ইউক্রেন সংকটের মেঘ কাটছে
ইউক্রেন
সংকট অবসানে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউক্রেন প্যাকেজ
চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলারুশের মিনস্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো
দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা প্রায় বিরতিহীন আলোচনা চালানোর পর ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান
এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপের জটিলতম এই সংকটের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান সহজসাধ্য ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সংকট জিইয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে শুরু থেকেই রাশিয়া অভিযোগ করে আসছিল। আবার ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন নিয়ে দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে ওয়াশিংটন পাল্টা অভিযোগ করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ইউক্রেনে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে এবং অনেক বিশেষজ্ঞ ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে বিশ্ব পারমাণবিক যুদ্ধে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। নওম চমস্কি পর্যন্ত এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। ফলে ইউরোপের নেতৃস্থানীয় দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের ওপর শান্তি সন্ধানের পক্ষে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। মিনস্ক চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত এই দুই নেতার আপ্রাণ চেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে অনুষ্ঠান কভার করতে আসা প্রায় সব সাংবাদিক মতপ্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের বর্তমান সংঘর্ষ লাইন থেকে ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সম্পাদিত মিনস্ক মেমোরেন্ডামে বর্ণিত দূরত্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। শনিবার থেকে বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র বিরতি কার্যকর হবে। উভয়পক্ষকে নিজ নিজ ভারী অস্ত্রশস্ত্রগুলো ফায়ার রেঞ্জের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। ১৪ দিনের মধ্যে এই অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে উভয়পক্ষকেই। একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে নিরাপত্তা এলাকা হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে চুক্তিতে, যাতে কোনো অছিলায় কোনো পক্ষ থেকেই উস্কানি দিয়ে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গ্রুপ (ওএসসিই) ত্রিদেশীয় কন্ট্রাক্ট গ্রুপের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াটি মনিটর করবে। এখানে রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। রাশিয়ার পত্রিকা প্রাভদার ভাষ্য দেখে মনে হয় পুতিন প্রশাসন এই চুক্তিতে বেশ খুশি হয়েছে। ইউরোপের সমস্যা ইউরোপই সমাধান করুক, যুক্তরাষ্ট্র তাতে নাক গলানোর সুযোগ না পাক_ তাই চাইছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এই চুক্তির ফলে তার ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রচিত স্ট্র্যাটেজি জয়লাভ করল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইউরোপের জন্যও এটা একটা বড় স্বস্তির। দীর্ঘস্থায়ী, এমনকি ভবিষ্যৎ পারমাণবিক যুদ্ধের বিপদ থেকে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা হলো। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে রাশিয়াকে তার অবস্থান থেকে একচুলও নড়ানো যাবে না সেটাই হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া শুরু করেছিল ইউরোপের অধিকাংশ দেশ। গ্রিসের নবনির্বাচিত বামপন্থি সরকার তো প্রকাশ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করেছিল। কিছুদিনের মধ্যে স্পেনে নির্বাচন হবে। সেখানেও সম্ভাব্য বিজয়ী দল হিসেবে যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে তারা সংবাদ সম্মেলন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইউরোপের বেশকিছু দেশের বাম-ডান নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা শুরু করেছে। তারা ইউরোপের আমেরিকানির্ভর বৈদেশিক নীতির পরিবর্তে ইউরোপের স্বার্থের অনুকূল স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের আওয়াজ তোলেন।
ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি নিষেজ্ঞার কারণে উভয়পক্ষই আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এদিকে ইউরোপ আরও একটি মারাত্মক আর্থিক মন্দা পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই বিরোধ জিইয়ে রাখা কোনোক্রমেই উচিত হবে না বলে মনে করেছে ইইউ। কারণ আরও একটি আর্থিক মন্দা ইউরোপের ঐক্যকেই মারাত্মক হুমকির মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। এমনকি ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরো পর্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হতে পারে। তাই ইউরোপের বড় শক্তি হিসেবে জার্মানি ও ফ্রান্স বৃহস্পতিবার মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে এতটা ব্যাগ্র ছিল। রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ সারা রাত ও সকাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে উপনীত হওয়াকে 'ইউরোপের জন্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচা' বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এই অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে বৈশ্বিক একটা সংঘাতের অবসানও ঘটানো গেল। তবে চুক্তির সাফল্য নির্ভর করবে উভয়পক্ষের অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেওয়া ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ওপর। ডনটেস্ক ও লহানস্কর স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো অবশ্য অনেক দেনদরবার করেছেন বৈঠকে।
তবে মিনস্ক চুক্তি আদৌ সম্পাদিত হতে পারবে কি-না সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বরাবর সন্দেহ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত অ্যান্ড্রু হিগিন্সের নিবন্ধে ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধাানের ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আদৌ আন্তরিক কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
কথায় বলে, সব ভালো তার শেষ ভালো যার। ইউরোপের নেতৃবৃন্দ মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ইউরোপকে সম্ভাব্য যুদ্ধের বিপদ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হলে তার জন্য তারা প্রশংসিত হতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকেও নিশ্চয়ই এর প্রতিফলন ঘটবে।
নিউইয়র্ক টাইমস, প্রাভদা, ইতার-তাস নিউজ ও
ইকোনমিস্ট অবলম্বনে সুভাষ সাহা
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপের জটিলতম এই সংকটের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান সহজসাধ্য ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সংকট জিইয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে শুরু থেকেই রাশিয়া অভিযোগ করে আসছিল। আবার ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন নিয়ে দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে ওয়াশিংটন পাল্টা অভিযোগ করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ইউক্রেনে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে এবং অনেক বিশেষজ্ঞ ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে বিশ্ব পারমাণবিক যুদ্ধে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। নওম চমস্কি পর্যন্ত এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। ফলে ইউরোপের নেতৃস্থানীয় দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের ওপর শান্তি সন্ধানের পক্ষে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। মিনস্ক চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত এই দুই নেতার আপ্রাণ চেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে অনুষ্ঠান কভার করতে আসা প্রায় সব সাংবাদিক মতপ্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের বর্তমান সংঘর্ষ লাইন থেকে ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সম্পাদিত মিনস্ক মেমোরেন্ডামে বর্ণিত দূরত্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। শনিবার থেকে বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র বিরতি কার্যকর হবে। উভয়পক্ষকে নিজ নিজ ভারী অস্ত্রশস্ত্রগুলো ফায়ার রেঞ্জের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। ১৪ দিনের মধ্যে এই অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে উভয়পক্ষকেই। একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে নিরাপত্তা এলাকা হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে চুক্তিতে, যাতে কোনো অছিলায় কোনো পক্ষ থেকেই উস্কানি দিয়ে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গ্রুপ (ওএসসিই) ত্রিদেশীয় কন্ট্রাক্ট গ্রুপের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াটি মনিটর করবে। এখানে রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। রাশিয়ার পত্রিকা প্রাভদার ভাষ্য দেখে মনে হয় পুতিন প্রশাসন এই চুক্তিতে বেশ খুশি হয়েছে। ইউরোপের সমস্যা ইউরোপই সমাধান করুক, যুক্তরাষ্ট্র তাতে নাক গলানোর সুযোগ না পাক_ তাই চাইছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। এই চুক্তির ফলে তার ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রচিত স্ট্র্যাটেজি জয়লাভ করল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইউরোপের জন্যও এটা একটা বড় স্বস্তির। দীর্ঘস্থায়ী, এমনকি ভবিষ্যৎ পারমাণবিক যুদ্ধের বিপদ থেকে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা হলো। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে রাশিয়াকে তার অবস্থান থেকে একচুলও নড়ানো যাবে না সেটাই হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া শুরু করেছিল ইউরোপের অধিকাংশ দেশ। গ্রিসের নবনির্বাচিত বামপন্থি সরকার তো প্রকাশ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করেছিল। কিছুদিনের মধ্যে স্পেনে নির্বাচন হবে। সেখানেও সম্ভাব্য বিজয়ী দল হিসেবে যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে তারা সংবাদ সম্মেলন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইউরোপের বেশকিছু দেশের বাম-ডান নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা শুরু করেছে। তারা ইউরোপের আমেরিকানির্ভর বৈদেশিক নীতির পরিবর্তে ইউরোপের স্বার্থের অনুকূল স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের আওয়াজ তোলেন।
ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি নিষেজ্ঞার কারণে উভয়পক্ষই আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এদিকে ইউরোপ আরও একটি মারাত্মক আর্থিক মন্দা পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই বিরোধ জিইয়ে রাখা কোনোক্রমেই উচিত হবে না বলে মনে করেছে ইইউ। কারণ আরও একটি আর্থিক মন্দা ইউরোপের ঐক্যকেই মারাত্মক হুমকির মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। এমনকি ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরো পর্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হতে পারে। তাই ইউরোপের বড় শক্তি হিসেবে জার্মানি ও ফ্রান্স বৃহস্পতিবার মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে এতটা ব্যাগ্র ছিল। রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ সারা রাত ও সকাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে উপনীত হওয়াকে 'ইউরোপের জন্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচা' বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এই অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে বৈশ্বিক একটা সংঘাতের অবসানও ঘটানো গেল। তবে চুক্তির সাফল্য নির্ভর করবে উভয়পক্ষের অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেওয়া ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ওপর। ডনটেস্ক ও লহানস্কর স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো অবশ্য অনেক দেনদরবার করেছেন বৈঠকে।
তবে মিনস্ক চুক্তি আদৌ সম্পাদিত হতে পারবে কি-না সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বরাবর সন্দেহ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত অ্যান্ড্রু হিগিন্সের নিবন্ধে ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধাানের ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আদৌ আন্তরিক কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
কথায় বলে, সব ভালো তার শেষ ভালো যার। ইউরোপের নেতৃবৃন্দ মিনস্ক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ইউরোপকে সম্ভাব্য যুদ্ধের বিপদ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হলে তার জন্য তারা প্রশংসিত হতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকেও নিশ্চয়ই এর প্রতিফলন ঘটবে।
নিউইয়র্ক টাইমস, প্রাভদা, ইতার-তাস নিউজ ও
ইকোনমিস্ট অবলম্বনে সুভাষ সাহা
No comments