নিপীড়িতদের সঞ্চিত শক্তি পরাক্রমশালীকে পরাস্ত করেছে by ড. এম মুজিবুর রহমান
বর্তমান
সময়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দেশ শাসনে তুলনামূলকভাবে একটি বেটার পন্থা
। গণতন্ত্রকে যেমন একদিনে প্রাতিষ্টানিক রূপ দেয়া যায় না, ঠিক এমনিভাবে
তথাকথিত সংবিধান বা পরিপক্ষতার দোহাই দিয়ে ন্যূনতম কিছু বিষয় ছাড়া একে
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাও বলা যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরশাসকেরা
তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে তাদের মত করে
ব্যাখা বিশ্লেষণ করে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করেছেন। যেমন ছিল সামরিক শাসক
আইয়ূব খানের বেসিক ডেমোক্রেসি, শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় বাক্শাল এবং
সর্বশেষ ২০০৭ সালে জেনারেল মইন উদ্দিনের বাংলাদেশ উপযোগী গণতন্ত্র
প্রবর্তনের ব্যর্থ চেষ্টা। মধ্যখানে অকাতরে ঝরে গেছে অসংখ্য মানুষের তাজা
প্রাণ। তবে সকল সময়েই দেশের জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য
অধিকার আদায় করে নিয়েছে। আবার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েও অনেক হয়ে
উঠেছেন পৃথিবীর ঘৃণ্য স্বৈরশাসকে যার প্রমাণ হিটলার। ঠিক এমনিভাবে বর্তমানে
দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নামে চলছে পুরোপুরি একনায়কতান্ত্রিক
সিভিলিয়ান স্বৈরশাসন। বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশের কোনো রাজনৈতিক
দলই বর্তমান সরকারকে একটি নির্বাচিত বা গণতান্ত্রিক সরকার বলে স্বীকার
করেনি। বরং একে একটি এবনরমাল বা আজব কিসিমের সরকার ব্যবস্থা বলে অভিহিত
করেছেন। কারণ এখানে তথাকথিত সরকারি দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা সরকারের
কেবিনেটে স্থান করে নেন। সরকারি দলের বিশেষ দূত হয়ে কাজ করেন গৃহপালিত
বিরোধী দলের দলীয় প্রধান.. আরো কত কি ! ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন ও
প্রশাসন প্রসঙ্গে খোন্দকার মোশতাক সরকারের মন্ত্রী সভার শপথ অনুষ্ঠান
পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম
ছাত্রলীগের একটি সভায় কারচুপি ও নগ্নভাবে প্রশাসনযন্ত্র ব্যবহারের আসল
রহস্য ফাঁস করে দিয়েছেন। যা কি না বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সর্বোপরি গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে শতভাগ
পরিপন্থী। আর এসব অসংখ্য কারণেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন
বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে । অধিকাংশ ভোটারবিহীন ও
প্রার্থীবিহীন ঐ নির্বাচন ছিল ভোটচুরি, ভোট দখলের এক বিকৃত মানসিকতার
নির্বাচন । নির্বাচনের নামে তামাশা আর জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে মশকরা
হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে দেশ ও দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করেছে।
নির্বাচনের আগেই কে সরকার গঠন করবে তাও নিশ্চত হয়েছিল। যার মাধ্যমে জয়
হয়েছে আওয়ামী জিদ আর হেরেছে বাংলাদেশ, কলঙ্কিত হয়েছে গণতান্ত্রিক সমাজ
ব্যবস্থা। ৫ জানুয়ারির ঠিক আগে ও পরে নিজেদের দ্বারা সংশোধিত সংবিধানের
বিভিন্ন অনুচ্ছেদের বরখেলাপ নিয়েও দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা তাদের মতামত
ব্যক্ত করেছিলেন। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে তখন এক ধরনের
দাম্ভিকতা আর নির্লজ্জ আস্ফালন লক্ষ্য করা যায়। ভোটারবিহীন, ভোটচুরি আর
ভোটদখল করে যারা আজ জগদ্দল পাথরের মতো দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় জেঁকে বসেছে,
দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধমে তারা শুধু দেশের জনসাধারণকেই ভোগান্তিতে ফেলছে
না বরঞ্চ দেশের বিজ্ঞ ও গুণীজনের সাথে এবং বিদেশী বন্দুপ্রতিম
রাষ্ট্রসমূহের সাথেও চরম অবমাননাকর আচরণ দেখাচ্ছে। বিদেশী কুটনৈতিকদের
সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সে ভব্যতা ও শিষ্টাচারটুকুও দেখাতে তারা ব্যর্থ ।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যেখানে নিজের স্বকীয়তা বহাল রেখে একে অন্যের
পরিপূরক হয়ে কাজ করতে হয়, সেখানে বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা জবরদখল করে
আছেন তাদের এই অব্যাহত দেউলিয়া আচরণ জাতিকে গোটা বিশ্বের কাছে এক ঘরে করে
রাখার পাশাওয়াশি অসম্মানিতও করেছে এবং জাতি হিসেবে আমাদের সকলের ভাবমূর্তিও
প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে । গণআন্দোলনের ডাক বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও ফাসিবাদী
আচরণের মাধ্যমে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে । বিদেশী গণমাধ্যমে ফলাও
করে এ খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও
বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র সমূহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
করে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছে । বিরোধী
দলের সভা সমাবেশ তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ
করেছে। বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র বন্দী। দুর্নীতি, দুঃশাসন, জুলুম নির্যাতনে
মানুষ অসহায়। গণতন্ত্রের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে
অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
বেগম খালেদা জিয়াকে নিজেদের মা হিসেবে দেখে থাকেন। আর মাকে যদি তাদের কাছে
আসতে দেয়া না হয়,সন্তান হিসেবে তাদের সকলের উচিত মাকে মুক্ত করা। তাই
বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা আজ অবরুদ্ধ দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করতে বদ্ধ
পরিকর। তাদের একটাই শপথ বাকশালীদের হাত থেকে দেশ মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র
মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত
করতে হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার পতন
না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনের গন্তব্য শেখ হাসিনার
বিদায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন। তাই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বেগম
খালেদা জিয়া সর্বাত্বক গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আন্দোলনের অপরিহার্যতা
বর্তমানে দেশে একটি অনির্বাচিত সরকার পুলিশ, বিজেবি ও র্যা ব দ্বারা
পরিবেষ্টিত হয়ে আছে। স্বাধীনতার পর থেকে দুর্নীতির উত্তাপিত অভিযোগের চেয়ে
গত ছয় বছরে দুর্নীতি ও অপশাসনের যে সামান্য অংশ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায়
মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে শুধুমাত্র সেই অংশটুকুও অনেক অনেক বেশী । সকলেই
জানে জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ইনডেমনিটি দিয়ে যারা
কুইক রেন্টালের নামে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, তাদের
বিচার হবে। শেয়ার মার্কেটের দুর্নীতির মাধ্যমে যারা ৩৫ লক্ষ্য লোককে পথে
বসিয়েছে তাদের বিচার হবে। হলমার্ক কেলেঙ্কারী ও অগণিত ব্যাংক দুর্নীতির
মাধ্যমে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তাদের বিচার হবে । তারা
জানে, আইটি সেক্টরে দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়
উপদেষ্টা পরিচয়ে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন, তারও বিচার হবে। গত কয়েক
বছরে সাধারণ জনগণসহ অগণিত বিরোধী নেতা কর্মীদের যারা হত্যা গুম খুন করেছে
তাদের বিচার হবে। সিলেটের গণমানুষের নেতা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস
আলীসহ যারা গুম হয়েছেন তাদের পরিবার ও শুভাকাঙ্খীরা তাদের নেতাদের গুমের
বিচারের জন্য সোচ্চার হবেন এবং এর বিচার হবে । বিডিআর বিদ্রোহের নামে
মুখোশধারীরা যেভাবে বাংলাদেশের গর্ব মুক্তিযুদ্ধের গর্ব সেনা কর্মকর্তাদের
হত্যা করেছিল, এর বিচার হবে। তারা জানে, বিএনপিসহ বিরোধী জোটের হাজার হাজার
নেতাকর্মীকে যারা হত্যা করেছে এর বিচার হবে। তারা জানে, হেফাজতে ইসলামের
নেতাকর্মী খুন-হত্যা করা হয়েছে। এর বিচার হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনিসহ সকল
সাংবাদিকের হত্যা ও গুমের বিচার হবে। এসব বিচারের মুখোমুখী হবার ভয়েই
প্রয়োজনে জবরদখলকারীরা মানুষ খুন করে গুম করে হলেও ক্ষমতা দখল করে রাখতে
চায়। আওয়ামী লীগ যে ধারায় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে, তাতে সচেতনমহল শঙ্কিত।
আর স্বাভাবিক নিয়মে ক্ষমতার পালাবদলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই
প্রধান বাধা। আর এতে করে রাজনীতিতে সহনশীলতা কমে যাচ্ছে এবং দেশে বিভাজনের
রাজনীতির মাধ্যমে রক্তপাত এমনকি গৃহযুদ্ধের সভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না ।
একমাত্র সর্বাত্মক আন্দোলনই পারে একজন কট্টর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ শাসককে তার
অবস্থান থেকে সরিয়ে জনগণের কাতারে নামাতে। সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করে,
আন্দোলন ব্যতিত বর্তমান জবরদখলকারীরা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে না। এমনকি
সকলের অংশগ্রহণনমূলক, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন এদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
কারণ গত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিরোধী দল সমূহের সমর্থিত
বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় জনগণের সমর্থন কোন দিকে তাও
পরিষ্কার হয়ে গেছে। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনেও বিরোধী প্রার্থীদের বিজয়
দেখে এটা কোনোভাবেই আশা করা উচিত হবে না যে বর্তমান জবরদখলকারীরা নিরপেক্ষ
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মত হবে। অর্থনৈতিক লুটপাটের
মাধ্যমে দেশকে আবার তলাবিহীন ঝুড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়
মূল্যবোধ এখন তলানিতে । শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে একেবারে ভিতর থেকে
শেষ করে দেয়া হচ্ছে। এখন ৫ম শ্রেণীর প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ফাস হয়। এ কিসের
আলামত ? কৃত্রিমভাবে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে একটা অকার্যকর দুর্বল জাতি সৃষ্টি
করা হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো, সমস্যা চিহ্নিত না করে বরং আত্মতুষ্টির
আস্ফালন করা হচ্ছে। এতে করে আমাদের ভবিষ্যত জেনারেশনকে চিরতরে পঙ্গু করে
দেয়া হচ্ছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল দ্বারা দেশ সয়লাব করে দিয়ে আমাদের তরুণ
শক্তিকে মাদসাক্তের মাধ্যমে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা হচ্ছে। দেশের বর্ডারে
অগণিত মাদকের কারখানা কিসের ইঙ্গিত বহন করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও
জবরদখলকারীদের ছাত্র ও যুব সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ দ্বারা হত্যা গুম করে
দেশকে একটি গুম নামক কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। তাই অর্থনৈতিক লুটপাটে,
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যারা হত্যা গুমের সাথে এবং আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর যে অংশটি বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তারা মরিয়া হয়ে এ সরকারের
পক্ষে কাজ করবে বিধায় বিজয় অর্জনে সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন আজ সময়ের দাবি ।
ইতিহাস স্বাক্ষী যখনই শাসক শ্রেণী তার বিরোধী পক্ষকে দমিয়ে রাখতে তাদের ওপর
দমন নিপীড়ন করেছে তখনই নিপীড়িতদের সঞ্চিত শক্তি সেই পরাক্রমশালীকে পরাস্ত
করেছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে তিউনিসিয়া, মিশর, ইয়ামেন, লিবিয়া যার উদাহরণ।
লিবিয়া এবং মিশরের শাসকরা যেভাবে তার সকল বাহিনীকে প্রস্তুত করেছিলেন
আওয়ামী লীগ সরকার তা কখনই পারবে না। এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানও রক্ষীবাহিনী,
লালবাহিনী গঠন করেও যেহেতু এদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেন নাই- তাই
একতরফাভাবে গায়ের জোরে ক্ষমতায় কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকে থাকতে পারেনি
আগামীতেও পারবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি, আঞ্চলিকতা, সহবস্থান, সংস্কৃতিতে
এটি সম্ভবও নয়। একজন স্বৈরাচার জনগণের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে পারে। তবে
একটি সাধারণ ভুলও তাকে ইতিহাসের নর্দমায় ফেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ ।
গণআন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ আজ এ সত্যটি প্রতিষ্ঠিত করার
দ্বারপ্রান্তে । জনগণ কখনোই স্বৈরাচারের কাছে পরাজিত হয়নি। আর তাই তো
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক সাহসী সাংবাদিক নুরুল কবির বলেছেন,
'বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেবল জনগণের সমর্থনই হারায় নি, ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার
যোগ্যতাও হারিয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে গিয়ে দেশে নিরাপদ এবং
শান্তিতে থাকবে সে ব্যবস্থাও তারা রাখে নি।' ড. এম মুজিবুর রহমান: গবেষক ও
রাজনৈতিক বিশ্লেষক,সাবেক সহকারী অধ্যাপক শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
No comments