বইয়ের মেলা প্রাণের মেলা- দেখা পেলেম ফাল্গুনে by আনিসুল হক
বইমেলাও গতকাল সেজেছিল বসন্তের রঙে l প্রথম আলো |
এত
দিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে—দেখা পেলেম ফাল্গুনে। বইমেলা যাদের
জন্য বসে ছিল, গতকাল পয়লা ফাল্গুনে বুঝি তাদের দেখা মিলল।
বেলা ১১টায় গেট খুলেছে, বাইরে তখন দীর্ঘ সারি, ভেতরে আবৃত্তি করে চলেছে শিশুরা, মূল মঞ্চে। বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে, মাথায় ফুলের মালা জড়িয়ে এসেছেন নারীরা, পুরুষদেরও অনেকেরই পরিধানে ছিল পাঞ্জাবি। একে তো বসন্তের প্রথম দিবস, তার ওপর শুক্রবারের ছুটির দিন। মেলায় ঢল নেমেছিল মানুষের। দল বেঁধে এসেছেন নারী-পুরুষ, বাবা-মায়ের আঙুল ধরে এসেছে শিশুরা, জুটি বেঁধে এসেছে তরুণ-তরুণীরাও। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না-হতেই মেলা রূপ নিল একেবারে মেলার—মেলা বই, মেলা মানুষ, মেলা বিক্রি, মেলা হইচই। টিএসসি তো জনসমুদ্র! বর্ধমান হাউসের লাগোয়া আমগাছে মুকুল এসেছে, সন্ধ্যার দিকে দখিনা সমীরণও বইতে শুরু করল, কৃষ্ণপক্ষের কোকিলও ডেকে উঠল তারপর, কোথায় কোন গাছের ডালে। মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। সেলফি তুলতে তুলতে ছেলেমেয়েরা কিনছে প্রিয় লেখকের বই, কেউ কেউ খুঁজছে কবিতার বই। ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিনটি যে ভালোবাসারও দিন। আজকের দিনে প্রিয়জনকে বই উপহার দিতে হয়। সত্তরের দশকে মুক্তধারা পোস্টার প্রকাশ করেছিল—প্রিয়জনকে বই উপহার দিন, সেসব কথা মনে পড়ে কোনো প্রবীণের।
গতকাল সকালবেলা সূর্য সেন হলের বাইরের গেটের কাছে, মুহসীন হলের মাঠে বসেছিল রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের স্মৃতিতর্পণ অনুষ্ঠান। ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে এই হলের গেটেই সরকারি গুন্ডাদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন বসুনিয়া। এর দুই বছর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের মিছিলে গুলি হলে হতাহত হয়েছিল অনেকে। সেসব ছাপিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি এখন ভ্যালেন্টাইনস দিবস হিসেবেই বেশি পালিত হয়। গতকালের মেলায়ও ছিল তার রেশ। ভালোবাসার মানুষটিকে উপহার দেওয়ার জন্য বই কিনছিলেন অনেকেই।
কিন্তু মেলার বিক্রেতারা খুশি হয়েছিলেন সেই সব ক্রেতার দেখা পেয়ে, যাঁরা হাতে নিয়ে এসেছিলেন বইয়ের তালিকা, আর এক স্টল থেকেই কিনছিলেন অনেকগুলো করে বই। তেমনি একজনকে দেখা গেল ক্রেতাদের সারিতে, কবি মুহাম্মদ সাদিক, প্রথমার স্টল থেকে কিনলেন অনেকগুলো মননশীল বই; যেমন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নাগরিকদের জানা ভালো। সেখান থেকে গেলেন আরেক স্টলে, দুই হাতে ব্যাগভর্তি বই, কিনেই চলেছেন।
তরুণ পাঠকেরা খুশি ছিল। কাল মেলায় এসেছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলন, মোহিত কামাল। ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন আর লেখক আহমদ মাযহার, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা কিংবা মাহিদুল ইসলামকে তো দেখা যায় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারের মঞ্চেই। পারভেজ চৌধুরী কিংবা মাহবুব আজিজকেও দেখা গেল মেলায়, নতুন কবিতার বইয়ে স্বাক্ষর দিচ্ছিলেন আজিজ, সলজ্জ ভঙ্গিমায়।
বিক্রেতারা গতকাল ছিলেন খুশি, ফাল্গুনের বাতাস এসে জুড়িয়ে দিল যেন তাঁদের। আজ তাঁরা অপেক্ষা করছেন পাঠকদের ভালোবাসার পরিচয় পেতে, বইয়ের প্রতি, ভাষার প্রতি, সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ভালোবাসা দিবসে আসবেন পাঠকেরা, এই তাঁদের আশা।
বেলা ১১টায় গেট খুলেছে, বাইরে তখন দীর্ঘ সারি, ভেতরে আবৃত্তি করে চলেছে শিশুরা, মূল মঞ্চে। বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে, মাথায় ফুলের মালা জড়িয়ে এসেছেন নারীরা, পুরুষদেরও অনেকেরই পরিধানে ছিল পাঞ্জাবি। একে তো বসন্তের প্রথম দিবস, তার ওপর শুক্রবারের ছুটির দিন। মেলায় ঢল নেমেছিল মানুষের। দল বেঁধে এসেছেন নারী-পুরুষ, বাবা-মায়ের আঙুল ধরে এসেছে শিশুরা, জুটি বেঁধে এসেছে তরুণ-তরুণীরাও। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না-হতেই মেলা রূপ নিল একেবারে মেলার—মেলা বই, মেলা মানুষ, মেলা বিক্রি, মেলা হইচই। টিএসসি তো জনসমুদ্র! বর্ধমান হাউসের লাগোয়া আমগাছে মুকুল এসেছে, সন্ধ্যার দিকে দখিনা সমীরণও বইতে শুরু করল, কৃষ্ণপক্ষের কোকিলও ডেকে উঠল তারপর, কোথায় কোন গাছের ডালে। মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। সেলফি তুলতে তুলতে ছেলেমেয়েরা কিনছে প্রিয় লেখকের বই, কেউ কেউ খুঁজছে কবিতার বই। ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিনটি যে ভালোবাসারও দিন। আজকের দিনে প্রিয়জনকে বই উপহার দিতে হয়। সত্তরের দশকে মুক্তধারা পোস্টার প্রকাশ করেছিল—প্রিয়জনকে বই উপহার দিন, সেসব কথা মনে পড়ে কোনো প্রবীণের।
গতকাল সকালবেলা সূর্য সেন হলের বাইরের গেটের কাছে, মুহসীন হলের মাঠে বসেছিল রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের স্মৃতিতর্পণ অনুষ্ঠান। ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে এই হলের গেটেই সরকারি গুন্ডাদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন বসুনিয়া। এর দুই বছর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের মিছিলে গুলি হলে হতাহত হয়েছিল অনেকে। সেসব ছাপিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি এখন ভ্যালেন্টাইনস দিবস হিসেবেই বেশি পালিত হয়। গতকালের মেলায়ও ছিল তার রেশ। ভালোবাসার মানুষটিকে উপহার দেওয়ার জন্য বই কিনছিলেন অনেকেই।
কিন্তু মেলার বিক্রেতারা খুশি হয়েছিলেন সেই সব ক্রেতার দেখা পেয়ে, যাঁরা হাতে নিয়ে এসেছিলেন বইয়ের তালিকা, আর এক স্টল থেকেই কিনছিলেন অনেকগুলো করে বই। তেমনি একজনকে দেখা গেল ক্রেতাদের সারিতে, কবি মুহাম্মদ সাদিক, প্রথমার স্টল থেকে কিনলেন অনেকগুলো মননশীল বই; যেমন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নাগরিকদের জানা ভালো। সেখান থেকে গেলেন আরেক স্টলে, দুই হাতে ব্যাগভর্তি বই, কিনেই চলেছেন।
তরুণ পাঠকেরা খুশি ছিল। কাল মেলায় এসেছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলন, মোহিত কামাল। ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন আর লেখক আহমদ মাযহার, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা কিংবা মাহিদুল ইসলামকে তো দেখা যায় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারের মঞ্চেই। পারভেজ চৌধুরী কিংবা মাহবুব আজিজকেও দেখা গেল মেলায়, নতুন কবিতার বইয়ে স্বাক্ষর দিচ্ছিলেন আজিজ, সলজ্জ ভঙ্গিমায়।
বিক্রেতারা গতকাল ছিলেন খুশি, ফাল্গুনের বাতাস এসে জুড়িয়ে দিল যেন তাঁদের। আজ তাঁরা অপেক্ষা করছেন পাঠকদের ভালোবাসার পরিচয় পেতে, বইয়ের প্রতি, ভাষার প্রতি, সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ভালোবাসা দিবসে আসবেন পাঠকেরা, এই তাঁদের আশা।
No comments