যৌতুকের বলি ওয়াহিদা সিফাত
রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ওয়াহিদা
সিফাত (২৭) পাঁচ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী নগরীর আইনজীবী
মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বেকার ছেলে আসিফকে। কিন্তু বিয়ের পর পাল্টে যেতে
থাকে আসিফ। ব্যবসা করার জন্য বাবার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে
সিফাতকে প্রায় চাপ দিতো। এতে সিফাত রাজি না হওয়ায় দিনের পর দিন তার ওপর
চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আর শেষ পর্যন্ত এ যৌতুকের কারণেই
সিফাতকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
গতকাল সকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় করা মামলায় এমনই অভিযোগ করেন ওয়াহিদা সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে করা মামলায় সিফাতের স্বামী মো. আসিফসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলো সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনধারী সিফাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরে চাকরির জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকার পল্লবীতে পিতার বাসায় যাওয়ার জন্য ২৯শে মার্চ রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু ট্রেনের টিকিট কাটেন। হঠাৎ ওই দিন রাত সোয়া ১০টায় সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান মোবাইল ফোনে সিফাতের ভাই আসিফুল ইসলামকে জানান, সিফাত মুমূর্ষু অবস্থায় তার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এর ৫ মিনিট পর রমজান আবারও মোবাইল ফোনে জানান, সিফাত গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে মারা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতকে। তার দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এদিকে হাসপাতালে সিফাতের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার থুঁতনির নিচে এক ইঞ্চি পরিমাণ লালচে জখম ছিল। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দেয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও সিফাতের মাথায় জখমের প্রমাণ মিলেছে। সিফাতের গ্রামের বাড়ি রংপুর। তার পিতা আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক।
মামলায় সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার বলেন, সিফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি মোহাম্মদ হোসেন রমজানকে রাত ১২টার দিকে ফোন দেন। ফোনে রমজান জানান, সিফাতকে তার স্বামী মাঝে মধ্যে মারপিট করতো। তিনি তা মীমাংসা করে দিতেন। বৃহস্পতিবারও মারপিট করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন। এ সময় তারা দেখেন সিফাতের মৃতদেহের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন এবং নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। এ ছাড়া মাথার ডান দিকে চোখের পাশে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। মামলায় দাবি করা হয়, যৌতুরে জন্যই সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। এখন হত্যার ঘটনাকে আড়াল করতে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সিফাতের মৃত্যুর পরদিন আটক তার স্বামী আসিফকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গতকাল সকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় করা মামলায় এমনই অভিযোগ করেন ওয়াহিদা সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে করা মামলায় সিফাতের স্বামী মো. আসিফসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলো সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনধারী সিফাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরে চাকরির জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকার পল্লবীতে পিতার বাসায় যাওয়ার জন্য ২৯শে মার্চ রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু ট্রেনের টিকিট কাটেন। হঠাৎ ওই দিন রাত সোয়া ১০টায় সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান মোবাইল ফোনে সিফাতের ভাই আসিফুল ইসলামকে জানান, সিফাত মুমূর্ষু অবস্থায় তার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এর ৫ মিনিট পর রমজান আবারও মোবাইল ফোনে জানান, সিফাত গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে মারা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতকে। তার দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এদিকে হাসপাতালে সিফাতের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার থুঁতনির নিচে এক ইঞ্চি পরিমাণ লালচে জখম ছিল। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দেয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও সিফাতের মাথায় জখমের প্রমাণ মিলেছে। সিফাতের গ্রামের বাড়ি রংপুর। তার পিতা আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক।
মামলায় সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার বলেন, সিফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি মোহাম্মদ হোসেন রমজানকে রাত ১২টার দিকে ফোন দেন। ফোনে রমজান জানান, সিফাতকে তার স্বামী মাঝে মধ্যে মারপিট করতো। তিনি তা মীমাংসা করে দিতেন। বৃহস্পতিবারও মারপিট করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন। এ সময় তারা দেখেন সিফাতের মৃতদেহের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন এবং নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। এ ছাড়া মাথার ডান দিকে চোখের পাশে রক্ত জমাট বাঁধা আছে। মামলায় দাবি করা হয়, যৌতুরে জন্যই সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। এখন হত্যার ঘটনাকে আড়াল করতে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সিফাতের মৃত্যুর পরদিন আটক তার স্বামী আসিফকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
No comments