পুলিশ কোনো দলের বাহিনী হতে পারে না: ড. কামাল
পুলিশ
কোনো দলের বাহিনী হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড.
কামাল হোসেন। পুলিশ ও প্রশাসনে রোগ ঢুকে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার সকালে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত
সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে দলীয়ভাবে অপব্যবহার করা যাবে না। পুলিশ কোনো দলের বাহিনী হতে পারে না। আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এটা সবাইকে বোঝাবেন।’
পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তো আমাদের এই দেশেরই ছেলে। এই দেশের ছেলে এইভাবে মানসিকভাবে রুগ্ণ হবে? তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাহলে এটা সত্য। তারা আমাদের দেশের ছেলে। পুলিশ আমাদের শত্রু না। তারা যেভাবে রুগ্ণ হচ্ছে, সেই রোগ থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ চাই, আইনের শাসনের জন্যই পুলিশ চাই। কিন্তু সেই পুলিশ এইভাবে মানুষকে ধরে বলবে—এটা আমার দাবি, এটা মানতে হবে। তারা হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এটা কিসের আলামত? রোগের আলামত। যদি বলি, পুলিশের দরকার নেই। এটা একদম না। পুলিশকে রোগমুক্ত করো। প্রশাসনকে রোগমুক্ত করো, দুর্নীতিমুক্ত করো। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।’
এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। মালিককে মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। অনেক সময় মালিকের ভূমিকা রাখতে কিছুটা ঝুঁকিও নিতে হয়। মানুষ শান্তি চায়, স্থিতিশীলতা চায়, সুশাসন চায়, আইনের শাসন চায়। স্বাধীন দেশে দলীয় সরকার, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করবে—এটা কিন্তু সংবিধানপরিপন্থী। দলীয় সরকার থাকবে, কিন্তু তাতে সংবিধান মেনে ক্ষমতা পালন করতে হবে।’ জঙ্গিবাদ কোনো ধর্মের শিক্ষা হতে পারে না। যারা এগুলো করে, তাদের অসুস্থ বলেও মন্তব্য করেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী।
দলের নেতাদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, ‘চাঁদাবাজির জন্য রাজনীতি, দখল করার জন্য রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। এটা হলো রুগ্ণ রাজনীতি। মানে এটা একটা গুরুতর রোগ। এটাতে কারও দ্বিমত থাকতে পারে যে, নানা সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। এটাই এখনকার রাজনীতি। এটা না করলে তো রাজনীতি হয় না। ঠিক আছে করেন। কিন্তু গণফোরাম সেই রাজনীতি মরে গেলেও করবে না। আপনাদের সবাই আমাকে ছেড়ে গেলেও বলব না, রুগ্ণ রাজনীতি করেন।’
বর্ধিত সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীনসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও জেলা থেকে আসা নেতারা অংশ নেন। বর্ধিত সভায় গণফোরামকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে আগামী দিনের করণীয় বিষয়ে নেতারা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে দলীয়ভাবে অপব্যবহার করা যাবে না। পুলিশ কোনো দলের বাহিনী হতে পারে না। আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এটা সবাইকে বোঝাবেন।’
পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তো আমাদের এই দেশেরই ছেলে। এই দেশের ছেলে এইভাবে মানসিকভাবে রুগ্ণ হবে? তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাহলে এটা সত্য। তারা আমাদের দেশের ছেলে। পুলিশ আমাদের শত্রু না। তারা যেভাবে রুগ্ণ হচ্ছে, সেই রোগ থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ চাই, আইনের শাসনের জন্যই পুলিশ চাই। কিন্তু সেই পুলিশ এইভাবে মানুষকে ধরে বলবে—এটা আমার দাবি, এটা মানতে হবে। তারা হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এটা কিসের আলামত? রোগের আলামত। যদি বলি, পুলিশের দরকার নেই। এটা একদম না। পুলিশকে রোগমুক্ত করো। প্রশাসনকে রোগমুক্ত করো, দুর্নীতিমুক্ত করো। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।’
এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। মালিককে মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। অনেক সময় মালিকের ভূমিকা রাখতে কিছুটা ঝুঁকিও নিতে হয়। মানুষ শান্তি চায়, স্থিতিশীলতা চায়, সুশাসন চায়, আইনের শাসন চায়। স্বাধীন দেশে দলীয় সরকার, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করবে—এটা কিন্তু সংবিধানপরিপন্থী। দলীয় সরকার থাকবে, কিন্তু তাতে সংবিধান মেনে ক্ষমতা পালন করতে হবে।’ জঙ্গিবাদ কোনো ধর্মের শিক্ষা হতে পারে না। যারা এগুলো করে, তাদের অসুস্থ বলেও মন্তব্য করেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী।
দলের নেতাদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, ‘চাঁদাবাজির জন্য রাজনীতি, দখল করার জন্য রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। এটা হলো রুগ্ণ রাজনীতি। মানে এটা একটা গুরুতর রোগ। এটাতে কারও দ্বিমত থাকতে পারে যে, নানা সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। এটাই এখনকার রাজনীতি। এটা না করলে তো রাজনীতি হয় না। ঠিক আছে করেন। কিন্তু গণফোরাম সেই রাজনীতি মরে গেলেও করবে না। আপনাদের সবাই আমাকে ছেড়ে গেলেও বলব না, রুগ্ণ রাজনীতি করেন।’
বর্ধিত সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীনসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও জেলা থেকে আসা নেতারা অংশ নেন। বর্ধিত সভায় গণফোরামকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে আগামী দিনের করণীয় বিষয়ে নেতারা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
No comments