অস্ট্রেলিয়ায় ১২ বছরের শিশুকে বিয়ে দেয়ায়...
অস্ট্রেলিয়ায়
এক পিতা তার ১২ বছরের শিশু কন্যাকে বিয়ের জন্য রাজি করানোর অভিযোগে দোষী
সাব্যস্ত হয়েছেন। ১২ বছরের কন্যাকে তার দ্বিগুণেরও বেশি বয়সী পুরুষের সঙ্গে
বিয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৪ বছর বয়সের নিচে মেয়েকে অবৈধ যৌন কর্মকান্ডে রাজি
করানো এবং বিবাহিত যুগলকে শারীরিক সম্পর্কে গড়তে উৎসাহিত করার অভিযোগ
প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে ওই পিতা নিজের দোষ স্বীকার করেননি। ঘটনার
সঙ্গে সম্পৃক্ত কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
এএফপি। সিডনির ডাউনিং সেন্টার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এক শুনানিতে ওই পিতা
স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, মেয়ে বিবাহবহির্ভূতভাবে শারীরিক
সম্পর্ক গড়ে পাপ করুক, সেটা চাননি তিনি। তাই সে বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত হওয়ার
পর তিনি তাকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায়
অবস্থানরত লেবাননের অধিবাসী ২৬ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই শিশুর।
ওই ছাত্র মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে তার আগ্রহের কথা জানালে, পিতা
তাদের বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। গত বছর সিডনির প্রায় ২৫০ কিলোমিটার
উত্তরে অবস্থিত বাড়িতে স্থানীয় এক শেখ (কাজী) এ বিয়ে পড়ান। অস্ট্রেলিয়ার
আইনে অবৈধ ওই বিয়ের রাতে পিতার অনুমতি নিয়ে বিবাহিত দম্পতি একটি হোটেলে
যায়। সেখানে তারা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে। পিতার বাড়িতে আরও দুই বার শারীরিক
সম্পর্ক স্থাপিত হয় নবদম্পতির মধ্যে। বিচারক ডেবোরাহ সুুউনে এ রায় পড়ে
শোনান। রায়ে তিনি বলেন, ওই পিতা নবদম্পতির জন্য আগে থেকেই একটি কক্ষ ও
বিছানা সাজিয়ে রেখেছিলেন। তিনি জানতেন, তাদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপিত
হবে। এদিকে ওই সম্পর্কের পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং গর্ভপাত ঘটাতে
বাধ্য হয়। ওই শুনানিতে বলা হয়, বিয়ের রাতে গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন না করার
জন্য পাত্রীকে এবং পাত্রকে কনডম ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
শিশুটির পিতা এখন জামিনে রয়েছেন এবং আগামী মাসে তার বিরুদ্ধে শাস্তির রায়
ঘোষণা করবে আদালত। এদিকে ওই মেয়েটি কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে। তার স্বামী
২৬ বছর বয়সী ওই তরুণকে গত মাসে সাড়ে ৭ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। শিশুর
ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তাদের বিয়ে
পড়ানো কাজীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি।
No comments