বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসায় ওয়াসিম আকরাম by ইশতিয়াক পারভেজ
আইসিসির
নিয়মের শেষ নেই। নিজেদের ব্যবসা সফল করতে এখানে আসা সংবাদকর্মীদের জন্য
নিয়ম আর নিয়ম। খেলার দিন মাঠের আঙ্গিনাতে ভিডিও নেই। কেউ সেলফিও তুলতে
পারবে না। তুললে কড়া শাস্তি। তাই চোখের সামনে ক্রিকেটের সাবেক হিরোদের
ঘুরতে দেখলেও হাত পা অনেকটাই বাঁধা। কথা যে বলা যাবে না! তবে এজবাস্টন
স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স থেকে লিফট দিয়ে নামলেই রাস্তা। সেখানেই পাওয়া গেলো
পাকিস্তানের গ্রেট ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামকে।
নামটা শুনলেই টাইগারভক্তদের চোখে ভেসে উঠতে পারে ১৯৯৯’র বিশ্বকাপ।
সেবার তুখোড় ফর্মের পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দেখেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনেই ওই ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘ভাইদের কাছে হেরেছি।’ হ্যাঁ, টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাসে ওই জয়ের গুরুত্ব অনেক। সেবারের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে টেস্ট মর্যাদার দাবিটা জোরদার হয়েছিল বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশের সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে কথা বলবেন কি বলবেন না, আকরাম একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন মনে হলো। এরপর জানিয়ে দিলেন আইসিসির নিয়ম অফিসিয়ালি কথা বলতে পারবেন না। তবে দুই একটি কথা বলতে পারেন ভিডিও না করার শর্তে। তার সেই শর্ত মেনেই জানতে চাওয়া টাইগারদের সম্ভাবনা কতটা? কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভয় সবার। তারা ভালো খেলছে, তারা অনেক উন্নতি করেছে।’ তার মুখভঙ্গি দেখে মনে হলো মাশরাফিদের নিয়ে সবার ভয়টা তাকে হয়তো মনে করিয়ে দিচ্ছে ৯৯’র সেই ম্যাচের কথাই।
ইংল্যান্ডে ৯৯’র বিশ্বকাপে পাকিস্তান ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কাছে হেরে যায়। তার আগে তাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার। সেবার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে দল টসে হেরে পাক অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমেছিল। ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৩ রানই করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬১ রানে। অধিনায়ক আকরাম বল হাতে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ২৯ রান করে তার দলকে বাঁচাতে পারেননি। সেই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বর্তমানে তিনি আছেন টাইগারদের ম্যানেজার হয়েই। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই ম্যাচে জয় দুই দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ এই ম্যাচটি দুই দলের জন্য হতে পারে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইও। এমন গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচ নিয়ে ওয়াসিম আকরাম অবশ্য থাকলেন নীরব। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘টাকা ছাড়াতো আমি এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না! হা হা হা হা (হাসি)। দেখা যাক কী হয়।’ তার সেই অট্টহাসিটাও যেন বেশ মেকিই মনে হলো। যেন দ্রুত পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের হাত থেকে।
ওয়াসিম আকরামের সুইং বোলিংয়ের কীর্তি সবার জানা। ‘সুলতান অব সুইং’ নামও পেয়ে গিয়েছেন এই কিংবদন্তির পেসার। তাই তাকে প্রশ্নটা করতেই হলো- আপনাকেতো সুলতান অব সুইং বলা হতো। এখন কি তেমন পেসার দেখেন আপনি? নিজের প্রশংসা শুনে এবার একটু হাসলেন তিনি। অনেকটা লজ্জা পেয়েই যেন বলেন, ‘না না, এখনো অনেক দারুণ সব পেসার আছে। পেসারদের দিন শেষ হয়নি এটা ভুলে গেলে হবে না। পেসাররাই ক্রিকেটের প্রাণ।’
এরপরই বলেন, ‘আর না, আমি চুক্তিবদ্ধ। এত কথা বললে আমাকে তো তারা কথাই বলতে দিবে না। হা হা হা হা (হাসি)। বলেই হনহন করে উঠে গেলেন উপরে কমেন্ট্রি বক্সের দিকে। এর আগে বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের দিন তাকে বেশ ফুরফুরেই লাগছিল। কারণ ব্ল্যাকক্যাপদের ২৩৭ রানে আটকে ফেলেছিল পাকিস্তান। আর ইনিংস বিরতিতে খেতে এসে গল্পই জুড়েছিলেন নিজ দেশের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। সেই আলোচনাতেও বেশ কয়েকবার তিনি উচ্চারণ করেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান শেষ ম্যাচের কথা। নানাভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন তাদের শেষ সবকটি ম্যাচই জিততে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে সেখান থেকে নিচে নেমে টাইগারদের প্রসঙ্গে কথা তেমন বলতে চাইলেন না। এমন হতে পারে তার মনে এখনো দাগ কেটে আছে সেই ৯৯’এর লজ্জার হার! তবে দ্রুত চলে গেলেও সেলফি নিতে ভোলেননি। বলেন- ইন্টার ভিউ দিতে না পারলেও এটা তোমার জন্য উপহার।
নামটা শুনলেই টাইগারভক্তদের চোখে ভেসে উঠতে পারে ১৯৯৯’র বিশ্বকাপ।
সেবার তুখোড় ফর্মের পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দেখেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনেই ওই ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বলেছিলেন, ‘ভাইদের কাছে হেরেছি।’ হ্যাঁ, টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাসে ওই জয়ের গুরুত্ব অনেক। সেবারের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে টেস্ট মর্যাদার দাবিটা জোরদার হয়েছিল বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশের সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে কথা বলবেন কি বলবেন না, আকরাম একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন মনে হলো। এরপর জানিয়ে দিলেন আইসিসির নিয়ম অফিসিয়ালি কথা বলতে পারবেন না। তবে দুই একটি কথা বলতে পারেন ভিডিও না করার শর্তে। তার সেই শর্ত মেনেই জানতে চাওয়া টাইগারদের সম্ভাবনা কতটা? কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভয় সবার। তারা ভালো খেলছে, তারা অনেক উন্নতি করেছে।’ তার মুখভঙ্গি দেখে মনে হলো মাশরাফিদের নিয়ে সবার ভয়টা তাকে হয়তো মনে করিয়ে দিচ্ছে ৯৯’র সেই ম্যাচের কথাই।
ইংল্যান্ডে ৯৯’র বিশ্বকাপে পাকিস্তান ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কাছে হেরে যায়। তার আগে তাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার। সেবার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে দল টসে হেরে পাক অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমেছিল। ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৩ রানই করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬১ রানে। অধিনায়ক আকরাম বল হাতে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ২৯ রান করে তার দলকে বাঁচাতে পারেননি। সেই ম্যাচে টাইগারদের জয়ের নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বর্তমানে তিনি আছেন টাইগারদের ম্যানেজার হয়েই। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই ম্যাচে জয় দুই দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ এই ম্যাচটি দুই দলের জন্য হতে পারে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইও। এমন গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচ নিয়ে ওয়াসিম আকরাম অবশ্য থাকলেন নীরব। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘টাকা ছাড়াতো আমি এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না! হা হা হা হা (হাসি)। দেখা যাক কী হয়।’ তার সেই অট্টহাসিটাও যেন বেশ মেকিই মনে হলো। যেন দ্রুত পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের হাত থেকে।
ওয়াসিম আকরামের সুইং বোলিংয়ের কীর্তি সবার জানা। ‘সুলতান অব সুইং’ নামও পেয়ে গিয়েছেন এই কিংবদন্তির পেসার। তাই তাকে প্রশ্নটা করতেই হলো- আপনাকেতো সুলতান অব সুইং বলা হতো। এখন কি তেমন পেসার দেখেন আপনি? নিজের প্রশংসা শুনে এবার একটু হাসলেন তিনি। অনেকটা লজ্জা পেয়েই যেন বলেন, ‘না না, এখনো অনেক দারুণ সব পেসার আছে। পেসারদের দিন শেষ হয়নি এটা ভুলে গেলে হবে না। পেসাররাই ক্রিকেটের প্রাণ।’
এরপরই বলেন, ‘আর না, আমি চুক্তিবদ্ধ। এত কথা বললে আমাকে তো তারা কথাই বলতে দিবে না। হা হা হা হা (হাসি)। বলেই হনহন করে উঠে গেলেন উপরে কমেন্ট্রি বক্সের দিকে। এর আগে বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের দিন তাকে বেশ ফুরফুরেই লাগছিল। কারণ ব্ল্যাকক্যাপদের ২৩৭ রানে আটকে ফেলেছিল পাকিস্তান। আর ইনিংস বিরতিতে খেতে এসে গল্পই জুড়েছিলেন নিজ দেশের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। সেই আলোচনাতেও বেশ কয়েকবার তিনি উচ্চারণ করেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান শেষ ম্যাচের কথা। নানাভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন তাদের শেষ সবকটি ম্যাচই জিততে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে সেখান থেকে নিচে নেমে টাইগারদের প্রসঙ্গে কথা তেমন বলতে চাইলেন না। এমন হতে পারে তার মনে এখনো দাগ কেটে আছে সেই ৯৯’এর লজ্জার হার! তবে দ্রুত চলে গেলেও সেলফি নিতে ভোলেননি। বলেন- ইন্টার ভিউ দিতে না পারলেও এটা তোমার জন্য উপহার।
No comments