‘ওবামার মাথায় গুলি করে হত্যা করতাম’
সুযোগ
পেলে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা
করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল ভবনে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি
এবং তার বক্তব্যে কট্টরপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ পায়। স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের
ওহিয়ো অঙ্গরাজ্যের ২০ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার কর্নেল ওবামাকে মাথায় গুলি করে
হত্যার উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত
জানুয়ারি মাসে এফবিআই প্রতিনিধিরা তাকে গ্রেপ্তার না করলে, ক্যাপিটল হিল
ভবন ও ইসরাইলি দূতাবাসে পাইপ বোমা স্থাপনের পরিকল্পনাকে সফল করার চেষ্টা
চালাতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। কেনটাকির বুন কাউন্টির এক জেল থেকে সিনসিনাটির
বাসিন্দা কর্নেল টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি কি করতাম? আমার বন্দুক বের
করতাম। ওবামার মাথায় বন্দুক তাক করতাম আমি এবং ট্রিগারে চাপ দিতাম। এরপর
আমি সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের লক্ষ্য করে আরও গুলি ছুড়তাম এবং
ইসরাইলি দূতাবাসে হামলা চালাতাম। যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধাতে
এবং আমাদের রক্তপাত ঘটাতে চায়, সেসব কাফেরভর্তি অন্যান্য ভবনগুলোতে হামলা
চালাতাম। পাইপ বোমা বানানোর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সময় কর্নেলকে
গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একটি রাইফেল ও গোলাবারুদ কিনেছিলেন। হামলার
উদ্দেশ্য সফল করতে ওয়াশিংটন যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আগস্ট মাসে এ হামলা
চালানোর পরিকল্পনা ছিল তার। টুইটারে ইসলামিক স্টেটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত
করার পর কর্নেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে নিরপত্তা হেফাজতে আটক রাখা
হয়েছে এবং জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। কর্নেলের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের
বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা, অপরাধ সংঘটনের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখা এবং সহিংস
অপরাধ করার পরিকল্পনার মতো গুরুতর কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্নেল
সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বিদেশে অবস্থানরত ভাইদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছি।
কারণ, আমি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সিরিয়া ও ইরাকে আমার ভাইয়েরা
আমাকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল পশ্চিমে জিহাদ পরিচালনা করতে। তাই আমি
এমনটা করেছিলাম।
No comments