সিঙ্গাপুর সামিটে জিতেছেন কিম জং by মিসবাহুল হক
কয়েক
মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক
বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য রাষ্ট্র
সিঙ্গাপুর তাদের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের
আয়োজন করে। এই দেশটি বহু বছর ধরেই উভয় পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায়
রেখেছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশে কিম জং উনের আবাসনের খরচ
দেয়া নিয়ে বেশ জটিলতা রয়েছে। তাই উত্তর কোরিয়ার নেতার আবাসন, বৈঠকের
প্রস্তুতিসহ দুই নেতার নিরাপত্তার জন্য সিঙ্গাপুর প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার খরচ
করেছে। কিম জংকে পিয়ংইয়ং থেকে ৩ হাজার মাইল দূরে অবস্থিত সিঙ্গাপুরে
পৌঁছে দেয়ার জন্য এয়ার চাইনা’র একটি বিমান দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ
মিত্র চীন। সিঙ্গাপুরে বিরোধপূর্ণ দু’দেশের নেতার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকের
সংবাদ সংগ্রহ করতে সিঙ্গাপুরে জড়ো হন হাজার হাজার সাংবাদিক।
তবে এসব মহাযজ্ঞ ও বিশাল প্রত্যাশার পরেও সামিটের ফলাফল ব্যাপক হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দেয়া যৌথ বিবৃতি ছিল খুবই সাধারণ একটি নথি। যাতে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বাস্তব সমঝোতার উল্লেখ নেই। সর্বোপরি, সামিটের মূল অর্জন এটা হতে পারে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে একজন কুখ্যাত স্বৈরশাসককে বৈধতা দিয়েছেন।
অকারণে হইচই: দু’জনই বৈঠকে বসার জন্য মরিয়া ছিলেন। তবে সম্ভবত ট্রাম্প বেশি আগ্রহী ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বৈদেশিক কূটনীতির প্রথম সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছেন। কেননা, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে ধস নেমেছে। সম্প্রতি বাণিজ্য নীতি নিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ, রাশিয়াকে আবারো জি-৭ এ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিলের ব্যাপক সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এমন অবস্থায় অল্প সময়ের জন্য হলেও ট্রাম্পকে কূটনৈতিক উত্থানের সুযোগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কিমকে প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জবাবে তুলনামূলক কম আগ্রহী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বলেন, ‘আমরা আছি, সবকিছু ঠিক করে ফেলবো।’
পরে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প ও কিম জং স্থায়ী, শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ কোরিয়া উপদ্বীপ গঠন করার অঙ্গীকার করেন। আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের নিরাপত্তা দেয়ার অঙ্গীকার করে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য দু’দেশ দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দাবির কথা উল্লেখ ছিল না। সেটি হলো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনার পুরোপুরি, যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় নিরস্ত্রীকরণ। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংকে ঠিক কি ধরনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছে সে বিষয়টিও স্পষ্ট করেন নি ট্রাম্প। খুবই সাধারণভাবে দুই নেতা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য তাদের দৃঢ় ও অবিচল অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরিয়া উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য কোনো চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় লাগতে পারে। সম্ভবত এ জন্য সত্যিকার একটি ফলপ্রসূ চুক্তির চেয়ে বৈঠক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ক্ষণিকের আলোড়নই ট্রাম্পের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সামিটের ফলাফল হিসেবে কয়েকটি ‘সাধারণ বিবৃতি’ ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া কষ্টকর। চূড়ান্ত একটি চুক্তি করার আগ পর্যন্ত পরবর্তী বছরগুলোতে দুই নেতা পরস্পরের দেশে সফর করবেন। ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে আরো বৈঠক হতে পারে।
কিম জং উনের বিজয়: যেহেতু সামিটের পর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বাস্তবসম্মত কোনো বক্তব্য ছিল না, তাই কিম জংই বৈঠকের বিজয়ীপক্ষ হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি বিশ্ব তারকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সমর্থনে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনায় অংশ নিয়ে কিম তার দেশের বৈধতা আরো পোক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই নিঃসন্দেহে এই সামিট উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাষ্ট্রÑ সব প্রভাবশালী দেশেরই সামিটের সমঝোতা এগিয়ে নেয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া বন্ধ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। পাশাপাশি কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করবেন তিনি।
সামিটের ঘোষণা সিউলে অসন্তোষ উস্কে দিয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার কাছে সুমধুর লেগেছে।
কেননা, তারা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি পেয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্প বারবার কিম জংয়ের প্রশংসা করছেন। দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার গল্প শোনাচ্ছেন। তখনও বিচ্ছিন্ন দেশটি আস্তে আস্তেÍ চুপিসারে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ট্রাম্প ও কিম জংকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ারও কথা উঠেছে।
নিশ্চিতভাবেই (উত্তর কোরিয়ার) সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি এখন আর আলোচনার টেবিলে নেই। সময়ের পরিক্রমায় এটি যেকোনো বিষয়ের আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার ব্যাপারে অনেক দেশের আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই সিঙ্গাপুর সামিট প্রকৃতপক্ষেই কিম জংয়ের জন্য বড় বিজয়। যা তাকে কৌশলগত অবকাশ দিয়েছে। পরবর্তী মাসগুলোতে, উত্তর কোরিয়া দাবা খেলার মতো করে পরবর্তী পদক্ষেপ সাজাবে। দীর্ঘ সমঝোতার পর স্থায়ী ও চূড়ান্ত চুক্তির দিকে অগ্রসর হবে।
(আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে)
তবে এসব মহাযজ্ঞ ও বিশাল প্রত্যাশার পরেও সামিটের ফলাফল ব্যাপক হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দেয়া যৌথ বিবৃতি ছিল খুবই সাধারণ একটি নথি। যাতে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বাস্তব সমঝোতার উল্লেখ নেই। সর্বোপরি, সামিটের মূল অর্জন এটা হতে পারে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে একজন কুখ্যাত স্বৈরশাসককে বৈধতা দিয়েছেন।
অকারণে হইচই: দু’জনই বৈঠকে বসার জন্য মরিয়া ছিলেন। তবে সম্ভবত ট্রাম্প বেশি আগ্রহী ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বৈদেশিক কূটনীতির প্রথম সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছেন। কেননা, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে ধস নেমেছে। সম্প্রতি বাণিজ্য নীতি নিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ, রাশিয়াকে আবারো জি-৭ এ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিলের ব্যাপক সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এমন অবস্থায় অল্প সময়ের জন্য হলেও ট্রাম্পকে কূটনৈতিক উত্থানের সুযোগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কিমকে প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জবাবে তুলনামূলক কম আগ্রহী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বলেন, ‘আমরা আছি, সবকিছু ঠিক করে ফেলবো।’
পরে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প ও কিম জং স্থায়ী, শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ কোরিয়া উপদ্বীপ গঠন করার অঙ্গীকার করেন। আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের নিরাপত্তা দেয়ার অঙ্গীকার করে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য দু’দেশ দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দাবির কথা উল্লেখ ছিল না। সেটি হলো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনার পুরোপুরি, যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় নিরস্ত্রীকরণ। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংকে ঠিক কি ধরনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছে সে বিষয়টিও স্পষ্ট করেন নি ট্রাম্প। খুবই সাধারণভাবে দুই নেতা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য তাদের দৃঢ় ও অবিচল অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরিয়া উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য কোনো চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় লাগতে পারে। সম্ভবত এ জন্য সত্যিকার একটি ফলপ্রসূ চুক্তির চেয়ে বৈঠক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ক্ষণিকের আলোড়নই ট্রাম্পের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সামিটের ফলাফল হিসেবে কয়েকটি ‘সাধারণ বিবৃতি’ ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া কষ্টকর। চূড়ান্ত একটি চুক্তি করার আগ পর্যন্ত পরবর্তী বছরগুলোতে দুই নেতা পরস্পরের দেশে সফর করবেন। ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে আরো বৈঠক হতে পারে।
কিম জং উনের বিজয়: যেহেতু সামিটের পর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বাস্তবসম্মত কোনো বক্তব্য ছিল না, তাই কিম জংই বৈঠকের বিজয়ীপক্ষ হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি বিশ্ব তারকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সমর্থনে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনায় অংশ নিয়ে কিম তার দেশের বৈধতা আরো পোক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই নিঃসন্দেহে এই সামিট উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাষ্ট্রÑ সব প্রভাবশালী দেশেরই সামিটের সমঝোতা এগিয়ে নেয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া বন্ধ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। পাশাপাশি কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করবেন তিনি।
সামিটের ঘোষণা সিউলে অসন্তোষ উস্কে দিয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার কাছে সুমধুর লেগেছে।
কেননা, তারা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি পেয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্প বারবার কিম জংয়ের প্রশংসা করছেন। দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার গল্প শোনাচ্ছেন। তখনও বিচ্ছিন্ন দেশটি আস্তে আস্তেÍ চুপিসারে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ট্রাম্প ও কিম জংকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ারও কথা উঠেছে।
নিশ্চিতভাবেই (উত্তর কোরিয়ার) সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি এখন আর আলোচনার টেবিলে নেই। সময়ের পরিক্রমায় এটি যেকোনো বিষয়ের আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার ব্যাপারে অনেক দেশের আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই সিঙ্গাপুর সামিট প্রকৃতপক্ষেই কিম জংয়ের জন্য বড় বিজয়। যা তাকে কৌশলগত অবকাশ দিয়েছে। পরবর্তী মাসগুলোতে, উত্তর কোরিয়া দাবা খেলার মতো করে পরবর্তী পদক্ষেপ সাজাবে। দীর্ঘ সমঝোতার পর স্থায়ী ও চূড়ান্ত চুক্তির দিকে অগ্রসর হবে।
(আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে)
No comments