স্বাস্থ্য খাতে শতকোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র by রাজবংশী রায়
স্বাস্থ্য
খাতে শতকোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়কে অন্ধকারে রেখে একটি চক্র পাবনার দুই হাসপাতাল ও ৯ উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে শতকোটি টাকা লোপাটের আয়োজন
সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাদের সেই আয়োজন
ভেস্তে যায়। যন্ত্রপাতি ক্রয় স্থগিতসহ এ ঘটনায় জড়িত দুই কর্মকর্তাকে
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন কয়েক দিন আগে অবসরে
গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সমকালকে বলেন,
মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে শতকোটি টাকার দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়ার ঘটনা তাকে
বিস্মিত করেছে। বিষয়টি জানার পরপরই তিনি ওই দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিলসহ
জড়িত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের
বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান
স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পাবনা জেলার সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ও ঠিকাদারের যোগসাজশে শতকোটি টাকার দুর্নীতির এ নীলনকশা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে থাকা কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, গত বছর মার্চ মাসে পাবনা মানসিক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালসহ ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য শতকোটি টাকার ভারী ও এমএসআর যন্ত্রপাতি ক্রয়েরসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের একটি চক্র ও ঠিকাদারদের সঙ্গে পাবনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে গত বছর ১৬ এপ্রিল দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কার্যাদেশ পায়। কিন্তু বাজেট বরাদ্দ না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠান কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারেনি। যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক কর্তৃপক্ষ।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কাগজপত্র ঘেটে দেখতে পান, যন্ত্রপাতির চাহিদাপত্র থেকে শুরু করে দরপত্র উন্মুক্তকরণ ও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি ওই দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিলের নির্দেশ দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক দম্পতি পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. তাহসিন বেগম এবং জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মনোয়ারুল আজিজকে ওএসডি করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, অনিয়মের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি ডেন্টাল সার্জন ডা. একেএম মনোয়ারুল আজিজকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন হিসেবে ডা. তাহসিন বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে ডা. মনোয়ারুল আজিজকে তত্ত্বাবধায়ক করা হয়। তা ছাড়া সরকারি বিধি অনুযায়ী ডেন্টাল সার্জন কোনো প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব না পাওয়ার কথা থাকলেও তৎকালীন উপদেষ্টার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি এ পদ বাগিয়ে নেন। ডেন্টাল সার্জন মনোয়ারুল আজিজের স্ত্রী ডা. তাহসিন বেগমকে কয়েকদিন পরেই ডেপুটি সিভিল সার্জন থেকে একই সময়ে দুই ধাপ পদোন্নতি দিয়ে সিভিল সার্জন করা হয়। সিভিল সার্জন হওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ডা. তাহসিন কখনোই ওই দায়িত্ব পালন করেননি। এমনকি তার মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) ডিগ্রিও নেই। এই দম্পতি তৎকালীন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আত্মীয় ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মনোয়ারুল আজিজ সমকালের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি অবসরে চলে গেছি। তাই এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। একই বক্তব্য দিয়েছেন ডা. মনোয়ারুল আজিজের স্ত্রী পাবনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তাহসিন বেগম। সমকালের প্রশ্নের জবাবে তিনিও অভিযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পাবনা জেলার সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ও ঠিকাদারের যোগসাজশে শতকোটি টাকার দুর্নীতির এ নীলনকশা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে থাকা কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, গত বছর মার্চ মাসে পাবনা মানসিক হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালসহ ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য শতকোটি টাকার ভারী ও এমএসআর যন্ত্রপাতি ক্রয়েরসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের একটি চক্র ও ঠিকাদারদের সঙ্গে পাবনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে গত বছর ১৬ এপ্রিল দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কার্যাদেশ পায়। কিন্তু বাজেট বরাদ্দ না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠান কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারেনি। যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক কর্তৃপক্ষ।
এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কাগজপত্র ঘেটে দেখতে পান, যন্ত্রপাতির চাহিদাপত্র থেকে শুরু করে দরপত্র উন্মুক্তকরণ ও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি ওই দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিলের নির্দেশ দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক দম্পতি পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. তাহসিন বেগম এবং জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মনোয়ারুল আজিজকে ওএসডি করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, অনিয়মের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি ডেন্টাল সার্জন ডা. একেএম মনোয়ারুল আজিজকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন হিসেবে ডা. তাহসিন বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে ডা. মনোয়ারুল আজিজকে তত্ত্বাবধায়ক করা হয়। তা ছাড়া সরকারি বিধি অনুযায়ী ডেন্টাল সার্জন কোনো প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব না পাওয়ার কথা থাকলেও তৎকালীন উপদেষ্টার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি এ পদ বাগিয়ে নেন। ডেন্টাল সার্জন মনোয়ারুল আজিজের স্ত্রী ডা. তাহসিন বেগমকে কয়েকদিন পরেই ডেপুটি সিভিল সার্জন থেকে একই সময়ে দুই ধাপ পদোন্নতি দিয়ে সিভিল সার্জন করা হয়। সিভিল সার্জন হওয়ার আগে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ডা. তাহসিন কখনোই ওই দায়িত্ব পালন করেননি। এমনকি তার মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) ডিগ্রিও নেই। এই দম্পতি তৎকালীন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আত্মীয় ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মনোয়ারুল আজিজ সমকালের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি অবসরে চলে গেছি। তাই এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। একই বক্তব্য দিয়েছেন ডা. মনোয়ারুল আজিজের স্ত্রী পাবনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তাহসিন বেগম। সমকালের প্রশ্নের জবাবে তিনিও অভিযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
No comments