হিলারি ও স্যান্ডার্স সমানে সমান by হাসান ফেরদৌস
উইসকনসিন
বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার ষষ্ঠবারের মতো বিতর্কে মিলিত হলেন
ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী-সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিলারি ক্লিনটন ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিন দিন আগে নিউ
হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে ২২ শতাংশ ভোটে অভাবনীয় পরাজয়ের পর নিজের
সমর্থকদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হিলারি ক্লিনটনের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল
এই বিতর্কে স্যান্ডার্সকে সম্পূর্ণ ধরাশায়ী করা। বক্সিং-এর পরিভাষায় বলা
যায়, স্যান্ডার্সকে তিনি পয়েন্টে হারাতে পারলেও ‘নকআউট’-এ তাঁকে পরাস্ত
করতে সক্ষম হননি।
তাঁদের বিতর্কের একটি প্রধান বিষয় ছিল, যে পরিবর্তনের কথা এই দুই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বলছেন, তা বাস্তবায়নে সরকারের কী ভূমিকা হবে। প্রেসিডেন্ট স্যান্ডার্সের অধীনে ফেডারেল সরকারের আয়তন ঠিক কী পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বিতর্কের সঞ্চালকের এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেওয়ার বদলে স্যান্ডার্স দেশের নাগরিকদের পর্যাপ্ত জীবনমান, বিশেষত স্বাস্থ্য পরিচর্যা নিশ্চিত করা, যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করেন। হিলারি জানান, তাঁর হিসাবমতে, স্যান্ডার্সের প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারের আয়তন ৪০ শতাংশ বাড়বে। মানুষের ঘাড়ে নতুন করের বোঝা পড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য খাতে সম্ভাব্য ব্যয়ের ব্যাপারে সিনেটর স্যান্ডার্স মোটেই স্বচ্ছ নন। দেশের মানুষের জীবন যেখানে জড়িত, সেখানে স্যান্ডার্সের উচিত সত্যি কথাটা বলা।
হিলারি আগাগোড়া বলে এসেছেন, স্যান্ডার্স যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা বলছেন, তার প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল, কিন্তু তাঁর প্রস্তাব মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।
বিতর্কের দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক নীতি প্রশ্নে উভয় প্রার্থী তাঁদের ভিন্নতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রে হিলারির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, তত্ত্ব-তথ্য তাঁর নখদর্পণে। তা সত্ত্বেও স্যান্ডার্স কঠোর ভাষায় হিলারিকে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি সমর্থন করায় সমালোচনা করেন। স্যান্ডার্স মনে করিয়ে দেন, ইরাক যুদ্ধের প্রশ্নে হিলারি ‘হ্যাঁ’ সূচক ভোট দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন সেই যুদ্ধের বিপক্ষে। লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকার পরিবর্তনে হিলারি নেতৃত্ব দেন, যদিও গাদ্দাফির প্রস্থানের পর যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে, সে কথাটা তিনি মাথায় রাখেননি। হিলারি বহু অভিজ্ঞ, এ কথা মেনে নিয়ে স্যান্ডার্স বলেন, অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়। কার বিচারবুদ্ধি কেমন, সেটাও বিবেচনায় রাখা দরকার। হিলারি হেনরি কিসিঞ্জারকে নিজের উপদেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার সমালোচনা করে স্যান্ডার্স বলেন, এই সেই লোক, যাঁর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ ও গণহত্যা হয়েছে, যাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে সরকারের পতন ঘটেছে।
‘কিসিঞ্জারের মতো লোক আমার পরামর্শদাতা নন,’ ঈষৎ হাসিতে বলেন স্যান্ডার্স।
তাঁদের বিতর্কের একটি প্রধান বিষয় ছিল, যে পরিবর্তনের কথা এই দুই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বলছেন, তা বাস্তবায়নে সরকারের কী ভূমিকা হবে। প্রেসিডেন্ট স্যান্ডার্সের অধীনে ফেডারেল সরকারের আয়তন ঠিক কী পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বিতর্কের সঞ্চালকের এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেওয়ার বদলে স্যান্ডার্স দেশের নাগরিকদের পর্যাপ্ত জীবনমান, বিশেষত স্বাস্থ্য পরিচর্যা নিশ্চিত করা, যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করেন। হিলারি জানান, তাঁর হিসাবমতে, স্যান্ডার্সের প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারের আয়তন ৪০ শতাংশ বাড়বে। মানুষের ঘাড়ে নতুন করের বোঝা পড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য খাতে সম্ভাব্য ব্যয়ের ব্যাপারে সিনেটর স্যান্ডার্স মোটেই স্বচ্ছ নন। দেশের মানুষের জীবন যেখানে জড়িত, সেখানে স্যান্ডার্সের উচিত সত্যি কথাটা বলা।
হিলারি আগাগোড়া বলে এসেছেন, স্যান্ডার্স যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা বলছেন, তার প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল, কিন্তু তাঁর প্রস্তাব মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।
বিতর্কের দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক নীতি প্রশ্নে উভয় প্রার্থী তাঁদের ভিন্নতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রে হিলারির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, তত্ত্ব-তথ্য তাঁর নখদর্পণে। তা সত্ত্বেও স্যান্ডার্স কঠোর ভাষায় হিলারিকে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি সমর্থন করায় সমালোচনা করেন। স্যান্ডার্স মনে করিয়ে দেন, ইরাক যুদ্ধের প্রশ্নে হিলারি ‘হ্যাঁ’ সূচক ভোট দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন সেই যুদ্ধের বিপক্ষে। লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকার পরিবর্তনে হিলারি নেতৃত্ব দেন, যদিও গাদ্দাফির প্রস্থানের পর যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে, সে কথাটা তিনি মাথায় রাখেননি। হিলারি বহু অভিজ্ঞ, এ কথা মেনে নিয়ে স্যান্ডার্স বলেন, অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট নয়। কার বিচারবুদ্ধি কেমন, সেটাও বিবেচনায় রাখা দরকার। হিলারি হেনরি কিসিঞ্জারকে নিজের উপদেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার সমালোচনা করে স্যান্ডার্স বলেন, এই সেই লোক, যাঁর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ ও গণহত্যা হয়েছে, যাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে সরকারের পতন ঘটেছে।
‘কিসিঞ্জারের মতো লোক আমার পরামর্শদাতা নন,’ ঈষৎ হাসিতে বলেন স্যান্ডার্স।
No comments