রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা- নিজেরাই সমাধানের উদ্যোগ নিন
বাংলাদেশে
যে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের
সংশ্লিষ্টতা দিন দিন বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ ঘোষণা দিয়েছে, সঙ্কট নিরসনে
রাজনীতিবিষয়ক সাবেক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব
দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে তিনি বিবদমান দুই
পক্ষের সাথে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল,
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান জরুরি। এই
নির্বাচনের পর সবার অংশগ্রহণে দ্রুততম সময়ে আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করা
হবে।
দুর্ভাগ্য, সরকার এখন আর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাইছে না। ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এবং বাকি আসনে পাঁচ শতাংশের কম ভোট পাওয়ার পরও নির্বাচিত সরকার হিসেবে মেয়াদ পূরণের দাবি করা হচ্ছে। একই সাথে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার হরণ করে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছে। অপর দিকে, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎশেষে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, সব পক্ষকে তার পরিণতি ভেবে দেখার কথা বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা বিরোধী দলের সাথে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন; কিন্তু সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরো বাড়তে থাকবে।
একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়া নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা ও অপমানের। কিন্তু জোরপূর্বক ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতার কারণে এই সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকার ও বিরোধী পক্ষের কাছে আহ্বান জানাব, আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের আগেই নিজেরাই সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নিন। সরকারের উচিত, নতুন নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করা। আর এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকতে পারে।
দুর্ভাগ্য, সরকার এখন আর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাইছে না। ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এবং বাকি আসনে পাঁচ শতাংশের কম ভোট পাওয়ার পরও নির্বাচিত সরকার হিসেবে মেয়াদ পূরণের দাবি করা হচ্ছে। একই সাথে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার হরণ করে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছে। অপর দিকে, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎশেষে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, সব পক্ষকে তার পরিণতি ভেবে দেখার কথা বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা বিরোধী দলের সাথে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন; কিন্তু সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরো বাড়তে থাকবে।
একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়া নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা ও অপমানের। কিন্তু জোরপূর্বক ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতার কারণে এই সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সরকার ও বিরোধী পক্ষের কাছে আহ্বান জানাব, আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের আগেই নিজেরাই সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নিন। সরকারের উচিত, নতুন নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করা। আর এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকতে পারে।
No comments