বরিশালে সরকারি সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ by সাইফুর রহমান
(তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার সরকারি সিলিন্ডার সরবরাহ করা হতো প্রতি মাসে। হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় দেড় মাস ধরে তা বন্ধ রয়েছে।) হরতাল-অবরোধের
কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে সরকারি সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ
কারণে গ্যাসসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। কর্তৃপক্ষের দাবি,
নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভোক্তাদের অভিযোগ, বেসরকারি কোম্পানিগুলোর গ্যাস সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও সরকারি চার কোম্পানি সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করছে না। সড়কপথে সমস্যা থাকলে নৌপথে আনা যেতে পারে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গত ডিসেম্বরের পর আর কোনো গ্যাস সরবরাহ করেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মেঘনা এবং যমুনা অয়েল কোম্পানি বরিশালের ডিপো থেকে জানা যায়, প্রতি মাসে বরিশালে গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এর মধ্যে পদ্মা ডিপো ১ হাজার ২০০ সিলিন্ডার, মেঘনা ৮০০ সিলিন্ডার এবং যমুনা ডিপো থেকে ১ হাজার ২০০ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হতো। গত জানুয়ারি মাসে অবরোধ শুরু হওয়ার পর নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের কালীবাড়ি সড়ক, হাসপাতাল রোড গুপ্ত কর্নার, শিতলাখোলা বটতলা এলাকায় বেসরকারি গ্যাস ক্লিনহিট, বসুন্ধরা, টোটাল গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। অন্যদিকে সরকারি গ্যাস মেঘনা, যমুনা ও পদ্মার সরবরাহকারীদের কাছে গিয়ে জানা গেছে, তাঁরা প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
মেঘনা অয়েল কোম্পানি বরিশালের ডিপোর ব্যবস্থাপক এস এম আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মাসে ৮০০ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হতো। সারা দেশে হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমা মেরে যেভাবে বাস-ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে গ্যাসের মতো দাহ্য পদার্থ পরিবহন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস আসছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি গ্যাস কোম্পানিগুলো গ্যাস সরবরাহ করলেও সরকারি গ্যাস হরতাল-অবরোধের নামে বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর। দ্রুত সরকারি গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বরিশালের গ্যাস ব্যবসায়ী পঙ্কজ গুপ্ত বলেন, নাশকতার ঝুঁকি থাকলেও বেসরকারি গ্যাস পরিবেশকেরা গ্যাস সরবরাহ করছেন। সরকারি গ্যাসের তুলনায় বেসরকারি গ্যাসের দাম তো বেশি হবেই। বেসরকারি গ্যাস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পদ্মা গ্যাসের সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম জানান, স্বাভাবিক সময় ১ হাজার ২০০ বোতল গ্যাস বরিশালে আসত। এখন গ্যাসই আসছে না। ফলে গ্রাহকেরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরকারি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী শাহাবউদ্দিন খান বলেন, ‘সরকারি গ্যাস ৮০০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু গত মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে বেসরকারি গ্যাস কিনতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) যমুনা অয়েল কোম্পানির বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিন নৌপথে আনলেও গ্যাস আসে ট্রাকে। জানুয়ারির শুরু থেকে হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, বেসরকারি কোম্পানিগুলোর গ্যাস সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও সরকারি চার কোম্পানি সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করছে না। সড়কপথে সমস্যা থাকলে নৌপথে আনা যেতে পারে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গত ডিসেম্বরের পর আর কোনো গ্যাস সরবরাহ করেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মেঘনা এবং যমুনা অয়েল কোম্পানি বরিশালের ডিপো থেকে জানা যায়, প্রতি মাসে বরিশালে গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এর মধ্যে পদ্মা ডিপো ১ হাজার ২০০ সিলিন্ডার, মেঘনা ৮০০ সিলিন্ডার এবং যমুনা ডিপো থেকে ১ হাজার ২০০ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হতো। গত জানুয়ারি মাসে অবরোধ শুরু হওয়ার পর নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের কালীবাড়ি সড়ক, হাসপাতাল রোড গুপ্ত কর্নার, শিতলাখোলা বটতলা এলাকায় বেসরকারি গ্যাস ক্লিনহিট, বসুন্ধরা, টোটাল গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। অন্যদিকে সরকারি গ্যাস মেঘনা, যমুনা ও পদ্মার সরবরাহকারীদের কাছে গিয়ে জানা গেছে, তাঁরা প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
মেঘনা অয়েল কোম্পানি বরিশালের ডিপোর ব্যবস্থাপক এস এম আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মাসে ৮০০ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হতো। সারা দেশে হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমা মেরে যেভাবে বাস-ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে গ্যাসের মতো দাহ্য পদার্থ পরিবহন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস আসছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি গ্যাস কোম্পানিগুলো গ্যাস সরবরাহ করলেও সরকারি গ্যাস হরতাল-অবরোধের নামে বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর। দ্রুত সরকারি গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বরিশালের গ্যাস ব্যবসায়ী পঙ্কজ গুপ্ত বলেন, নাশকতার ঝুঁকি থাকলেও বেসরকারি গ্যাস পরিবেশকেরা গ্যাস সরবরাহ করছেন। সরকারি গ্যাসের তুলনায় বেসরকারি গ্যাসের দাম তো বেশি হবেই। বেসরকারি গ্যাস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পদ্মা গ্যাসের সরবরাহকারী নজরুল ইসলাম জানান, স্বাভাবিক সময় ১ হাজার ২০০ বোতল গ্যাস বরিশালে আসত। এখন গ্যাসই আসছে না। ফলে গ্রাহকেরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরকারি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী শাহাবউদ্দিন খান বলেন, ‘সরকারি গ্যাস ৮০০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু গত মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে বেসরকারি গ্যাস কিনতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) যমুনা অয়েল কোম্পানির বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিন নৌপথে আনলেও গ্যাস আসে ট্রাকে। জানুয়ারির শুরু থেকে হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
No comments