কেন পারে না দক্ষিণ আফ্রিকা?
২০০৩ বিশ্বকাপ, বৃষ্টি-আইন হিসাবে গড়বড় করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। হতভম্ব পোলক! ছবি: ক্রিকইনফো |
যদিও আজকের ম্যাচে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার সব শেষ হয়নি। তবে প্রোটিয়ারা আবারও সেই শব্দটির অনুরণন তোলার সুযোগ করে দিল-‘চোকার্স! চোকার্স! ’ ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুঃখজনক সেই বিদায়ে না হয় বৃষ্টিকে দায়ী করা যেতে পারে। ২০০৭ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারটাকেও না হয় বলা গেল, দুর্দান্ত এক দলের কাছে হেরেছে তারা। কিন্তু ১৯৯৬,১৯৯৯, ২০০৩,২০১১ বিশ্বকাপে হারকে কী বলা যায়?
গত বিশ্বকাপে মিরপুরে সেই কোয়ার্টার ফাইনালের কথা মনে আছে? নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২২২ রানের লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে গোত্তা খেয়ে পড়ল প্রোটিয়াদের ইনিংস। ৪৩.২ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে ৪৯ রানের পরাজয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার। সমর্থকদের এমন দীর্ঘশ্বাস উপহার দিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। কথা হলো, বিশ্বকাপে কেন এমন ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা?
যুক্তিবাদীরা বলবেন, ‘চাপ’। দুই অক্ষরের এ শব্দটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এভারেস্টের চেয়ে বড়। পরাজয়ের ছায়া দেখেই অসহায় আত্মসমর্পণ করা যেন প্রোটিয়াদের অলিখিত রীতি। কখনো কখনো সেটা এমনই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে, স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিও লোপ পায় প্রোটিয়াদের। এর বাইরে আরও একটা ব্যাপার রয়েছে ‘অভিশাপ’। বিশ্বকাপ শব্দটাই যেন বড় অভিশাপ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
নইলে হাতের মুঠোয় জয় এসে যাওয়ার পরও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ল্যান্স ক্লুজনার অমন পাগলাটে দৌড় দেবেন কেন? কেনই বা ২০০৩ বিশ্বকাপে ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি বুঝতে ভুল করবে? কেন ২০১১ বিশ্বকাপে সাধারণ এক নিউজিল্যান্ড কিংবা এবার বিপর্যস্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে প্রতিভাধর সব ব্যাটসম্যান নিজের উইকেটটা সহজলভ্য করে তুলবেন?
অবশ্য নকআউট পর্ব শুরু হয়নি। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত সময় এখনো আসেনি। কিন্তু অন্যতম ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে আসা প্রোটিয়ারা অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে পড়ে যেভাবে দুটি ম্যাচ (ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে) হারল, তাতে ওই শব্দটা যেন আবারও উচ্চকিত-চোকার্স! চোকার্স!
No comments