বিদেশী কূটনীতিকদের তৎপরতা
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের একটি দল মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। পরে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে রাজনৈতিক সংঘাত কমানোর মতো আস্থা স্থাপনের উদ্যোগ ইত্যাদি গুরুত্ব পায়। এর আগে ১ মার্চ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশী কূটনীতিকরা। এছাড়া ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকায় কর্মরত ১৫টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি প্রদান করে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কূটনীতিকদের সম্মিলিতভাবে চিঠি দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। কূটনীতিকদের এসব কর্মতৎপরতায় প্রতীয়মান হয়, দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের বিষয়টিকে বিদেশীরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিদ্যমান অচলাবস্থার অবসান চাইছেন তারা।
বিদেশী কূটনীতিকদের এ ধরনের তৎপরতা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে গড়ে উঠেছিল টুউইসডে গ্র“প। মূলত নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দূরত্ব কমাতে ২০০৫ সালে এ গ্রুপের জন্ম হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত এ গোষ্ঠীর তৎপরতা দেখা গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এর কোনো অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়নি। উল্লেখ্য, চলমান সংকট নিরসনে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে আগে থেকেই সংলাপের আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে। সংঘাত পরিহারের পাশাপাশি সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দুই নেত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। বিএনপি সংলাপে বসতে প্রস্তুত থাকলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়ায় সংলাপ নিয়ে দেশী-বিদেশী কোনো উদ্যোগ এ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে সংকট নিরসনে গত কয়েক দিন ধরে প্রভাবশালী কূটনীতিকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
বস্তুত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুধু বিদেশী কূটনীতিকদের নয়, সমগ্র দেশবাসীরই। সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষ শুধু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না, আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে রাজনৈতিক সংকটের মারাÍক প্রভাব পড়েছে। হরতাল-অবরোধের কারণে বারবার এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আতংক ও ভয় নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার পাশাপাশি দেশের পরিবহন, পর্যটন, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, বীমাসহ প্রায় সব খাত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান কাম্য। তবে বিদেশী দূতিয়ালিতে এক্ষেত্রে কতটা সুফল মিলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অতীতে এ ধরনের দূতিয়ালি কাজ দেয়নি। বস্তুত আমাদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। তারপরও আমরা আশা করব, বিদেশী কূটনীতিকরা সংকট নিরসনে যে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তা সফল হোক। রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক। মানুষের জানমালসহ অর্থনীতির আরও ক্ষতি এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলো নেতিবাচক কর্মসূচি পরিহার করে সমঝোতার পথে অগ্রসর হবে- এটাই প্রত্যাশা।
বিদেশী কূটনীতিকদের এ ধরনের তৎপরতা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে গড়ে উঠেছিল টুউইসডে গ্র“প। মূলত নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দূরত্ব কমাতে ২০০৫ সালে এ গ্রুপের জন্ম হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত এ গোষ্ঠীর তৎপরতা দেখা গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এর কোনো অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়নি। উল্লেখ্য, চলমান সংকট নিরসনে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে আগে থেকেই সংলাপের আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে। সংঘাত পরিহারের পাশাপাশি সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দুই নেত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। বিএনপি সংলাপে বসতে প্রস্তুত থাকলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়ায় সংলাপ নিয়ে দেশী-বিদেশী কোনো উদ্যোগ এ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে সংকট নিরসনে গত কয়েক দিন ধরে প্রভাবশালী কূটনীতিকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
বস্তুত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুধু বিদেশী কূটনীতিকদের নয়, সমগ্র দেশবাসীরই। সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষ শুধু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না, আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে রাজনৈতিক সংকটের মারাÍক প্রভাব পড়েছে। হরতাল-অবরোধের কারণে বারবার এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আতংক ও ভয় নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার পাশাপাশি দেশের পরিবহন, পর্যটন, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, বীমাসহ প্রায় সব খাত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান কাম্য। তবে বিদেশী দূতিয়ালিতে এক্ষেত্রে কতটা সুফল মিলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অতীতে এ ধরনের দূতিয়ালি কাজ দেয়নি। বস্তুত আমাদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। তারপরও আমরা আশা করব, বিদেশী কূটনীতিকরা সংকট নিরসনে যে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তা সফল হোক। রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক। মানুষের জানমালসহ অর্থনীতির আরও ক্ষতি এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলো নেতিবাচক কর্মসূচি পরিহার করে সমঝোতার পথে অগ্রসর হবে- এটাই প্রত্যাশা।
No comments