মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করলো না সন্তানরা
আলোকিত বাংলাদেশ-১৭ জুন, সোমবার ২০১৯: মৃত্যুশয্যায়
মা। শেষ সময়ে প্রিয় সন্তানদের এক নজর দেখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন স্বামীর
কাছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণে তৎপর হলেন স্বামী। তিনি
আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার মতো উন্নত দেশে বসবাসকারী ছেলেমেয়েদের কাছে
ফোন করলেন। কিন্তু তাদের কেউই মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণে আগ্রহ দেখালেন না।
বিভিন্ন অজুহাতে তারা পাশ কাটিয়ে গেলেন। এমনকি মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা
পর্যন্ত বলতে চাইলেন না। আধুনিক জীবনের এই মর্মান্তিক পরিণতি তুলে ধরেছেন
বাংলাদেশ খবরের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান শান্তুনু, তার নিজের ফেসবুকে।
আলোকিত বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তার ফেসবুক ষ্টাটাসটি ধরা হলো।
অবসরে থাকা অধ্যাপক সানোয়ার হোসেনের স্ত্রী মারা যাবেন মাত্র তিন ঘণ্টা পর। স্ত্রী শায়লা হোসেনও এক সময় অধ্যাপনা করতেন। তাদের তিন ছেলে, এক মেয়ে। চারজনই থাকেন বিদেশে। বড্ড আধুনিক জীবনের ঢেউয়ে দোলায়িত তাদের জীবন। মারা যাওয়ার আগে শায়লা হোসেনের মন ভীষণ কেঁদেছে ছেলেমেয়েকে দেখতে। নিজের জরায়ু ছেঁড়া সন্তানকে শেষবারের মতো আদর করতে।
তিনি স্বামীসহ থাকতেন ঢাকায়। ক্যান্সারে ভুগছিলেন ছয় মাস ধরে। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগে থেকে তার স্বামী শুরু করেন ছেলেমেয়ের মুখ মাকে শেষবারের মতো দেখানোর ‘সংগ্রাম’। যুক্তরাষ্ট্রে বাসরত বড় ছেলেকে ফোন করলে জানান, তার স্ত্রীর পেটে অনেক বছর পর বাচ্চা ধরায় এখন ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। কানাডায় থাকা মেজো ছেলের সদ্য একটা নতুন চাকরি হওয়ায়, যুক্তরাজ্যে থাকা ছোট ছেলে পিএইচডি শেষ হওয়ার আগে, যুক্তরাজ্যে থাকা একমাত্র মেয়ের জামাতা নতুন ব্যবসা শুরু করায় এ মুহূর্তে দেশে আসা অসম্ভব- এমনটাই তারা ফোনে জানিয়ে দেন বাবাকে।
ফোন করতে করতে তিন ঘণ্টা কেটে যায়। প্রত্যেকটা ফোন শেষে ছেলেমেয়ের বক্তব্য পাশে শুয়ে থাকা মৃত্যুপথের যাত্রী স্ত্রীকে জানাচ্ছিলেন ‘পরাজিত স্বামী’ অধ্যাপক সানোয়ার। সবশেষে মেয়ের কথা ফোনে জানার পর স্ত্রীর শরীরে হাত দিতেই অনুভব করেন, ‘বেশ ঠাণ্ডা। নেয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ‘শায়লা হোসেন আর নেই’। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে গ্রামে চলে যান অধ্যাপক। ওই গ্রামেই কাটে প্রায় ছয় বছর।
উপরের ঘটনা সত্য, নামগুলো বানানো। তাদের প্রকৃত নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। কোনো সন্তানই তার বাবা, মায়ের কাছ থেকে যতোটা আদর, ভালোবাসা পায়, ততোটা তার বাবা, মাকে ফেরত দিতে পারে না। এটা অনাদিকালের নিয়ম। কারণ, স্নেহ সবসময় নিচের দিকে বয়ে চলে। তাই বলে কি এতোটা নিচের দিকে?
অবসরে থাকা অধ্যাপক সানোয়ার হোসেনের স্ত্রী মারা যাবেন মাত্র তিন ঘণ্টা পর। স্ত্রী শায়লা হোসেনও এক সময় অধ্যাপনা করতেন। তাদের তিন ছেলে, এক মেয়ে। চারজনই থাকেন বিদেশে। বড্ড আধুনিক জীবনের ঢেউয়ে দোলায়িত তাদের জীবন। মারা যাওয়ার আগে শায়লা হোসেনের মন ভীষণ কেঁদেছে ছেলেমেয়েকে দেখতে। নিজের জরায়ু ছেঁড়া সন্তানকে শেষবারের মতো আদর করতে।
তিনি স্বামীসহ থাকতেন ঢাকায়। ক্যান্সারে ভুগছিলেন ছয় মাস ধরে। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগে থেকে তার স্বামী শুরু করেন ছেলেমেয়ের মুখ মাকে শেষবারের মতো দেখানোর ‘সংগ্রাম’। যুক্তরাষ্ট্রে বাসরত বড় ছেলেকে ফোন করলে জানান, তার স্ত্রীর পেটে অনেক বছর পর বাচ্চা ধরায় এখন ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। কানাডায় থাকা মেজো ছেলের সদ্য একটা নতুন চাকরি হওয়ায়, যুক্তরাজ্যে থাকা ছোট ছেলে পিএইচডি শেষ হওয়ার আগে, যুক্তরাজ্যে থাকা একমাত্র মেয়ের জামাতা নতুন ব্যবসা শুরু করায় এ মুহূর্তে দেশে আসা অসম্ভব- এমনটাই তারা ফোনে জানিয়ে দেন বাবাকে।
ফোন করতে করতে তিন ঘণ্টা কেটে যায়। প্রত্যেকটা ফোন শেষে ছেলেমেয়ের বক্তব্য পাশে শুয়ে থাকা মৃত্যুপথের যাত্রী স্ত্রীকে জানাচ্ছিলেন ‘পরাজিত স্বামী’ অধ্যাপক সানোয়ার। সবশেষে মেয়ের কথা ফোনে জানার পর স্ত্রীর শরীরে হাত দিতেই অনুভব করেন, ‘বেশ ঠাণ্ডা। নেয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ‘শায়লা হোসেন আর নেই’। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে গ্রামে চলে যান অধ্যাপক। ওই গ্রামেই কাটে প্রায় ছয় বছর।
উপরের ঘটনা সত্য, নামগুলো বানানো। তাদের প্রকৃত নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। কোনো সন্তানই তার বাবা, মায়ের কাছ থেকে যতোটা আদর, ভালোবাসা পায়, ততোটা তার বাবা, মাকে ফেরত দিতে পারে না। এটা অনাদিকালের নিয়ম। কারণ, স্নেহ সবসময় নিচের দিকে বয়ে চলে। তাই বলে কি এতোটা নিচের দিকে?
No comments