সেনা মোতায়েনসহ ইসিকে ৮ দফা
ঢাকা
ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত
করতে নির্বাচনের ১৫ দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে ৮
দফা দাবি তুলে ধরেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। তবে দৃশ্যত এসব দাবি নাকচ করে
দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এর আগে বিকাল
তিনটার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও
ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন
কমিশনে যান। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা
ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, ক্যাপ্টেন (অব.) সৈয়দ সুজা
উদ্দিন, এএসএম আবদুল হালিম, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আবদুর রশীদ সরকার ও
সাবেক যুগ্ম-সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার। বিএনপির প্রতিনিধি দল সিইসি’র
সঙ্গে আলোচনায় যেসব দাবি পেশ করেছে সেগুলো হচ্ছে- ১. সিটি নির্বাচন
নির্দলীয় হলেও এখানে দলীয় সমর্থন কাজ করে। এ জন্য দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের
সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ দলের
কেন্দ্রীয়, থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ের সব কার্যালয় থেকে পুলিশী অবরোধ তুলে নিতে
হবে। দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন কার্যালয়ে অবাধে যাতায়াত করতে
পারে। ২. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোন প্রার্থীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, ভয়-ভীতি
প্রদর্শন ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। ৩. পুলিশ ও সিভিল
প্রশাসনের দলবাজ বিতর্কিত কর্মকর্তাদেরকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের বাইরে বদলি বা দায়িত্ব পালনে বিরত রাখতে হবে। ৪. সিটি
নির্বাচনের ১৫ দিন পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রামে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
৫. বিশেষ দল বা প্রার্থীর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। ৬. কোন বিশেষ দল বা
প্রার্থী দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র
নির্ধারণ করতে হবে। ৭. রাজনীতির সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িত এমন
ব্যক্তিকে নির্বাচনে পোলিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ
দেয়া যাবে না। ৮. প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কমপক্ষে একজন করে নির্বাহী বা
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করতে হবে। বৈঠক শেষে হান্নান শাহ
সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সিইসির কাছে কিছু
পয়েন্ট দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল
প্লেয়িং ফিল্ড) দরকার। প্রার্থী যদি ভোটারের কাছে যেতে না পারে, তাহলে সেটা
আর ভোট হবে না। আমাদের প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে যেতে পারে, সে জন্য
আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনী এলাকায় যাতে সন্ত্রাসী-মাস্তানি
না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা আগেই
প্রকাশ করতে বলেছি যাতে বিতর্কিত কেউ যেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে না
পারে। সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। সিটি
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার বিষয়ে ইসির কথাবার্তা ইতিবাচক বলে
মনে হয়েছে। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে তাদের কার্যক্রমের ওপর। সিইসি
আমাদের বলেছেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে জন্য
ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবেন। এ ছাড়াও আইনের মধ্যে থেকে নির্বাচন
সুষ্ঠু করতে যা যা করা দরকার তিনি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। হান্নান শাহ
বলেন, বিএনপির নয়াপল্টনের অফিস ও খালেদা জিয়ার অফিসের তালা খুলে দেয়ার জন্য
সরকারকে অনুরোধ করতে সিইসিকে আমরা অনুরোধ করেছি। কারণ সারা দেশে
জেলা-উপজেলা পর্যন্ত বিএনপির কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একদল
কার্যালয় খুলে ইলেকশন করবে, আর একদল তা করতে পারবে না, এটা তো হতে পারে না।
এ ধরনের অবৈধ কাজ যাতে না হয় সে জন্য বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার দাবি
জানিয়েছি আমরা। আবদুল আউয়াল মিন্টু ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মনোনয়ন
বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি জানান, তারা যথাসময়ে আবেদন করলে তাদের
মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
সিইসি এ ব্যাপারে আপিল করতে বলেছেন এবং বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। লেভেল
প্লেয়িং ফিল্ড না হলে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসবে কিনা এমন প্রশ্নের
জবাবে হান্নান শাহ বলেন, উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলবেন না। বিএনপি ভেবে
চিন্তেই নির্বাচনে এসেছে। তিনি বলেন, প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে ভোট
চাইতে যেতে পারেন এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের
প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা বলেছি। সবচেয়ে বড় কথা
নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। সিটি নির্বাচন গণতন্ত্রেরই অংশ। প্রধান নির্বাচন
কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে নির্বাচনকালীন সময়ে
ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আমাদের দুটি পার্টি অফিসে তালা। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তির নামে মামলা আছে। ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের ধরার নামে যেন আমাদের দলীয় লোকদের ধরে নিয়ে না যায়। যে লোক জামিনে আছে তাদের যেন হয়রানি না করা হয়। কারও বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক চার্জ গঠনের আগে কাউকে ধরা বেআইনি। সিইসি আমাদের বলেছেন, সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং আছে, সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা করবেন। সিইসির বক্তব্যে বিএনপি প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সন্তুষ্টি নির্ভর করছে সিইসির কাজের ওপর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করা হলে প্রার্থীদের বাতিলকৃত মনোনয়নপত্র বিবেচনা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির কোন প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গেলেন। এদিকে ২০ দলীয় জোটের তরফে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু বলেছেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের অবাধ বিচরণ করছে। অবৈধ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, প্রার্থী ও সমর্থকদের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে উদাসীন। আর এ কারণেই তিন সিটি করপোরেশনের ভোটার ও নাগরিক সমাজ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সন্দিহান ও শংকিত।
আইন অনুযায়ীই সবকিছু করবে কমিশন: সিইসি
পরে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, আইন মোতাবেক সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করব। বিএনপির দলীয় অফিস খুলে দেয়া ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ওনারা নিজেরাই বলেছেন এটা দলীয় নির্বাচন। আমাদের এখানে একটা প্রাকটিস হয়েছে দলীয়ভাবে করার। এজন্য ওনারা দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। নির্বাচন করতে হলে অনেকগুলো কথা ছিল। দলীয় অফিস খুলে দেয়া, জামিন দেয়া। ওনারাই বলেছেন এগুলো সব আদালতের ব্যাপার। আদালতে আমরা যাব এবং আদালত থেকে জামিন নেব। আদালতের ব্যাপারে তো আমাদের কিছু করণীয় নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পুলিশি হয়রানি যিনি আত্মগোপনে আছেন তাদের আমরা আনতে পারবো না। ওনারা বলেছেন আমাদের দেশে এমন উদাহরণ আছে প্রার্থীরা জেলে থেকে নির্বাচিত হয়েছে। কাজেই আমাদের ভোটাররা খুব সচেতন। আপনি যদি যোগ্য প্রার্থী হন ভোটাররা নিশ্চয়ই আপনাকে বেছে নেবেন। সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, বিএনপি নেতারা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে বলেছিলেন। আমরা বলেছি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে আমাদের একটা মিটিং আছে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে ১৯শে এপ্রিল। সেই মিটিংয়ে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা তো আমাদের নিজেদের লোক নেই। কর্মকর্তাদের তালিকা কোন গোপনীয় জিনিস না। প্রার্থীদের এই তালিকা দেখানো হবে। তারা জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে কোন আশ্বাস দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা আপিলের মাধ্যমে সমাধান হবে। আপিল ব্যবস্থাটা আদালতের মতন। এটা তো প্রকাশ্যে হবে। একটা জুডিশিয়াল সিদ্ধান্ত। আগে থেকেই কথা বলার সুযোগ নেই। তিন দিন সময় পাবেন আপিল করার জন্য। এরপর তিনদিন আপিল নিষ্পত্তির সময় আছে। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারি না। বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশি তল্লাশির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন আমরা যথাযথ আদালত থেকে জামিন নেব। তাদের মধ্যে আইনজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা বলেছেন আদালতের ব্যাপার। আমরা আদালতের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। শুধু এটা বলেছেন যাদের জামিন দেবে আদালত তাদের যেন পুলিশ হয়রানি না করে। যিনি কোর্ট থেকে জামিন পাবেন তার জন্য একরকম ব্যবস্থা। আর যিনি পলাতক থাকবেন তার জন্য আরেক রকম ব্যবস্থা।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আমাদের দুটি পার্টি অফিসে তালা। এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তির নামে মামলা আছে। ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের ধরার নামে যেন আমাদের দলীয় লোকদের ধরে নিয়ে না যায়। যে লোক জামিনে আছে তাদের যেন হয়রানি না করা হয়। কারও বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক চার্জ গঠনের আগে কাউকে ধরা বেআইনি। সিইসি আমাদের বলেছেন, সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং আছে, সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা করবেন। সিইসির বক্তব্যে বিএনপি প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সন্তুষ্টি নির্ভর করছে সিইসির কাজের ওপর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করা হলে প্রার্থীদের বাতিলকৃত মনোনয়নপত্র বিবেচনা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির কোন প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গেলেন। এদিকে ২০ দলীয় জোটের তরফে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু বলেছেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের অবাধ বিচরণ করছে। অবৈধ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, প্রার্থী ও সমর্থকদের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে উদাসীন। আর এ কারণেই তিন সিটি করপোরেশনের ভোটার ও নাগরিক সমাজ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সন্দিহান ও শংকিত।
আইন অনুযায়ীই সবকিছু করবে কমিশন: সিইসি
পরে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, আইন মোতাবেক সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করব। বিএনপির দলীয় অফিস খুলে দেয়া ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ওনারা নিজেরাই বলেছেন এটা দলীয় নির্বাচন। আমাদের এখানে একটা প্রাকটিস হয়েছে দলীয়ভাবে করার। এজন্য ওনারা দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। নির্বাচন করতে হলে অনেকগুলো কথা ছিল। দলীয় অফিস খুলে দেয়া, জামিন দেয়া। ওনারাই বলেছেন এগুলো সব আদালতের ব্যাপার। আদালতে আমরা যাব এবং আদালত থেকে জামিন নেব। আদালতের ব্যাপারে তো আমাদের কিছু করণীয় নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পুলিশি হয়রানি যিনি আত্মগোপনে আছেন তাদের আমরা আনতে পারবো না। ওনারা বলেছেন আমাদের দেশে এমন উদাহরণ আছে প্রার্থীরা জেলে থেকে নির্বাচিত হয়েছে। কাজেই আমাদের ভোটাররা খুব সচেতন। আপনি যদি যোগ্য প্রার্থী হন ভোটাররা নিশ্চয়ই আপনাকে বেছে নেবেন। সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, বিএনপি নেতারা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে বলেছিলেন। আমরা বলেছি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে আমাদের একটা মিটিং আছে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে ১৯শে এপ্রিল। সেই মিটিংয়ে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা তো আমাদের নিজেদের লোক নেই। কর্মকর্তাদের তালিকা কোন গোপনীয় জিনিস না। প্রার্থীদের এই তালিকা দেখানো হবে। তারা জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে কোন আশ্বাস দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা আপিলের মাধ্যমে সমাধান হবে। আপিল ব্যবস্থাটা আদালতের মতন। এটা তো প্রকাশ্যে হবে। একটা জুডিশিয়াল সিদ্ধান্ত। আগে থেকেই কথা বলার সুযোগ নেই। তিন দিন সময় পাবেন আপিল করার জন্য। এরপর তিনদিন আপিল নিষ্পত্তির সময় আছে। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারি না। বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশি তল্লাশির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন আমরা যথাযথ আদালত থেকে জামিন নেব। তাদের মধ্যে আইনজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা বলেছেন আদালতের ব্যাপার। আমরা আদালতের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। শুধু এটা বলেছেন যাদের জামিন দেবে আদালত তাদের যেন পুলিশ হয়রানি না করে। যিনি কোর্ট থেকে জামিন পাবেন তার জন্য একরকম ব্যবস্থা। আর যিনি পলাতক থাকবেন তার জন্য আরেক রকম ব্যবস্থা।
No comments