ, মেশিনারি এবং ইকুইপমেন্ট মেরামত ও পুনর্বাসন।
প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেক সভায় ৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের আগস্টে সমাপ্ত করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু অনুমোদনের পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৫ বার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বাড়তে থাকে। সর্বশেষ প্রকল্পটি সমাপ্ত করার জন্য বাড়তি ব্যয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এখন আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। দু’জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগবৃদ্ধিতে এ খাতে ব্যয় বাড়ছে প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা।
আবারো প্রকল্পটির সময় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, প্রকল্পের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রকল্পের মূল বাস্তবায়ন এলাকা প্রথম-ক শ্রেণীর কেপিআই ঘোষিত হওয়ার কারণে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে ন্যূনতম ২০ জন নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। এ জন্য তাদের সংখ্যা ১৮ জন থেকে বাড়িয়ে ২০ জন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় সোয়া কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত মেয়াদে গবেষণার জন্য এ খাতে ব্যয় প্রায় ২৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যয় প্রায় ১৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৯ বছরে প্রকল্পের আওতায় ২টি তোষা এবং ২টি দেশী পাটের উচ্চফলনশীল লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে তোষা পাটের একটি লাইন জাত হিসেবে অবমুক্ত করা হয়েছে, যা দেশে বর্তমানে চাষকৃত তোষা পাটের চেয়ে ফলন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি। উন্নত আঁশ ও আগাম কর্তনযোগ্য। বর্তমানে দেশে চাষকৃত পাটবীজের ৮০ শতাংশই ভারত থেকে আমদানিকৃত জেআরও-২৫৪ জাতের। এ প্রকল্প হতে উদ্ভাবিত রবি-১ জাতটি বাজারে এলে বিজেআরআই উদ্ভাবিত জাতের কাজারেজ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। পরামর্শকদের ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, প্রকল্পে বিজ্ঞানী ও পেশাদারগণ সবাই পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট উইং বলছে, তিন বছরের প্রকল্প প্রথম সংশোধনীতে ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। তাতেও কাজ সমাপ্ত হয়নি। পরে এক বছর বাড়ানোর পরও কাজ সমাপ্ত হয়নি। এতবার মেয়াদ বাড়ানো কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। একটি প্রকল্পে ৫১ জন দেশী-বিদেশী পরামর্শক। যাদের জন্য বরাদ্দ ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ২৯ জন পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের জন্য এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এখন এই ব্যয় আরো বাড়ানো হয়েছে।
No comments