আ.লীগ নেতাদের খপ্পরে দুই শতাধিক গ্রাহক by মোহাম্মদ শাহজাহান
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ২১৩ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় চারজন নেতা-কর্মী প্রায় নয় লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। অথচ প্রায় দেড় বছর পরও গ্রাহকেরা সংযোগ পাননি। টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে গ্রাহকেরা এখনো সংযোগ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সদস্য নুরুল আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিহির হোসেন ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী কাইয়ুম হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক ফখরউদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় নেতারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকাপয়সা নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখেছি। এখন এমপি সাহেবের নির্দেশে রসিদের মাধ্যমে মিটারের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যার সমাধান না হলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে না।’
পল্লী বিদ্যুতের শাহরাস্তি আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাজাপুর গ্রামে বিদ্যুতায়নের জন্য ২০১৩ সালের শেষ দিকে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার তার টানার কাজ শেষ হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ-সংযোগের ব্যয় নির্বাহে নুরুল আলমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে গ্রামবাসী বৈঠক করেন। এতে গ্রাহকপ্রতি ছয় হাজার টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। কাইয়ুমকে নিয়ে নুরুল আলম গ্রাহকদের কাছ থেকে এ বাবদ প্রায় নয় লাখ টাকা আদায় করেন। ওই টাকা জমা রাখা হয় কাইয়ুমের কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ জন গ্রাহক জানান, তাঁরা একেকটি সংযোগের জন্য ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়েছেন। এরপরই টাকা নিয়ে ওই নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। এক পক্ষে আছেন মোশারফ ও মিহির। অন্য পক্ষে নুরুল আলম ও কাইয়ুম। গ্রাহকদের রোষানলে পড়ে নুরুল এখন এলাকাছাড়া। গ্রাহক মুনির হোসেন ও আবদুস সাত্তার জানান, টাকা দেওয়ার এক বছর চলে গেলেও সংযোগ পাননি। তাই ১৭ নভেম্বর গ্রামবাসী নুরুলের বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন। এর আগেই অবশ্য নুরুল পালিয়ে যান।
গত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এলাকায় এলে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা তাঁকে ঘটনাটি জানান। নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদায় করা টাকা ঠিকাদার, মিটার বোর্ড, আর্থিং-রড কেনা এবং পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের বিভিন্ন টেবিলে খরচ হয়েছে। মিহির নিজ হাতে ওই টাকা খরচ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ছয় হাজার করে ২১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আদায় হওয়ার কথা। এখনো ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অনাদায়ি রয়েছে। সামর্থ্যহীন সাত গ্রাহকের ৪২ হাজার টাকা মওকুফ করা হয়েছে।
নুরুল আলম অভিযোগ করেন, ‘লাইন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর মিটারের জন্য কাইয়ুমের কাছে রাখা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মোশারফ ও মিহির জোর করে নিয়ে যান। ফলে আর মিটারের টাকা জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। মোশারফ ও মিহির টাকা আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত হননি। আমি তাঁদের বাধা দেওয়ায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের খেপিয়ে তোলেন। মোশারফ সন্ত্রাসী লাগিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালান।’
যুবলীগের নেতা মিহির বলেন, ‘আমি কেবল গ্রাহকেরা যাতে বিদ্যুৎ-সংযোগটা পায়, সে জন্য সহযোগিতা করছি।’
এদিকে সাংসদের নির্দেশের পর মোশারফ আবার মিটারের টাকার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেন বলে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রামের দুই বাসিন্দা। অবশ্য উপমহাব্যবস্থাপক জানান, এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
মোশারফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নুরুল গা ঢাকা দেওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে দুই হাজার টাকা আদায় প্রসঙ্গে মোশারফ জানান, এটা বানোয়াট অভিযোগ। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার কাইয়ুমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সদস্য নুরুল আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিহির হোসেন ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী কাইয়ুম হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক ফখরউদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় নেতারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকাপয়সা নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া বন্ধ রাখেছি। এখন এমপি সাহেবের নির্দেশে রসিদের মাধ্যমে মিটারের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যার সমাধান না হলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে না।’
পল্লী বিদ্যুতের শাহরাস্তি আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাজাপুর গ্রামে বিদ্যুতায়নের জন্য ২০১৩ সালের শেষ দিকে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার তার টানার কাজ শেষ হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ-সংযোগের ব্যয় নির্বাহে নুরুল আলমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে গ্রামবাসী বৈঠক করেন। এতে গ্রাহকপ্রতি ছয় হাজার টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। কাইয়ুমকে নিয়ে নুরুল আলম গ্রাহকদের কাছ থেকে এ বাবদ প্রায় নয় লাখ টাকা আদায় করেন। ওই টাকা জমা রাখা হয় কাইয়ুমের কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০ জন গ্রাহক জানান, তাঁরা একেকটি সংযোগের জন্য ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়েছেন। এরপরই টাকা নিয়ে ওই নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। এক পক্ষে আছেন মোশারফ ও মিহির। অন্য পক্ষে নুরুল আলম ও কাইয়ুম। গ্রাহকদের রোষানলে পড়ে নুরুল এখন এলাকাছাড়া। গ্রাহক মুনির হোসেন ও আবদুস সাত্তার জানান, টাকা দেওয়ার এক বছর চলে গেলেও সংযোগ পাননি। তাই ১৭ নভেম্বর গ্রামবাসী নুরুলের বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন। এর আগেই অবশ্য নুরুল পালিয়ে যান।
গত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এলাকায় এলে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা তাঁকে ঘটনাটি জানান। নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদায় করা টাকা ঠিকাদার, মিটার বোর্ড, আর্থিং-রড কেনা এবং পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের বিভিন্ন টেবিলে খরচ হয়েছে। মিহির নিজ হাতে ওই টাকা খরচ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ছয় হাজার করে ২১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আদায় হওয়ার কথা। এখনো ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অনাদায়ি রয়েছে। সামর্থ্যহীন সাত গ্রাহকের ৪২ হাজার টাকা মওকুফ করা হয়েছে।
নুরুল আলম অভিযোগ করেন, ‘লাইন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর মিটারের জন্য কাইয়ুমের কাছে রাখা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মোশারফ ও মিহির জোর করে নিয়ে যান। ফলে আর মিটারের টাকা জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। মোশারফ ও মিহির টাকা আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত হননি। আমি তাঁদের বাধা দেওয়ায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের খেপিয়ে তোলেন। মোশারফ সন্ত্রাসী লাগিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালান।’
যুবলীগের নেতা মিহির বলেন, ‘আমি কেবল গ্রাহকেরা যাতে বিদ্যুৎ-সংযোগটা পায়, সে জন্য সহযোগিতা করছি।’
এদিকে সাংসদের নির্দেশের পর মোশারফ আবার মিটারের টাকার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেন বলে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রামের দুই বাসিন্দা। অবশ্য উপমহাব্যবস্থাপক জানান, এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
মোশারফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নুরুল গা ঢাকা দেওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে দুই হাজার টাকা আদায় প্রসঙ্গে মোশারফ জানান, এটা বানোয়াট অভিযোগ। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার কাইয়ুমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
No comments