বিবেচনায় নেই ক্ষমতাসীনদের- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উৎকণ্ঠিত
(বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার গুলশান গোলচত্বরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম। ছবি- ফোকাস বাংলা) দেশ
ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কাবু
হয়ে গেছে আগেই। দুর্ভাগা পরিস্থিতি ক্রমেই গ্রাস করছে রাষ্ট্রের সব
সেক্টরকে। এর ছায়া পড়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর। রাষ্ট্র ও
নাগরিকদের স্বার্থ নিয়ে কাজে মনোযোগ দেয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের
মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। উদ্ভূত পরিস্থিতির সহজ সমাধান থাকলেও
সরকার সে পথে হাঁটছে না। ক্রমেই সৃষ্টি হওয়া এ অনিরাপদ পরিস্থিতির জন্য
সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের মতো তাদেরও ক্রোধ বাড়ছে।
প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্যতামূলক অফিস করছেন। ফাইলপত্রেও হয়তো তারা চোখ রাখছেন। কিন্তু মনোযোগ বসাতে পারছেন না। নিজ বাসা ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা থাকছেন উৎকণ্ঠিত। অন্য দিকে, পরিবারের বাকি সদস্যরা অফিসগামী সদস্যদের নিরাপদে বাসায় ফিরে আসা নিয়ে থাকেন শঙ্কার মধ্যে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরতে পারবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পাবলিক বাসে যারা অফিসে যাতায়াত করেন, তাদের উৎকণ্ঠা সবচেয়ে বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে সচিবালয়ে কাজ করতে আসা কর্মকর্তাদের অবস্থা করুণ। সরকারের নির্দেশে জীবনের মায়া ফেলে তারা হাজিরা দিচ্ছেন। কিন্তু এ ধরনের হাজিরা আসলে হাজিরা দেয়ার জন্যই হয়। তা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের কোনো কাজে আসে না। কিছুক্ষণ পরপরই ফোনে খবর নিচ্ছেন উদ্বেগ কমাতে। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমন মনোভাবের কথা জানাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমকে। প্রকৃতপক্ষে সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থা এখন একই। মনে অশান্তি আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে তারা অফিসের কাজে মন দিতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সচিবালয়ে প্রকাশ্যে তারা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। তবে কাছের সহকর্মীর সাথে অনেকেই তাদের সুখ-দুঃখের বিষয়গুলো ভাগাভাগি করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চান। কেউ কেউ বলেছেন, সব দল মিলে আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান অনেকটাই এগিয়ে যাবে। সরকার এ রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে গায়ের জোরে বরাবরের মতো উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। সহিংসতা দমনে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। অন্য দিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার সুযোগও পাচ্ছেন না। ুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য দেয়ার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সরকারী কর্মচারীদের মুখ দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য এলে সঙ্কট আরো বাড়বে, কমবে না। আমরা মনে করি, মন খুলে বলতে না পারা কথাগুলো সময় মতো আমলে নেয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। নাগরিক সমাজের বিভিন্ন কর্নার থেকে সরকারের প্রতি একই দাবি উত্থাপিত হচ্ছে। রাস্তায় করতে না পারা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। জনদাবির প্রতি সম্মান দেখানো এখন সরকারের দায়িত্ব।
প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধ্যতামূলক অফিস করছেন। ফাইলপত্রেও হয়তো তারা চোখ রাখছেন। কিন্তু মনোযোগ বসাতে পারছেন না। নিজ বাসা ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা থাকছেন উৎকণ্ঠিত। অন্য দিকে, পরিবারের বাকি সদস্যরা অফিসগামী সদস্যদের নিরাপদে বাসায় ফিরে আসা নিয়ে থাকেন শঙ্কার মধ্যে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরতে পারবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পাবলিক বাসে যারা অফিসে যাতায়াত করেন, তাদের উৎকণ্ঠা সবচেয়ে বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে সচিবালয়ে কাজ করতে আসা কর্মকর্তাদের অবস্থা করুণ। সরকারের নির্দেশে জীবনের মায়া ফেলে তারা হাজিরা দিচ্ছেন। কিন্তু এ ধরনের হাজিরা আসলে হাজিরা দেয়ার জন্যই হয়। তা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের কোনো কাজে আসে না। কিছুক্ষণ পরপরই ফোনে খবর নিচ্ছেন উদ্বেগ কমাতে। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমন মনোভাবের কথা জানাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমকে। প্রকৃতপক্ষে সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থা এখন একই। মনে অশান্তি আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে তারা অফিসের কাজে মন দিতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সচিবালয়ে প্রকাশ্যে তারা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। তবে কাছের সহকর্মীর সাথে অনেকেই তাদের সুখ-দুঃখের বিষয়গুলো ভাগাভাগি করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চান। কেউ কেউ বলেছেন, সব দল মিলে আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান অনেকটাই এগিয়ে যাবে। সরকার এ রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে গায়ের জোরে বরাবরের মতো উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। সহিংসতা দমনে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। অন্য দিকে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার সুযোগও পাচ্ছেন না। ুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য দেয়ার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সরকারী কর্মচারীদের মুখ দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য এলে সঙ্কট আরো বাড়বে, কমবে না। আমরা মনে করি, মন খুলে বলতে না পারা কথাগুলো সময় মতো আমলে নেয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। নাগরিক সমাজের বিভিন্ন কর্নার থেকে সরকারের প্রতি একই দাবি উত্থাপিত হচ্ছে। রাস্তায় করতে না পারা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। জনদাবির প্রতি সম্মান দেখানো এখন সরকারের দায়িত্ব।
No comments