পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি- দ্রুত বাস্তবায়নই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে
গত বুধবার ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ভিত্তিতে শান্তিবাহিনীর অস্ত্রসমর্পণের ১৭তম বার্ষিকী। এদিন জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য ঊষাতন তালুকদারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেছেন, পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি পুরোপুরি এবং ১৫টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২৩২টি অস্থায়ী সেনাক্যাম্পের মধ্যে ১১৯টি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সব অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা তখনই দিলেন, যখন পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়নের দাবিতে অন্যতম চুক্তি সইকারী জনসংহতি সমিতি নানা কর্মসূচি পালন করছে। রাজনৈতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সই ছিল শেখ হাসিনার সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত। এর ফলে সেখানে দুই দশক ধরে চলে আসা সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধ হয়েছে, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে শান্তি স্থায়ী হবে কি না, সেটি নির্ভর করছে চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপর।
১৭ বছর আগে চুক্তি সইয়ের পর অনেক সমস্যার সমাধান হলেও ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এই লক্ষ্যে পাঁচবার কমিশন গঠিত হলেও সেগুলোকে কার্যকর করা যায়নি আইনি জটিলতা ও বাস্তব কিছু সমস্যার কারণে। জনসংহতি সমিতির আপত্তির মুখে ভূমি কমিশন আইনের কতিপয় ধারার সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর এখন সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ফলে ভূমি কমিশন পুনর্গঠিত হলেও কাজ করতে পারছে না।
চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদগুলোর কাছে যেসব প্রশাসনিক দায়িত্ব ন্যস্ত করার কথা ছিল, সেগুলোর খুব কমই বাস্তবায়িত হয়েছে। এ নিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, তার প্রতিকার খুঁজতে হবে চুক্তির সব ধারা ও শর্ত পূরণ করেই। আবার পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠুক—সেটি কারও কাম্য নয়।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা তখনই দিলেন, যখন পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়নের দাবিতে অন্যতম চুক্তি সইকারী জনসংহতি সমিতি নানা কর্মসূচি পালন করছে। রাজনৈতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সই ছিল শেখ হাসিনার সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত। এর ফলে সেখানে দুই দশক ধরে চলে আসা সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধ হয়েছে, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে শান্তি স্থায়ী হবে কি না, সেটি নির্ভর করছে চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপর।
১৭ বছর আগে চুক্তি সইয়ের পর অনেক সমস্যার সমাধান হলেও ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এই লক্ষ্যে পাঁচবার কমিশন গঠিত হলেও সেগুলোকে কার্যকর করা যায়নি আইনি জটিলতা ও বাস্তব কিছু সমস্যার কারণে। জনসংহতি সমিতির আপত্তির মুখে ভূমি কমিশন আইনের কতিপয় ধারার সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর এখন সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ফলে ভূমি কমিশন পুনর্গঠিত হলেও কাজ করতে পারছে না।
চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদগুলোর কাছে যেসব প্রশাসনিক দায়িত্ব ন্যস্ত করার কথা ছিল, সেগুলোর খুব কমই বাস্তবায়িত হয়েছে। এ নিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, তার প্রতিকার খুঁজতে হবে চুক্তির সব ধারা ও শর্ত পূরণ করেই। আবার পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠুক—সেটি কারও কাম্য নয়।
No comments