নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন -সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দল
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলন৷ ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন, প্রথম আলো |
ইউরোপীয়
পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের নেতা জেইন লেম্বার্ড বলেছেন, পরবর্তী সংসদ
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। এজন্য রাজনৈতিক দল ও
অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। এই আলোচনা যত দ্রুত
শুরু করা যায় ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ২০১৯ সালে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চায়। আর এ জন্য নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালী ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেম্বার্ড বলেন, নির্বাচনী পদ্ধতি কি হবে তা বাংলাদেশের মানুষকেই নির্ধারণ করতে হবে। আমরা এতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারি।
বাংলাদেশে তিনদিনের সফর শেষে শুক্রবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লেম্বার্ড একথা বলেন।
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সাথে সাক্ষাত করেছে।
এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বিজিএমইএর সাথে প্রতিনিধি দলটি মতবিনিময় করেছে।
লেম্বার্ড বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এ সময় ব্লগারদের হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জীবন মূল্যবান। এসব হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চরমপন্থার উত্থানের মূল কারণ চিহ্নিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতিকে প্রতিনিধি দল স্বাগত জানায়। ওআইসিতে বাংলাদেশের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
লেম্বার্ড বলেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকদের নিয়ে যা ঘটছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। গণমাধ্যমের সমালোচনাকে রাজনীতিকরা সব সময় ভালোভাবে নেন না। রাজনীতিবিদ হিসেবে এই মূল্যটা আমাদের দিতে হয়। চলমান ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারার সক্ষমতাটা গণতন্ত্রের অংশ।
বাংলাদেশের সাথে ইইউর অর্থনেতিক সহযোগতা জোরদার করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় বিজনেস কাউন্সিল সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
কেবলমাত্র জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ইইউ উদ্বেগ জানায় কেন- প্রশ্ন করা হলে লেম্বার্ড বলেন, ইইউ নীতিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। তাই এক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়ে নীতিটা গুরুত্বপূর্ণ। সব মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রেই ইইউর উদ্বেগ জানানো উচিত।
বাংলাদেশে মিয়ানমার উদ্বাস্তু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে উদ্বাস্তু নিয়ে আলোচনার নতুন সুযোগ আসবে। তবে খুব জলদি যে কিছু ঘটে যাবে এমনটা নয়।
লেম্বার্ড বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর নেয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রম অধিকার ও কারখানা নিরাপত্তায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আরো অগ্রগতির অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম আইন রফতানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্যও প্রযোজ্য হওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলটি হাজারিবাগে একটি ট্যানারি ও গণকতলীর দলিত কলনীতে ইইউর অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ২০১৯ সালে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চায়। আর এ জন্য নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালী ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেম্বার্ড বলেন, নির্বাচনী পদ্ধতি কি হবে তা বাংলাদেশের মানুষকেই নির্ধারণ করতে হবে। আমরা এতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারি।
বাংলাদেশে তিনদিনের সফর শেষে শুক্রবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লেম্বার্ড একথা বলেন।
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সাথে সাক্ষাত করেছে।
এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বিজিএমইএর সাথে প্রতিনিধি দলটি মতবিনিময় করেছে।
লেম্বার্ড বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এ সময় ব্লগারদের হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জীবন মূল্যবান। এসব হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চরমপন্থার উত্থানের মূল কারণ চিহ্নিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতিকে প্রতিনিধি দল স্বাগত জানায়। ওআইসিতে বাংলাদেশের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
লেম্বার্ড বলেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকদের নিয়ে যা ঘটছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। গণমাধ্যমের সমালোচনাকে রাজনীতিকরা সব সময় ভালোভাবে নেন না। রাজনীতিবিদ হিসেবে এই মূল্যটা আমাদের দিতে হয়। চলমান ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারার সক্ষমতাটা গণতন্ত্রের অংশ।
বাংলাদেশের সাথে ইইউর অর্থনেতিক সহযোগতা জোরদার করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় বিজনেস কাউন্সিল সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
কেবলমাত্র জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ইইউ উদ্বেগ জানায় কেন- প্রশ্ন করা হলে লেম্বার্ড বলেন, ইইউ নীতিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। তাই এক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়ে নীতিটা গুরুত্বপূর্ণ। সব মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রেই ইইউর উদ্বেগ জানানো উচিত।
বাংলাদেশে মিয়ানমার উদ্বাস্তু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে উদ্বাস্তু নিয়ে আলোচনার নতুন সুযোগ আসবে। তবে খুব জলদি যে কিছু ঘটে যাবে এমনটা নয়।
লেম্বার্ড বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর নেয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রম অধিকার ও কারখানা নিরাপত্তায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আরো অগ্রগতির অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম আইন রফতানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্যও প্রযোজ্য হওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলটি হাজারিবাগে একটি ট্যানারি ও গণকতলীর দলিত কলনীতে ইইউর অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু উপস্থিত ছিলেন।
No comments