বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় সংসদের বিশেষ আয়োজন by কাজী সোহাগ
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী পালনের কর্মসূচিতে চমক থাকবে সংসদ
সচিবালয়ের। সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে তৈরি করা হবে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ।
বছরব্যাপী ওই মঞ্চে থাকবে নানা আয়োজন। ডাকা হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিশ্বের সব দেশের পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পাঠানো
হবে বিশেষ উপহার প্যাকেট। প্যাকেটে থাকবে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর ইংরেজী
ভার্সন, প্রকাশনা, ব্রুসিয়ার, মেমোরিয়াল কয়েন। এছাড়া দেশী-বিদেশী অতিথিদের
অংশগ্রহণে থাকবে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। সংশ্লিষ্টরা জানান, বছরব্যপী
অনুষ্ঠান ঘিরে আরও চমকপ্রদ কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে শতাধিক খসড়া
প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। সম্প্রতি
মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য সব মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির
সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রকাশনা বিষয়ক দুটি উপ-কমিটি কাজ শুরু করেছে। আরেকটি আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বিদেশী অতিথিদের নির্বাচন ও তাদের আমন্ত্রণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। প্রায় সব এমপিকে সম্পৃক্ত করা হবে মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচিতে। তাদের সঙ্গে থাকবেন সংসদ সচিবালয়ের ১২শ কর্মকর্তা ও কর্মচারি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, যেহেতু মুজিব বর্ষ পালনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয়ভাবে কমিটি গঠন করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকেও ব্যপকভাবে আয়োজন করা হবে তাই আমরাও পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে আয়োজন করবো। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ পালন উপলক্ষ্যে প্রায় শতাধিক প্রস্তাব এসেছে। এখনও চূড়ান্ত করিনি। বিবেচনা ও যাচাই বাছাই করে শিগগির কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
স্পিকার বলেন, পুরো বছরব্যপী অনুষ্টানসূচি সাজানো হবে। বেশকিছু সেমিনার, ওয়ার্কশপ থাকবে বঙ্গবন্ধুর ওপরে। সেখানে হয়তো বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ান, স্পিকারসহ কাদের আনা যায় সেটা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, অনেক প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ করার প্রস্তাব। বছরব্যপী ওই মঞ্চ রাখা হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান চলবে। সেখানে ফটোগ্রাফ এক্সিবিউশন হতে পারে, সংসদ কেন্দ্রিক উনার যেসব বক্তব্য তা অডিও করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অনেক ইন্টারেস্টিং প্রস্তাবও এসেছে। তবে বঙ্গবন্ধু মঞ্চটা এক বছরের জন্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওপরে কোন বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায় কিনা সেটাও ভাবা হচ্ছে। সেটা হলে কিভাবে তা সাজানো হবে, কারা বক্তব্য রাখবেন, বাইরের কোন অতিথি আসবেন কিনা তা ভাবা হচ্ছে। সংসদের এসব প্রোগ্রামের সঙ্গে জাতীয় কমিটির অনুষ্ঠানের সঙ্গে যেন কোন বিরোধ তৈরি না করে সে বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। সমন্বয় করতে হবে। একা একা অনুষ্ঠানমালা সাজানো ঠিক হবে না। ব্যপক আয়োজনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষ পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার জন্ম-শতবার্ষিকী অনেক বড় বিষয়। তার চাইতে আমি যেটা মনে করি আমরা যে সুযোগটা পাচ্ছি এই সময়টা যে আমরা সেলিব্রেট করতে পারছি সেটাও কিন্তু একটি ঐতিহাসিক ব্যপার। আমরা প্রত্যেকে একটি ইতিহাসের অংশ হবো। তিনি বলেন,আমরা তো আর কেউ চিরকাল থাকবো না। আগামীতে আরও অনেক প্রজন্ম আসবে।
কিন্তু এটা আমাদের জন্য একটি মাইলস্টোন হিসেবে থাকবে। এ সুযোগ পাওয়াটা অনেক বিরল বিষয় বলে মনে করি। স্পিকার বলেন, সংসদের পক্ষ থেকে আমরা জাতির কাছে বা ভবিষ্যত প্রজন্মর কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে, যার জন্য আমাদের এই দেশ, যার জন্য আমাদের এই সংসদ, যার জন্য আমরা আজকে সারাবিশ্বে মাথাউঁচু করে স্বাধীন জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারি, যাকে ঘিরে সরাবিশ্বে আমাদের আত্মপরিচয়, বাঙালি হিসেবে আত্মপরিচয় এজন্য তার জীবনকে, জন্মকে আমরা সেলিব্রেট করবো। একজন মহান নেতা কিন্তু সচরাচর একটি জাতির জীবনে আসে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই ক্ষণজন্মা একজন মানুষ। নেতা। তিনি বলেন, আরও অনেক ধরণের প্রস্তাব আছে। এক্ষেত্রে সমন্বয়টা খুব জরুরি। কারণ জাতীয় কমিটি যে কাজ করবে আমরা তার ডুব্লিকেট করতে চাই না। আমরা আমাদের স্বাতন্ত্রিকতা রেখে সংসদ কেন্দ্রিক কিভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করা যায় সেটা দেখবো। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ও কিন্তু কাজ করবে। যেমন-যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় তারা তাদের মতো করে অনুষ্ঠান করবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সারাদেশে কিভাবে পালন করবে তারা ঠিক করবে। তবে প্রত্যেকের একটি বিষয়বস্তু আছে। পার্লামেন্টেরও একটা বড় বিষয়বস্তু আছে। যেমন-গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, দেশকে এগিয়ে নেয়া, উন্নয়ন সবকিছু। স্পিকার বলেন, গণপরিষদ, সংবিধান প্রণয়ন থেকে শুরু করে জাতির পিতার কাজগুলো সেগুলো আমরা ফোকাস করবো।
একটি দেশসৃষ্টি ও সংবিধান প্রণনের জন্য যা কিছু তিনি করেছেন তা তুলে ধরা হবে। সংবিধান প্রণয়নের মধ্য দিয়ে কিন্তু পুরো রাষ্ট্রের কাঠামো, কিভাবে দেশ চলবে সবকিছু সেখানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সেটাও কিন্তু জাতির পিতা ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই ১১ জানুয়ারি সংবিধানের প্রণয়নের কাজটি হাতে নিয়েছিলেন। তারপর কিভাবে গণপরিষদে সংবিধান পাস হলো এসব দিক থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখবো। পাশাপাশি সংসদে উনি কি কি বক্তব্য রেখেছেন তা দেখা হবে। বঙ্গবন্ধুর তো অনেক বক্তব্য রয়েছে। তবে পার্লামে›কে›িন্দ্রক যে বক্তব্যগুলো আছে সেসব বিষয় হাইলাইট করা হবে। স্পিকার বলেন,আরেকটি পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সংসদকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিষয়টি জানাতে চাই। সেটার বিষয়ে আমার নিজস্ব একটি চিন্তা রয়েছে। তাহলো-বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর ইংরেজির কপি, তার সঙ্গে আরও কিছু প্রকাশনা বা মেমোরিয়াল কয়েন, ব্রুসিয়ার একসঙ্গে একটি প্যাকেজ করে সারাবিশ্বের সব স্পিকারের কাছে পাঠাতে পারি। এমপিদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, সব এমপিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে এসব অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবে।
আরও অনেক সাব-কমিটি গঠন করা হবে। দায়িত্বগুলো বন্টন করে দেয়া হবে বাস্তবায়নের জন্য। কারও একার পক্ষে তো এত অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে না। এমপিদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদেরও আমরা সংযুক্ত করবো। উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ফেব্রুয়ারিতে দুটি কমিটি গঠন করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। জাতীয় কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে,আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদন করবে এই কমিটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
এর মধ্যে প্রকাশনা বিষয়ক দুটি উপ-কমিটি কাজ শুরু করেছে। আরেকটি আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বিদেশী অতিথিদের নির্বাচন ও তাদের আমন্ত্রণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। প্রায় সব এমপিকে সম্পৃক্ত করা হবে মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচিতে। তাদের সঙ্গে থাকবেন সংসদ সচিবালয়ের ১২শ কর্মকর্তা ও কর্মচারি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, যেহেতু মুজিব বর্ষ পালনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয়ভাবে কমিটি গঠন করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকেও ব্যপকভাবে আয়োজন করা হবে তাই আমরাও পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে আয়োজন করবো। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ পালন উপলক্ষ্যে প্রায় শতাধিক প্রস্তাব এসেছে। এখনও চূড়ান্ত করিনি। বিবেচনা ও যাচাই বাছাই করে শিগগির কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
স্পিকার বলেন, পুরো বছরব্যপী অনুষ্টানসূচি সাজানো হবে। বেশকিছু সেমিনার, ওয়ার্কশপ থাকবে বঙ্গবন্ধুর ওপরে। সেখানে হয়তো বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ান, স্পিকারসহ কাদের আনা যায় সেটা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, অনেক প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ করার প্রস্তাব। বছরব্যপী ওই মঞ্চ রাখা হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান চলবে। সেখানে ফটোগ্রাফ এক্সিবিউশন হতে পারে, সংসদ কেন্দ্রিক উনার যেসব বক্তব্য তা অডিও করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অনেক ইন্টারেস্টিং প্রস্তাবও এসেছে। তবে বঙ্গবন্ধু মঞ্চটা এক বছরের জন্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওপরে কোন বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায় কিনা সেটাও ভাবা হচ্ছে। সেটা হলে কিভাবে তা সাজানো হবে, কারা বক্তব্য রাখবেন, বাইরের কোন অতিথি আসবেন কিনা তা ভাবা হচ্ছে। সংসদের এসব প্রোগ্রামের সঙ্গে জাতীয় কমিটির অনুষ্ঠানের সঙ্গে যেন কোন বিরোধ তৈরি না করে সে বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। সমন্বয় করতে হবে। একা একা অনুষ্ঠানমালা সাজানো ঠিক হবে না। ব্যপক আয়োজনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষ পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার জন্ম-শতবার্ষিকী অনেক বড় বিষয়। তার চাইতে আমি যেটা মনে করি আমরা যে সুযোগটা পাচ্ছি এই সময়টা যে আমরা সেলিব্রেট করতে পারছি সেটাও কিন্তু একটি ঐতিহাসিক ব্যপার। আমরা প্রত্যেকে একটি ইতিহাসের অংশ হবো। তিনি বলেন,আমরা তো আর কেউ চিরকাল থাকবো না। আগামীতে আরও অনেক প্রজন্ম আসবে।
কিন্তু এটা আমাদের জন্য একটি মাইলস্টোন হিসেবে থাকবে। এ সুযোগ পাওয়াটা অনেক বিরল বিষয় বলে মনে করি। স্পিকার বলেন, সংসদের পক্ষ থেকে আমরা জাতির কাছে বা ভবিষ্যত প্রজন্মর কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে, যার জন্য আমাদের এই দেশ, যার জন্য আমাদের এই সংসদ, যার জন্য আমরা আজকে সারাবিশ্বে মাথাউঁচু করে স্বাধীন জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারি, যাকে ঘিরে সরাবিশ্বে আমাদের আত্মপরিচয়, বাঙালি হিসেবে আত্মপরিচয় এজন্য তার জীবনকে, জন্মকে আমরা সেলিব্রেট করবো। একজন মহান নেতা কিন্তু সচরাচর একটি জাতির জীবনে আসে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই ক্ষণজন্মা একজন মানুষ। নেতা। তিনি বলেন, আরও অনেক ধরণের প্রস্তাব আছে। এক্ষেত্রে সমন্বয়টা খুব জরুরি। কারণ জাতীয় কমিটি যে কাজ করবে আমরা তার ডুব্লিকেট করতে চাই না। আমরা আমাদের স্বাতন্ত্রিকতা রেখে সংসদ কেন্দ্রিক কিভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করা যায় সেটা দেখবো। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ও কিন্তু কাজ করবে। যেমন-যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় তারা তাদের মতো করে অনুষ্ঠান করবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সারাদেশে কিভাবে পালন করবে তারা ঠিক করবে। তবে প্রত্যেকের একটি বিষয়বস্তু আছে। পার্লামেন্টেরও একটা বড় বিষয়বস্তু আছে। যেমন-গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, দেশকে এগিয়ে নেয়া, উন্নয়ন সবকিছু। স্পিকার বলেন, গণপরিষদ, সংবিধান প্রণয়ন থেকে শুরু করে জাতির পিতার কাজগুলো সেগুলো আমরা ফোকাস করবো।
একটি দেশসৃষ্টি ও সংবিধান প্রণনের জন্য যা কিছু তিনি করেছেন তা তুলে ধরা হবে। সংবিধান প্রণয়নের মধ্য দিয়ে কিন্তু পুরো রাষ্ট্রের কাঠামো, কিভাবে দেশ চলবে সবকিছু সেখানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সেটাও কিন্তু জাতির পিতা ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই ১১ জানুয়ারি সংবিধানের প্রণয়নের কাজটি হাতে নিয়েছিলেন। তারপর কিভাবে গণপরিষদে সংবিধান পাস হলো এসব দিক থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখবো। পাশাপাশি সংসদে উনি কি কি বক্তব্য রেখেছেন তা দেখা হবে। বঙ্গবন্ধুর তো অনেক বক্তব্য রয়েছে। তবে পার্লামে›কে›িন্দ্রক যে বক্তব্যগুলো আছে সেসব বিষয় হাইলাইট করা হবে। স্পিকার বলেন,আরেকটি পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সংসদকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিষয়টি জানাতে চাই। সেটার বিষয়ে আমার নিজস্ব একটি চিন্তা রয়েছে। তাহলো-বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর ইংরেজির কপি, তার সঙ্গে আরও কিছু প্রকাশনা বা মেমোরিয়াল কয়েন, ব্রুসিয়ার একসঙ্গে একটি প্যাকেজ করে সারাবিশ্বের সব স্পিকারের কাছে পাঠাতে পারি। এমপিদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, সব এমপিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে এসব অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবে।
আরও অনেক সাব-কমিটি গঠন করা হবে। দায়িত্বগুলো বন্টন করে দেয়া হবে বাস্তবায়নের জন্য। কারও একার পক্ষে তো এত অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে না। এমপিদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদেরও আমরা সংযুক্ত করবো। উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ফেব্রুয়ারিতে দুটি কমিটি গঠন করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। জাতীয় কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে,আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদন করবে এই কমিটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
No comments