মেহেদি রাঙা হাত: শখ থেকে পেশা by সঞ্চিতা সীতু
রাজধানীর
অনেক মার্কেটের সামনে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে মেহেদির রঙ ছড়াচ্ছেন অনেকে।
সাধারণত ২৭ রমজান থেকেই বসতে শুরু করেন তারা। প্রথম দিন কম মানুষ এলেও
চাঁদরাতে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। হাতে মেহেদি আঁকতে মানুষের দীর্ঘ সারিও
দেখা যায় কোথাও কোথাও। তাদের কথা ভেবে মেহেদি আঁকা অনেকের শখ থেকে পরিণত
হয়েছে পেশায়।
এমন একজন উদ্যোক্তা শারমিন আজাদ লুবনা। ছোটবেলা থেকেই মেহেদির নকশার প্রতি তার শখ ছিল। শুরুর দিকে ফুরসত পেলেই নিজের হাতে নকশা করতেন। এরপর মেহেদির রঙে আঁকার জন্য ধরতেন পরিবারের সদস্যদের হাত।
লুবনা কলেজে পড়ার সময় আশেপাশের অনেকে মেহেদি রাঙা হাতের জন্য আসতেন তার কাছে। শখের বসেই বেইলি রোডের একটি বিপণি বিতানের সামনে চেয়ার-টেবিল বসতে শুরু করেন তিনি। কয়েক বছর ধরে ঈদের আগের তিন দিন সেখানে বসেই মেহেদির রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। হাতে হাতে মেহেদি রঙ দিয়ে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে খুবই ভালো লাগে তার।
শখ থেকে এখন মেহেদি আঁকা পরিণত হয়েছে লুবনার পেশায়। তিনি কর্মরত আছেন একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানে। অফিসের কাজের ফাঁকে মেহেদির কাজগুলো করেন। খুলেছেন লুবনাজ মেহেদি ওয়েব পেজ।লুবনা বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় হয় তার।
ঈদের আগের তিন দিনের প্রথম দুই দিন রাত ১০টার পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকে লুবনার। তবে চাঁদরাতে এত ভিড় থাকে যে বাসায় ফিরতে ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়ে যায় রাত ১টার ঘর। তবুও নিরাশ করতে হয় অনেককে। কারণ তখন আর হাত চলে না। লুবনার কথায়, ‘মেয়েদের আগ্রহের কথা ভেবে কষ্ট হলেও কাউকে ফিরিয়ে না দিতে চেষ্টা করি। হাতে হাতে রঙ ছড়িয়েই যে আনন্দ আমার।’
একইভাবে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন নিভৃতা খান। তার ফেসবুক পেজের নাম ‘ইউনিক অ্যান্ড এক্সোটিক’। তিনি পড়াশোনা করছেন মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করতে এলেই কাজিনদের নিয়ে মেহেদির কাজ করেন। তার কাছেও এটা ছিল শখ। এখন তা দাঁড়িয়েছে পেশায়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মেহেদি আঁকার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে ভালো লাগে।’
নিভৃতাকে সহযোগিতা করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নওশীন অঞ্জন ইতু ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া নিশিথা। তারা জানান, দিনে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয় তাদের।
ইতু বলেন, ‘ক্লাস সেভেন-এইট থেকেই পরিবারের সদস্যদের হাতে মেহেদি আঁকা দিয়ে শুরু। এরপর প্রতিবেশীরাও আসতো আমাদের কাছে। বন্ধুদের আগ্রহে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। পড়াশোনার ফাঁকে এই কাজে পরিবারের সহযোগিতা ছিল সবসময়।’
ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের সমানে একইভাবে মেহেদি আঁকছেন নূর। তিনিও মালয়েশিয়ার বাসিন্দা। স্কিন অ্যান্ড হেয়ার প্রবলেম সল্যুশন নামে তারও একটি ফেসবুক পেজ আছে। এবার তিন দিন ধরে বিপণি বিতানটির সামনে বসছেন তিনি।
গৃহিণী ফারজানা রহমান কয়েক বছর ধরে চাঁদরাতে ইস্টার্ন প্লাসে গিয়ে হাতে মেহেদির নকশা করে যান। একই স্থানে মেহেদি দিতে আসা পলি সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, তিনি কখনোই এভাবে মেহেদি দেননি। কিন্তু আজ বন্ধুদের অনুরোধেই হাতে মেহেদি আঁকালেন। তিনি বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে।’
ওদিকে বেইলি রোডে মেহেদি দিতে আসা ভিকারুননিসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর অর্পি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই প্রথম তিনি এখানে মেহেদি দিতে এসেছেন। তার কথায়, ‘কেনাকাটার পাশাপাশি ফেরার পথে মেহেদি রাঙা হাত নিয়ে ঘরে ফিরছি। ভালোই লাগছে। এখন একটা ঈদের আমেজ চলে এসেছে চারদিকে।’
এমন একজন উদ্যোক্তা শারমিন আজাদ লুবনা। ছোটবেলা থেকেই মেহেদির নকশার প্রতি তার শখ ছিল। শুরুর দিকে ফুরসত পেলেই নিজের হাতে নকশা করতেন। এরপর মেহেদির রঙে আঁকার জন্য ধরতেন পরিবারের সদস্যদের হাত।
লুবনা কলেজে পড়ার সময় আশেপাশের অনেকে মেহেদি রাঙা হাতের জন্য আসতেন তার কাছে। শখের বসেই বেইলি রোডের একটি বিপণি বিতানের সামনে চেয়ার-টেবিল বসতে শুরু করেন তিনি। কয়েক বছর ধরে ঈদের আগের তিন দিন সেখানে বসেই মেহেদির রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। হাতে হাতে মেহেদি রঙ দিয়ে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে খুবই ভালো লাগে তার।
শখ থেকে এখন মেহেদি আঁকা পরিণত হয়েছে লুবনার পেশায়। তিনি কর্মরত আছেন একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানে। অফিসের কাজের ফাঁকে মেহেদির কাজগুলো করেন। খুলেছেন লুবনাজ মেহেদি ওয়েব পেজ।লুবনা বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় হয় তার।
ঈদের আগের তিন দিনের প্রথম দুই দিন রাত ১০টার পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকে লুবনার। তবে চাঁদরাতে এত ভিড় থাকে যে বাসায় ফিরতে ঘড়ির কাঁটা ছুঁয়ে যায় রাত ১টার ঘর। তবুও নিরাশ করতে হয় অনেককে। কারণ তখন আর হাত চলে না। লুবনার কথায়, ‘মেয়েদের আগ্রহের কথা ভেবে কষ্ট হলেও কাউকে ফিরিয়ে না দিতে চেষ্টা করি। হাতে হাতে রঙ ছড়িয়েই যে আনন্দ আমার।’
একইভাবে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন নিভৃতা খান। তার ফেসবুক পেজের নাম ‘ইউনিক অ্যান্ড এক্সোটিক’। তিনি পড়াশোনা করছেন মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করতে এলেই কাজিনদের নিয়ে মেহেদির কাজ করেন। তার কাছেও এটা ছিল শখ। এখন তা দাঁড়িয়েছে পেশায়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মেহেদি আঁকার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে ভালো লাগে।’
নিভৃতাকে সহযোগিতা করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নওশীন অঞ্জন ইতু ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া নিশিথা। তারা জানান, দিনে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয় তাদের।
ইতু বলেন, ‘ক্লাস সেভেন-এইট থেকেই পরিবারের সদস্যদের হাতে মেহেদি আঁকা দিয়ে শুরু। এরপর প্রতিবেশীরাও আসতো আমাদের কাছে। বন্ধুদের আগ্রহে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। পড়াশোনার ফাঁকে এই কাজে পরিবারের সহযোগিতা ছিল সবসময়।’
ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের সমানে একইভাবে মেহেদি আঁকছেন নূর। তিনিও মালয়েশিয়ার বাসিন্দা। স্কিন অ্যান্ড হেয়ার প্রবলেম সল্যুশন নামে তারও একটি ফেসবুক পেজ আছে। এবার তিন দিন ধরে বিপণি বিতানটির সামনে বসছেন তিনি।
গৃহিণী ফারজানা রহমান কয়েক বছর ধরে চাঁদরাতে ইস্টার্ন প্লাসে গিয়ে হাতে মেহেদির নকশা করে যান। একই স্থানে মেহেদি দিতে আসা পলি সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, তিনি কখনোই এভাবে মেহেদি দেননি। কিন্তু আজ বন্ধুদের অনুরোধেই হাতে মেহেদি আঁকালেন। তিনি বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে।’
ওদিকে বেইলি রোডে মেহেদি দিতে আসা ভিকারুননিসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর অর্পি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই প্রথম তিনি এখানে মেহেদি দিতে এসেছেন। তার কথায়, ‘কেনাকাটার পাশাপাশি ফেরার পথে মেহেদি রাঙা হাত নিয়ে ঘরে ফিরছি। ভালোই লাগছে। এখন একটা ঈদের আমেজ চলে এসেছে চারদিকে।’
No comments