তৃণমূল নেতা কি আসলেই ‘ঘুষের টাকা’ ফেরত দিলেন?
পশ্চিমবঙ্গের
ক্ষমতাসীন এক তৃণমূল নেতার কথিত 'ঘুষের টাকা ফেরত' দেওয়ার ঘটনা নিয়ে
তৈরী হয়েছে বিতর্ক। বীরভূম জেলার ওই গ্রাম স্তরের নেতা গত মঙ্গলবার দু'লাখ
টাকারও বেশী 'ঘুষ নেওয়া অর্থ' ফিরিয়ে দিয়েছেন গ্রামের মানুষকে, এই খবর
জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস ওই খবরটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলি একটি ভিডিও সহ খবর দেখাচ্ছে যে বীরভূম জেলার সিউড়ি অঞ্চলের এক গ্রাম স্তরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ত্রিলোচন মুখার্জী গ্রামের মানুষদের খাতায় সই করিয়ে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন।
গ্রামের মানুষদের একাংশকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই নেতা জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের জন্য আসা অর্থের একটা বড় অংশ ঘুষ হিসাবে নিয়ে নিতেন। এদিন চাপে পড়ে সেই অর্থই তিনি ফিরিয়ে দেন ১৪১ জন গ্রামবাসীকে।
ফিরিয়ে দেয়ার ফলে একেকজন গ্রামবাসী ১৬০০ টাকা করে পেয়েছেন, যেটা মাস দুয়েক আগে কর্মসংস্থান প্রকল্পে তাদের কাজ করার মজুরী।
মোট প্রায় সওয়া দুলাখ টাকা এদিন বিলি করা হয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ওটা সম্পূর্ণ বানোয়াট খবর।
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এটা পুরো সাজানো ঘটনা। অনেক গ্রামবাসীর কাছে আধার নম্বর নেই, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু তাদেরও ১০০ দিনের কাজ দিতে হয়। এইসব গ্রামবাসীদের টাকাই তিনি বিলি করছিলেন। বিজেপি এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশ এটাকেই 'কাটমানি' ফেরত বলে প্রচার করছে।"
ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ত্রিলোচন মুখার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। কিন্তু তিনি যেখানে থাকেন, সেই সিউড়ি দুনম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নুরুল ইসলামও ঘটনাটিকে পুরোই সাজানো বলে মন্তব্য করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গতসপ্তাহে ঘোষণা করেছিলেন যে তার দলের কোনও নেতার ঘুষ নেওয়া তিনি বরদাস্ত করবেন না। যারা টাকা নিয়েছেন, তারাও যেন ফেরত দিয়ে দেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন কমে যাওয়া আর বিজেপির দ্রুত উত্থানের পিছনে অন্যতম কারণ স্থানীয় স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি।
মমতা ব্যানার্জীর ওই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের বাড়ির সামনে। কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরও হয়েছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবস্থা সামাল দিতে নেমে দাবি করেন যে দলের ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতা কর্মীই সৎ। যে সামান্য অংশ অসৎ, তারাও বিজেপিতে চলে গিয়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন।
পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে যাতে না চলে যায়, সেজন্য সরকারও ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে একটি অভিযোগ সেল খোলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস ওই খবরটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলি একটি ভিডিও সহ খবর দেখাচ্ছে যে বীরভূম জেলার সিউড়ি অঞ্চলের এক গ্রাম স্তরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ত্রিলোচন মুখার্জী গ্রামের মানুষদের খাতায় সই করিয়ে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন।
গ্রামের মানুষদের একাংশকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই নেতা জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের জন্য আসা অর্থের একটা বড় অংশ ঘুষ হিসাবে নিয়ে নিতেন। এদিন চাপে পড়ে সেই অর্থই তিনি ফিরিয়ে দেন ১৪১ জন গ্রামবাসীকে।
ফিরিয়ে দেয়ার ফলে একেকজন গ্রামবাসী ১৬০০ টাকা করে পেয়েছেন, যেটা মাস দুয়েক আগে কর্মসংস্থান প্রকল্পে তাদের কাজ করার মজুরী।
মোট প্রায় সওয়া দুলাখ টাকা এদিন বিলি করা হয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ওটা সম্পূর্ণ বানোয়াট খবর।
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "এটা পুরো সাজানো ঘটনা। অনেক গ্রামবাসীর কাছে আধার নম্বর নেই, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু তাদেরও ১০০ দিনের কাজ দিতে হয়। এইসব গ্রামবাসীদের টাকাই তিনি বিলি করছিলেন। বিজেপি এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশ এটাকেই 'কাটমানি' ফেরত বলে প্রচার করছে।"
ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ত্রিলোচন মুখার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। কিন্তু তিনি যেখানে থাকেন, সেই সিউড়ি দুনম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নুরুল ইসলামও ঘটনাটিকে পুরোই সাজানো বলে মন্তব্য করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গতসপ্তাহে ঘোষণা করেছিলেন যে তার দলের কোনও নেতার ঘুষ নেওয়া তিনি বরদাস্ত করবেন না। যারা টাকা নিয়েছেন, তারাও যেন ফেরত দিয়ে দেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন কমে যাওয়া আর বিজেপির দ্রুত উত্থানের পিছনে অন্যতম কারণ স্থানীয় স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি।
মমতা ব্যানার্জীর ওই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের বাড়ির সামনে। কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরও হয়েছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবস্থা সামাল দিতে নেমে দাবি করেন যে দলের ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতা কর্মীই সৎ। যে সামান্য অংশ অসৎ, তারাও বিজেপিতে চলে গিয়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন।
পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে যাতে না চলে যায়, সেজন্য সরকারও ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে একটি অভিযোগ সেল খোলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
No comments