খুলনার রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া
বিভাগীয়
সদর খুলনার রাজনীতি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে
খুলনার রাজনীতিতে পটপরিবর্তনের হাওয়া বইছে। খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের অন্তত
চারটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থীর আত্মপ্রকাশ এখন সময়ের
ব্যাপার মাত্র। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর সামাজিক
কর্মকাণ্ডে এসব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অপরদিকে, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি
প্রায় একযুগ স্রোতের বিপরীতে। চেয়ারপারসনের কারামুক্তির ভাবনায় দলটির
সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দলের বাইরে সদ্য
সম্পন্ন সিটি নির্বাচনে জামানত হারিয়ে চুপষে গেছে জাতীয় পার্টি, ইসলামী
আন্দোলন বাংলাদেশ ও সিপিবি। প্রকাশ্যে নেই জামায়াতে ইসলামী। তৎপরতা নেই
বললেই চলে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেল ৩রা মার্চ খুলনা সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু’র ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র বক্তৃতার পর সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর বক্তব্যে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির নীতি-নির্ধারকরা আলোচনায় আসেন সালাম মুর্শেদী। তিনি খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের একটি অংশ এখন তাকে ঘিরে। নানান কারণে কোণঠাসা ও রাজনৈতিক চাপের মুখে আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান।
এদিকে, প্রায় বছরখানেক খুলনার রাজনীতিতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন। তিনি খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে দাবি তার কর্মী-সমর্থকদের। সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে সমপ্রতি দলীয়, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের খুব একটা চোখে পড়ছে না। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা। শারীরিকভাবে উপযুক্ত থাকলে আগামী নির্বাচনেও তিনি অংশ নিবেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। তবে, কোনো ব্যত্যয় ঘটলে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী। খুলনা-৫ আসনে মৎস্য মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হলেও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। খুলনা-৬ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। এ রমজানে তিনি সুন্দরবন ঘেঁষা দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইফতার মাহফিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল হক এবং আন্তঃকোন্দলে অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা চাপে রয়েছেন। খুলনা-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, আশরাফুল আলম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের ভ্রাতুষ্পুত্র হাদি উজ জামান (ইউপি চেয়ারম্যান) সম্ভাব্য প্রার্থী। এসব কারণে রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বললেন, ‘দল যাকে যেখানে প্রয়োজন মনে করে মনোনয়ন দেবে দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী তার হয়ে সেখানে কাজ করবো। এখানে অন্য কোন কথা নেই, আগে দলের সিদ্ধান্ত।’
এদিকে, বিএনপি’র সমর্থনে কেসিসি নির্বাচনে নির্বাচিতসহ ছয়-সাতজন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ঈদের পর সুবিধাজনক সময়ে বা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরে এসব কাউন্সিলরদের নগর আওয়ামী লীগের পদ-পদবীও দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, আলোচনা চলছে। তারা আওয়ামী লীগের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে দলে যোগদান করতেও পারেন।
অপরদিকে, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সদ্য সমাপ্ত কেসিসি নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে রেখে দলটি মূল ভাবনা এখন যেকোন মূল্যে দলীয় প্রধানের কারামুক্তি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগরী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বললেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সার্বক্ষণিক নির্বাচনমুখী। তবে সে নির্বাচন কোন ভোট ডাকাতদের অধীনে নয়, কোন রাজনৈতিক দলের অধীনে নয়; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে নয়। একটি সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদিও আমাদের সামনে এখন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলন ব্যতীত অন্য কোন ভাবনা নেই। তার কারামুক্তির পরেই অন্য বিষয়ে ভেবে দেখবো।’
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেল ৩রা মার্চ খুলনা সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু’র ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র বক্তৃতার পর সাবেক ফুটবলার শিল্পপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর বক্তব্যে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির নীতি-নির্ধারকরা আলোচনায় আসেন সালাম মুর্শেদী। তিনি খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের একটি অংশ এখন তাকে ঘিরে। নানান কারণে কোণঠাসা ও রাজনৈতিক চাপের মুখে আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান।
এদিকে, প্রায় বছরখানেক খুলনার রাজনীতিতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন। তিনি খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে দাবি তার কর্মী-সমর্থকদের। সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে সমপ্রতি দলীয়, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের খুব একটা চোখে পড়ছে না। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা। শারীরিকভাবে উপযুক্ত থাকলে আগামী নির্বাচনেও তিনি অংশ নিবেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন। তবে, কোনো ব্যত্যয় ঘটলে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী। খুলনা-৫ আসনে মৎস্য মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হলেও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। খুলনা-৬ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। এ রমজানে তিনি সুন্দরবন ঘেঁষা দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইফতার মাহফিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল হক এবং আন্তঃকোন্দলে অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা চাপে রয়েছেন। খুলনা-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, আশরাফুল আলম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের ভ্রাতুষ্পুত্র হাদি উজ জামান (ইউপি চেয়ারম্যান) সম্ভাব্য প্রার্থী। এসব কারণে রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বললেন, ‘দল যাকে যেখানে প্রয়োজন মনে করে মনোনয়ন দেবে দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী তার হয়ে সেখানে কাজ করবো। এখানে অন্য কোন কথা নেই, আগে দলের সিদ্ধান্ত।’
এদিকে, বিএনপি’র সমর্থনে কেসিসি নির্বাচনে নির্বাচিতসহ ছয়-সাতজন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ঈদের পর সুবিধাজনক সময়ে বা একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরে এসব কাউন্সিলরদের নগর আওয়ামী লীগের পদ-পদবীও দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, আলোচনা চলছে। তারা আওয়ামী লীগের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে দলে যোগদান করতেও পারেন।
অপরদিকে, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সদ্য সমাপ্ত কেসিসি নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সামনে রেখে দলটি মূল ভাবনা এখন যেকোন মূল্যে দলীয় প্রধানের কারামুক্তি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগরী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বললেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সার্বক্ষণিক নির্বাচনমুখী। তবে সে নির্বাচন কোন ভোট ডাকাতদের অধীনে নয়, কোন রাজনৈতিক দলের অধীনে নয়; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে নয়। একটি সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদিও আমাদের সামনে এখন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলন ব্যতীত অন্য কোন ভাবনা নেই। তার কারামুক্তির পরেই অন্য বিষয়ে ভেবে দেখবো।’
No comments