পাঁচ শতাধিক কোয়ার্টার প্রভাবশালীদের দখলে by অমিত রায়
ময়মনসিংহে রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলবাজির কারণে পাঁচ শতাধিক কোয়ার্টার এখন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ তাদের দখলে। আর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে প্রতিমাসে রেলওয়ের গচ্চা যাচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত সিঙ্গেল কোয়ার্টারগুলোতে অবৈধভাবে একাধিক কক্ষ নির্মাণ করে ভাড়াটিয়া বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। সেইসঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক চুল্লি ব্যবহার করে চলছে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব। আর এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে প্রতিনিয়তই নাজেহাল হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। এদিকে কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রেললাইনের চারপাশের রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি দখল হয়ে দিন দিনই গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। দেখার যেন কেউ নেই। রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও দখলদার উচ্ছেদ করে সংস্কার করা হলে বছরে সরকারের আয় বাড়বে কোটি টাকারও বেশি।
রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানা যায়, রেলওয়ের ময়মনসিংহ জোনের আওতায় শহরের এক হাজার ১০৮টি কোয়ার্টার বা ইউনিটের মধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ৫৭৭টি। এর মধ্যে নিউ কলোনিতে ১৫০টি, কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউস কলোনিতে ৭০টি, বাজার কলোনিতে ৫০টি, নদীরপাড় কলোনিতে ৪০টি ও স্টেশন চত্বর কলোনিতে ৪০টি কোয়ার্টার অবৈধ দখলে। সেগুলোতে রেলওয়ের কোনো স্টাফ থাকেন না। অসাধু নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন অন্যত্র। নিয়েছেন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও। প্রতিটি কোয়ার্টারে রান্নার কাজে নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক চুল্লি। কোথাও কোথাও দিনে-রাতে দেয়া হচ্ছে অটোরিকশার চার্জ। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের ওভারহেড লাইন খুলে ফেলা হলেও অবৈধভাবে পিডিবির সংযোগ রাখা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও লাইনম্যান, মিটার রিডার ও ওয়ারম্যানদের যোগসাজশে অবৈধ সংযোগ, দেয়া হচ্ছে এবং কমানো হচ্ছে বিল। ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি বছর বেহাত হচ্ছে কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ময়মনসিংহ জংশনের প্রবেশপথে, মিন্টু কলেজ সংলগ্ন এলাকায়, সানকিপাড়া, কেওয়াটখালী ও বাঘমারা এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকানপাট, বাসা, সংগঠন বা সমিতির নামে অত্যাধুনিক স্থাপনা তৈরির মহোৎসব চলছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে র্যালির মোড় ও স্টেশন চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট-বাসাসহ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলেও এখন সেগুলো আবারও অবৈধ দখলে চলে গেছে। আগে যেগুলো ছিল হালকাভাবে টিনের তৈরি, এখন সেগুলো বিল্ডিং করে দখল করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিগত সাড়ে তিন বছরে অবৈধ দখলে থাকা কোয়ার্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার বার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সংযোগ সচল রাখছে অবৈধভাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৫ শতাধিক বাসায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রতিমাসে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলেই প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে নাজেহাল হতে হয়। রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবরাব হোসেন জানান, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৮৬৯টি কোয়ার্টারের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই অবৈধ দখলে।
রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানা যায়, রেলওয়ের ময়মনসিংহ জোনের আওতায় শহরের এক হাজার ১০৮টি কোয়ার্টার বা ইউনিটের মধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ৫৭৭টি। এর মধ্যে নিউ কলোনিতে ১৫০টি, কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউস কলোনিতে ৭০টি, বাজার কলোনিতে ৫০টি, নদীরপাড় কলোনিতে ৪০টি ও স্টেশন চত্বর কলোনিতে ৪০টি কোয়ার্টার অবৈধ দখলে। সেগুলোতে রেলওয়ের কোনো স্টাফ থাকেন না। অসাধু নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন অন্যত্র। নিয়েছেন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও। প্রতিটি কোয়ার্টারে রান্নার কাজে নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক চুল্লি। কোথাও কোথাও দিনে-রাতে দেয়া হচ্ছে অটোরিকশার চার্জ। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের ওভারহেড লাইন খুলে ফেলা হলেও অবৈধভাবে পিডিবির সংযোগ রাখা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও লাইনম্যান, মিটার রিডার ও ওয়ারম্যানদের যোগসাজশে অবৈধ সংযোগ, দেয়া হচ্ছে এবং কমানো হচ্ছে বিল। ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি বছর বেহাত হচ্ছে কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ময়মনসিংহ জংশনের প্রবেশপথে, মিন্টু কলেজ সংলগ্ন এলাকায়, সানকিপাড়া, কেওয়াটখালী ও বাঘমারা এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকানপাট, বাসা, সংগঠন বা সমিতির নামে অত্যাধুনিক স্থাপনা তৈরির মহোৎসব চলছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে র্যালির মোড় ও স্টেশন চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট-বাসাসহ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলেও এখন সেগুলো আবারও অবৈধ দখলে চলে গেছে। আগে যেগুলো ছিল হালকাভাবে টিনের তৈরি, এখন সেগুলো বিল্ডিং করে দখল করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিগত সাড়ে তিন বছরে অবৈধ দখলে থাকা কোয়ার্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার বার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সংযোগ সচল রাখছে অবৈধভাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৫ শতাধিক বাসায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রতিমাসে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলেই প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে নাজেহাল হতে হয়। রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবরাব হোসেন জানান, অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৮৬৯টি কোয়ার্টারের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই অবৈধ দখলে।
No comments