শামীম ওসমানের বক্তব্যে তোলপাড় নানা প্রশ্ন by বিল্লাল হোসেন রবিন
প্রথমটা
কি হয়েছে? দ্বিতীয়টা কি হয়েছে? কোন স্টাইলে নির্বাচন হয়েছে? নারায়ণগঞ্জ
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যে তোলপাড়
চলছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে। অন্যদিকে বিএনপি বললো ‘থলের বিড়াল’ বের হতে
শুরু করেছে। ১৬ই জানুয়ারি হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘাতের পরদিন
বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের এক
পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান এ মন্তব্য করেন। এরপর থেকেই
তার এ মন্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের ৮ মিনিটের মাথায় তিনি বলেন, গত এক বছর নির্বাচন পরিহার করার পরও কিভাবে নির্বাচন করেছি, কেমনে করেছি। প্রথমটা কি হয়েছে? দ্বিতীয়টা কি হয়েছে? শামীম ওসমান জোর দিয়ে বলেন- কোন স্টাইলে নির্বাচন হয়েছে। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি সংগঠনটা খুব সিনসিয়ারলি করি বিধায় এই কথাগুলো বলতে পারি না।
কোথায় কি হয়েছে- এখনও মুখ খোলার সময় হয়নি। এক পর্যায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপর বলবো কিভাবে কাকে পাস করানো হয়েছে। সে বিষয়ে আমি আসতে চাই না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই। যে একটা বছর নির্বাচন করেছি, যা কিছু করার দরকার করেছি। ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য করিনি। আমার নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রীর নির্দেশের জন্যই আমি আমার কাজ করেছি। এবং আমি আমার কাজ হান্ড্রেড পার্সেন্ট সততার সঙ্গে দলের প্রতি আনুগত্য রেখেই কাজ করেছি। আমি কোন ধন্যবাদ পাইনি। আমি তার (আইভী) ধন্যবাদ চাইও না। বিকজ আমি যা করেছি দলের জন্য এবং নৌকা মার্কার পক্ষে করেছি।
শামীম ওসমানের এই বক্তব্য রাইফেলস ক্লাবের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শামীম ওসমানের এ ধরনের বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি? তার এই বক্তব্য সরাসরি দলের বিরুদ্ধে গেল। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে সারাদেশে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন আলোচিত। বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো’তেও নাসিক নির্বাচনকে একটি উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন শামীম ওসমান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দলের একজন এমপি হয়ে তিনি এ ধরনের কথা বা বক্তব্য দিতে পারেন না।
জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির বলেন, শামীম ওসমানের বক্তব্যটি অবশ্যই দলের বিরুদ্ধে গেছে। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার এই বক্তব্যকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে এবং একটি টিম করে বক্তব্যের রেকর্ডটি শোনার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা বলা শামীম ওসমানের একটি পুরনো চরিত্র। যখনই কোনো ঘটনা ঘটে সে বলে আমি সব জানি। কে করেছে, কারা করেছে। সময় হলে বলবো। ত্বকী মার্ডারের সময়ও সে একই কথা বলেছিল। মোটকথা নারায়ণগঞ্জে যখন কোনো ঘটনা ঘটে তখনই শামীম ওসমান মিথ্যার জোরে তার পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে। সে এত বেশি মিথ্যা কথা বলে যে, মুহূর্তেই বক্তব্য পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশের কোথাও মিথ্যা কথার প্রতিযোগিতা হলে শামীম ওসমান সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, উনি যদি এ ধরনের কথা বলে থাকেন, উনি দায়-দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন দলের অধীনে হওয়া নির্বাচন নিয়ে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলতে পারে। তারা বলতে পারে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দলের কর্মী হয়ে শামীম তা বলতে পারে না। এটা তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বান্দ্বিক বক্তব্য হলো।
তিনি বলেন, প্রথম নির্বাচনটা আইভী দলের বাইরে গিয়ে করেছে। সেই নির্বাচনে আমরা সুন্দর সিটির জন্য আইভীর পক্ষে কাজ করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সে লাখো ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বারবার এই নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে জনগণ গত নির্বাচনে আইভীকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, শামীমের কথা স্ববিরোধী। শামীম ওসমানের কথা আর বিএনপির কথা এক হয়ে গেলে এই দায় শামীম ওসমান নিজে নেবে। এখন প্রধানমন্ত্রী কি করেন আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে জানান, এই ধরনের বক্তব্য তো দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বিষয়টি টেককেয়ার করছে, দেখা যাক কি হয়।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ শামীম ওসমানের বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে ‘থলের বিড়াল’ বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
শামীম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক দাবি করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার মিথ্যাবাদী সরকার এবং দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শামীম ওসমানের বক্তব্যের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার বিএনপির দাবি আরো বেশি জোরালো হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, কথায় আছে ‘বোয়ালের ডিম বোয়ালে ভাঙে’। শামীম ওসমান তার বক্তব্যে তা-ই করেছে। শামীম ওসমানের মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ যে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতেছে। জাতীয় নির্বাচনে তারা যেটা করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিতে পারেনি, তারা যে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে- এটা দিনের আলোর মতো প্রকাশ পেয়ে গেছে শামীম ওসমানের এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের ৮ মিনিটের মাথায় তিনি বলেন, গত এক বছর নির্বাচন পরিহার করার পরও কিভাবে নির্বাচন করেছি, কেমনে করেছি। প্রথমটা কি হয়েছে? দ্বিতীয়টা কি হয়েছে? শামীম ওসমান জোর দিয়ে বলেন- কোন স্টাইলে নির্বাচন হয়েছে। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি সংগঠনটা খুব সিনসিয়ারলি করি বিধায় এই কথাগুলো বলতে পারি না।
কোথায় কি হয়েছে- এখনও মুখ খোলার সময় হয়নি। এক পর্যায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপর বলবো কিভাবে কাকে পাস করানো হয়েছে। সে বিষয়ে আমি আসতে চাই না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই। যে একটা বছর নির্বাচন করেছি, যা কিছু করার দরকার করেছি। ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য করিনি। আমার নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রীর নির্দেশের জন্যই আমি আমার কাজ করেছি। এবং আমি আমার কাজ হান্ড্রেড পার্সেন্ট সততার সঙ্গে দলের প্রতি আনুগত্য রেখেই কাজ করেছি। আমি কোন ধন্যবাদ পাইনি। আমি তার (আইভী) ধন্যবাদ চাইও না। বিকজ আমি যা করেছি দলের জন্য এবং নৌকা মার্কার পক্ষে করেছি।
শামীম ওসমানের এই বক্তব্য রাইফেলস ক্লাবের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শামীম ওসমানের এ ধরনের বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি? তার এই বক্তব্য সরাসরি দলের বিরুদ্ধে গেল। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে সারাদেশে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন আলোচিত। বিভিন্ন টেলিভিশন টক শো’তেও নাসিক নির্বাচনকে একটি উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন শামীম ওসমান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দলের একজন এমপি হয়ে তিনি এ ধরনের কথা বা বক্তব্য দিতে পারেন না।
জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির বলেন, শামীম ওসমানের বক্তব্যটি অবশ্যই দলের বিরুদ্ধে গেছে। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার এই বক্তব্যকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে এবং একটি টিম করে বক্তব্যের রেকর্ডটি শোনার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা বলা শামীম ওসমানের একটি পুরনো চরিত্র। যখনই কোনো ঘটনা ঘটে সে বলে আমি সব জানি। কে করেছে, কারা করেছে। সময় হলে বলবো। ত্বকী মার্ডারের সময়ও সে একই কথা বলেছিল। মোটকথা নারায়ণগঞ্জে যখন কোনো ঘটনা ঘটে তখনই শামীম ওসমান মিথ্যার জোরে তার পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে। সে এত বেশি মিথ্যা কথা বলে যে, মুহূর্তেই বক্তব্য পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশের কোথাও মিথ্যা কথার প্রতিযোগিতা হলে শামীম ওসমান সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, উনি যদি এ ধরনের কথা বলে থাকেন, উনি দায়-দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন দলের অধীনে হওয়া নির্বাচন নিয়ে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলতে পারে। তারা বলতে পারে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দলের কর্মী হয়ে শামীম তা বলতে পারে না। এটা তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বান্দ্বিক বক্তব্য হলো।
তিনি বলেন, প্রথম নির্বাচনটা আইভী দলের বাইরে গিয়ে করেছে। সেই নির্বাচনে আমরা সুন্দর সিটির জন্য আইভীর পক্ষে কাজ করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সে লাখো ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বারবার এই নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে জনগণ গত নির্বাচনে আইভীকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, শামীমের কথা স্ববিরোধী। শামীম ওসমানের কথা আর বিএনপির কথা এক হয়ে গেলে এই দায় শামীম ওসমান নিজে নেবে। এখন প্রধানমন্ত্রী কি করেন আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে জানান, এই ধরনের বক্তব্য তো দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বিষয়টি টেককেয়ার করছে, দেখা যাক কি হয়।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ শামীম ওসমানের বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে ‘থলের বিড়াল’ বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।
শামীম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক দাবি করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার মিথ্যাবাদী সরকার এবং দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শামীম ওসমানের বক্তব্যের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার বিএনপির দাবি আরো বেশি জোরালো হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, কথায় আছে ‘বোয়ালের ডিম বোয়ালে ভাঙে’। শামীম ওসমান তার বক্তব্যে তা-ই করেছে। শামীম ওসমানের মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ যে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতেছে। জাতীয় নির্বাচনে তারা যেটা করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে মানুষ যে ভোট দিতে পারেনি, তারা যে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে- এটা দিনের আলোর মতো প্রকাশ পেয়ে গেছে শামীম ওসমানের এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
No comments