গরু বেচে গুলিবিদ্ধ মমিনের চিকিৎসা
(রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্র মমিন ইসলাম l প্রথম আলো) অভাবের
সংসার। তাই মমিন ইসলাম একদিন কলেজে যায় তো আরেক দিন ভ্যান চালায়। অবরোধ
শুরুর আগের দিন ৫ জানুয়ারিও ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছিল। পুলিশ ও অবরোধকারীদের
সংঘর্ষের সময় তার হাতে ও পেটে গুলি লাগে। গুলি দুটি এখনো তার শরীরেই আছে।
মমিনদের ভিটাও নেই। দুটি গরু ছিল। সেগুলো বিক্রি করে তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মমিনকে আরও তিন মাস হাসপাতালে থাকতে হবে। মমিন
ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাউনদীঘি গ্রামে। সে চারঘাটের
সলুয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। বাবার নাম মোহাম্মদ আজাদ। তিনি
কখনো ভ্যান চালান, কখনো অন্যের জমিতে কাজ করেন। এভাবেই আজাদ তাঁর দুই
সন্তানকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। তাঁর ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
দুই ছেলে পড়ালেখা করায় আজাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। এ জন্য মমিনকেও ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। ৫ জানুয়ারি সকালে মমিন ভ্যান নিয়ে বের হয়। সারা দিন ভ্যান নিয়ে রাস্তায় ছিল। দুপুরে খাওয়া হয়নি। বিকেলের দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে একটি হোটেলে খাবার খায়। এরপর শিবপুর বাজারের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রী ডাকতে শুরু করে। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর ভ্যানের ওপরই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় মমিন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেই থেকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সে।
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মমিনের বাঁ হাতের কনুই এখনো ফুলে আছে। এক্স-রে করানো হয়েছে। কনুইয়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মেরুদণ্ড বরাবর আরেকটি গুলি রয়েছে। হাসপাতালে আসার পরপরই পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই থেকে তার পায়খানা বন্ধ রয়েছে। পেটের সঙ্গে একটি পাইপ দিয়ে একটি ব্যাগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মমিনের মা মোমেনা বেগম জানান, তাঁরা অন্যের জমিতে থাকেন। দুটি গরু বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। এই গরু কেনার জন্য বেসরকারি একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের কিস্তি এখন পরিশোধ করতে পারছেন না।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, ও (মমিন) সম্ভবত সংঘর্ষের সময় ক্রসফায়ারে পড়েছিল। ওর পায়ুপথটা নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য পেটের সঙ্গে পাইপ দিয়ে অস্থায়ীভাবে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে চিকিৎসাটা এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে যেসব ওষুধের সরবরাহ আছে, সেগুলো মমিনকে দেওয়া হচ্ছে। মমিনদের আর্থিক অবস্থার কথা তাঁর জানা ছিল না। এখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
দুই ছেলে পড়ালেখা করায় আজাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। এ জন্য মমিনকেও ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। ৫ জানুয়ারি সকালে মমিন ভ্যান নিয়ে বের হয়। সারা দিন ভ্যান নিয়ে রাস্তায় ছিল। দুপুরে খাওয়া হয়নি। বিকেলের দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে একটি হোটেলে খাবার খায়। এরপর শিবপুর বাজারের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রী ডাকতে শুরু করে। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর ভ্যানের ওপরই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় মমিন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেই থেকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সে।
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মমিনের বাঁ হাতের কনুই এখনো ফুলে আছে। এক্স-রে করানো হয়েছে। কনুইয়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মেরুদণ্ড বরাবর আরেকটি গুলি রয়েছে। হাসপাতালে আসার পরপরই পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই থেকে তার পায়খানা বন্ধ রয়েছে। পেটের সঙ্গে একটি পাইপ দিয়ে একটি ব্যাগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মমিনের মা মোমেনা বেগম জানান, তাঁরা অন্যের জমিতে থাকেন। দুটি গরু বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। এই গরু কেনার জন্য বেসরকারি একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের কিস্তি এখন পরিশোধ করতে পারছেন না।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, ও (মমিন) সম্ভবত সংঘর্ষের সময় ক্রসফায়ারে পড়েছিল। ওর পায়ুপথটা নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য পেটের সঙ্গে পাইপ দিয়ে অস্থায়ীভাবে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ধাপে ধাপে চিকিৎসাটা এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে যেসব ওষুধের সরবরাহ আছে, সেগুলো মমিনকে দেওয়া হচ্ছে। মমিনদের আর্থিক অবস্থার কথা তাঁর জানা ছিল না। এখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
No comments