‘শাড়ির মধ্যে জীবনগাথা’ by মানসুরা হোসাইন
(বিশাল আকৃতির শাড়ি দিয়ে অভিনয় করছেন মনিকা জাহান বোস। ছবি: মানসুরা হোসাইন) ১২
হাত নয়, ধরুন লম্বায় ১৫৪ হাত বা ২১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি শাড়ি পরে আছেন।
ভাবছেন, মোট ১২টি শাড়ির সমান বিশাল এই শাড়ি সামলাবেন কী করে! সেটাই আজ
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে দেখাবেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মনিকা জাহান বোস। এই
শাড়ি পরেই অভিনয় করবেন তিনি। তাঁকে সহায়তা করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা
নন্দিতা আহমেদ। এ ছাড়া ১২ জন নারীসহ অন্যরাও সহযোগিতা করবেন। আজ শাহবাগে
বিশ্বব্যাপী আন্দোলন ‘উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি নারী’ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ শাড়ি পরেই অভিনয় করবেন মনিকা জাহান। এটিই হবে এই
শাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম পরিবেশনা। বাংলাদেশে তৈরি বিশালাকৃতির এই
শাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইমার্জ আর্ট ফেয়ার, নিউইয়র্কের
ব্রুকলিন মিউজিয়াম ও ডাম্বো আর্টস ফেস্টিভাল, নিউজার্সির গেটওয়ে আর্ট
সেন্টার এবং মায়ামির আর্ট বাসেলে ঘুরে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে স্যুটকেসে করে
শাড়িটি আবার পাড়ি দেবে ওয়াশিংটন। তারপর সেখান থেকে আইওয়াতে।
১০ বছর বয়সে মনিকা ভাষা আন্দোলনের সৈনিক বাবা স্বদেশ বোস ও মা নূরজাহান বোসের হাত ধরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে ওয়াশিংটনে বসবাসরত মনিকা বলেন, এ শাড়ি মহাভারতের দ্রৌপদীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ শাড়ি পটুয়াখালীর কাটাখালি এলাকার হাসিনা, খুকু রানি, নাসিমা, নূর চেহারা, পারভীন, রোকসানা, সালমা, শাহিদা, সীমা, জাকিয়া ও জুলেখার জীবনের গল্প বলে। এই গল্প শুধু বাংলাদেশের নারীর নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশের নারীর জীবনের গল্পই প্রায় একই রকম। সতীত্ব রক্ষার সংগ্রাম করতে হয় সব নারীকেই। আর এই শাড়ির মধ্য দিয়েই নারীর অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয়।
এত বড় শাড়ি দিয়ে কীভাবে অভিনয় করেন—এই প্রশ্নের উত্তরে মনিকা বলেন, ‘আমি আমার গায়ে ১২টি শাড়ি পেঁচিয়ে ঘুরতে থাকি। এখানে পুরুষ নারীর শাড়ি টেনে খুলে ফেলছে, তা দেখানো হয় না। এখানে আমার আঁচল টেনে অন্যজন তাঁর গায়ে শাড়ি প্যাঁচান। তারপর একজন একজন করে ১২ জন এ কাজ করেন। ঘুরতে ঘুরতে আমরা একে অন্যের গায়ে গিয়ে পড়ি। তখন সেই নারী অন্য নারীকে আশ্রয় দেন। তারপর শাড়ি নিয়ে শহরে সবাই মিছিল করে। কাটাখালি বা মায়ামি বিচ বা অন্য জায়গার নারীর যে জীবন, বলতে গেলে তা একসূত্রে গাঁথা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। অন্যান্য নির্যাতনের চিত্রেও খুব একটা পার্থক্য নেই।’
পটুয়াখালীর কাটাখালিতে মনিকার মায়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই ২০১৩ সালে কাটাখালিতে বসে ১০ দিনে ১২ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেন মনিকা। তাঁদের মনের কথা লেখার জন্য নোটবুক কিনে দেওয়া হয়। তাঁরা লিখতে শুরু করেন। ১২ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ভিডিও করা হয়। তাঁদের ২৪টি সুতি শাড়ি কিনে দেওয়া হয়। লাল, কালো, গোলাপিসহ বিভিন্ন রঙের শাড়ি। পরে ছয় থেকে সাত মাস ব্যবহারের জন্য তাঁদের ১২টি শাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবহারের কারণে শাড়িগুলোতে রান্নার হলুদ ও নদীর পানিসহ সব কিছুরই ছোঁয়া লেগে থাকে। অনেকের শাড়ি কিছু কিছু জায়গায় ছিঁড়েও যায়।
মনিকা জাহানের দুই মেয়ে তুলি ও কলি। তুলি ১২টি শাড়িকে হাতে ও মেশিনে সেলাই করে একটি শাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। মনিকার এ কাজে পূর্ণ সমর্থন আছে স্বামী মাইকেল ব্যানেট আর দুই মেয়ের।
কাটাখালি গ্রাম ও পটুয়াখালী জেলার নারীদের সঙ্গে সহযোগিতাভিত্তিক উদ্যোগ ‘শাড়ির মধ্যে জীবনগাথা’ প্রকল্পের সঙ্গে মনিকা কাজ করতে চান দীর্ঘ সময়। দেখতে চান এই নারীরা কীভাবে তাঁদের জীবনকে পরিবর্তন করছেন। আর ভবিষ্যতে এই নারীদের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র বানানোর পরিকল্পনা আছে তাঁর।
১০ বছর বয়সে মনিকা ভাষা আন্দোলনের সৈনিক বাবা স্বদেশ বোস ও মা নূরজাহান বোসের হাত ধরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে ওয়াশিংটনে বসবাসরত মনিকা বলেন, এ শাড়ি মহাভারতের দ্রৌপদীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ শাড়ি পটুয়াখালীর কাটাখালি এলাকার হাসিনা, খুকু রানি, নাসিমা, নূর চেহারা, পারভীন, রোকসানা, সালমা, শাহিদা, সীমা, জাকিয়া ও জুলেখার জীবনের গল্প বলে। এই গল্প শুধু বাংলাদেশের নারীর নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশের নারীর জীবনের গল্পই প্রায় একই রকম। সতীত্ব রক্ষার সংগ্রাম করতে হয় সব নারীকেই। আর এই শাড়ির মধ্য দিয়েই নারীর অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয়।
এত বড় শাড়ি দিয়ে কীভাবে অভিনয় করেন—এই প্রশ্নের উত্তরে মনিকা বলেন, ‘আমি আমার গায়ে ১২টি শাড়ি পেঁচিয়ে ঘুরতে থাকি। এখানে পুরুষ নারীর শাড়ি টেনে খুলে ফেলছে, তা দেখানো হয় না। এখানে আমার আঁচল টেনে অন্যজন তাঁর গায়ে শাড়ি প্যাঁচান। তারপর একজন একজন করে ১২ জন এ কাজ করেন। ঘুরতে ঘুরতে আমরা একে অন্যের গায়ে গিয়ে পড়ি। তখন সেই নারী অন্য নারীকে আশ্রয় দেন। তারপর শাড়ি নিয়ে শহরে সবাই মিছিল করে। কাটাখালি বা মায়ামি বিচ বা অন্য জায়গার নারীর যে জীবন, বলতে গেলে তা একসূত্রে গাঁথা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। অন্যান্য নির্যাতনের চিত্রেও খুব একটা পার্থক্য নেই।’
পটুয়াখালীর কাটাখালিতে মনিকার মায়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই ২০১৩ সালে কাটাখালিতে বসে ১০ দিনে ১২ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেন মনিকা। তাঁদের মনের কথা লেখার জন্য নোটবুক কিনে দেওয়া হয়। তাঁরা লিখতে শুরু করেন। ১২ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ভিডিও করা হয়। তাঁদের ২৪টি সুতি শাড়ি কিনে দেওয়া হয়। লাল, কালো, গোলাপিসহ বিভিন্ন রঙের শাড়ি। পরে ছয় থেকে সাত মাস ব্যবহারের জন্য তাঁদের ১২টি শাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবহারের কারণে শাড়িগুলোতে রান্নার হলুদ ও নদীর পানিসহ সব কিছুরই ছোঁয়া লেগে থাকে। অনেকের শাড়ি কিছু কিছু জায়গায় ছিঁড়েও যায়।
মনিকা জাহানের দুই মেয়ে তুলি ও কলি। তুলি ১২টি শাড়িকে হাতে ও মেশিনে সেলাই করে একটি শাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। মনিকার এ কাজে পূর্ণ সমর্থন আছে স্বামী মাইকেল ব্যানেট আর দুই মেয়ের।
কাটাখালি গ্রাম ও পটুয়াখালী জেলার নারীদের সঙ্গে সহযোগিতাভিত্তিক উদ্যোগ ‘শাড়ির মধ্যে জীবনগাথা’ প্রকল্পের সঙ্গে মনিকা কাজ করতে চান দীর্ঘ সময়। দেখতে চান এই নারীরা কীভাবে তাঁদের জীবনকে পরিবর্তন করছেন। আর ভবিষ্যতে এই নারীদের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র বানানোর পরিকল্পনা আছে তাঁর।
No comments