রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন- জাতিসঙ্ঘ-যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগী
বাংলাদেশের
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হয়েছে জাতিসঙ্ঘ। যুক্তরাষ্ট্র
প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে একযোগে এ সঙ্কট উত্তরণে কাজ চলছে। সঙ্কট
সমাধানে শিগগিরই জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো
বাংলাদেশে আসছেন। দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা
দেসাই বিসওয়ালের সাথে বুধবার তারানকো বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের
স্থিতিশীলতা রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব জানিয়েছেন, মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার সংস্থার সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ তথ্য জানান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র সহকারী মন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়ালের সাথে আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। স্টিফেন ডুজাররিক সাংবাদিকদের জানান, জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই জাতিসঙ্ঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়াল ও জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যে বুধবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনা কমিয়ে আনতে জাতিসঙ্ঘ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান ডুজাররিক। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র জানান, জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রসগুলোর সাথে যোগাযোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর বৈঠক হয়েছে। অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ও নিশা দেসাইয়ের এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রশ্নে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সহিংস পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিদেশী এক সাংবাদিক মুখপাত্রকে বাংলাদেশ প্রশ্নে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সেখানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক করে জেলে ঢুকানো হচ্ছে-এমন বাস্তবতায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব সমস্যা সমাধানে কোনো বিশেষ দূত পাঠাবেন কি না? জবাবে মুখপাত্র ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব জাতিসঙ্ঘের পিস বিল্ডিং অফিসের প্রধান কর্মকর্তা অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দল ও সরকারি দলের সাথে যোগাযোগ রেখে উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে কাজ করবেন এবং তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাণহানি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। করণীয় নির্ধারণে সার্বিকভাবে কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ। তিনি আরো জানান, উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে আমরা শুধু শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
নিশা দেসাই ও তারানকো বৈঠকের সুনির্দিষ্ট ফলাফল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জাতিসঙ্ঘের এ মুখপাত্র বলেন, এটি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া দায়িত্ব অনুসারে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণারোপ এবং খাবার প্রবেশে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, জাতিফঙ্ঘ মহাসচিব এসব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তিনি চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ মহাসচিবের খুব কাছ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ৫ জানুয়ারি ২০১৪-এর নির্বাচনের আগে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা করতে মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের নির্দেশক্রমে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে শিগগিরই তার বাংলাদেশ সফরের কথা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সূত্র।
এ দিকে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সরকারের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং খাবার সরবরাহে বাধাদানের ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। জাতিসঙ্ঘ এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।
জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব জানিয়েছেন, মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার সংস্থার সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ তথ্য জানান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র সহকারী মন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়ালের সাথে আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। স্টিফেন ডুজাররিক সাংবাদিকদের জানান, জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই জাতিসঙ্ঘ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়াল ও জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যে বুধবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনা কমিয়ে আনতে জাতিসঙ্ঘ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান ডুজাররিক। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র জানান, জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রসগুলোর সাথে যোগাযোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর বৈঠক হয়েছে। অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ও নিশা দেসাইয়ের এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রশ্নে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সহিংস পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিদেশী এক সাংবাদিক মুখপাত্রকে বাংলাদেশ প্রশ্নে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সেখানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক করে জেলে ঢুকানো হচ্ছে-এমন বাস্তবতায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব সমস্যা সমাধানে কোনো বিশেষ দূত পাঠাবেন কি না? জবাবে মুখপাত্র ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব জাতিসঙ্ঘের পিস বিল্ডিং অফিসের প্রধান কর্মকর্তা অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দল ও সরকারি দলের সাথে যোগাযোগ রেখে উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে কাজ করবেন এবং তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাণহানি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। করণীয় নির্ধারণে সার্বিকভাবে কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ। তিনি আরো জানান, উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনে আমরা শুধু শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
নিশা দেসাই ও তারানকো বৈঠকের সুনির্দিষ্ট ফলাফল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জাতিসঙ্ঘের এ মুখপাত্র বলেন, এটি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া দায়িত্ব অনুসারে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণারোপ এবং খাবার প্রবেশে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, জাতিফঙ্ঘ মহাসচিব এসব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তিনি চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ মহাসচিবের খুব কাছ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ৫ জানুয়ারি ২০১৪-এর নির্বাচনের আগে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা করতে মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের নির্দেশক্রমে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ থেকে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে শিগগিরই তার বাংলাদেশ সফরের কথা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সূত্র।
এ দিকে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সরকারের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং খাবার সরবরাহে বাধাদানের ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। জাতিসঙ্ঘ এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।
No comments