পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় কক্সবাজার ছাড়লেন পর্যটকেরা
(কক্সবাজারে
আটকা পড়া পর্যটকদের গাড়ির বহরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। গতকাল বিকেল
চারটায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো) পরিবার,
বন্ধুদের নিয়ে কয়েকটা দিন আনন্দে কাটাতে শহর ছেড়ে সমুদ্রে বেড়াতে এসেছিলেন
তাঁরা। উত্তাল সাগরের ঢেউ, সবুজ পাহাড় আর ঝরনার সৌন্দর্যে ভুলে থাকতে
চেয়েছিলেন শহরের রোজকার একঘেয়ে জীবন। তবে তাঁদের সে আনন্দ মাটি হতে বেশি
সময় লাগেনি! কক্সবাজারে নেমেই অবরোধের কবলে পড়েন পাঁচ শতাধিক পর্যটক।
লাগাতার অবরোধে আটকা পড়া এসব পর্যটক পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় কক্সবাজার
ছেড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ৫১টি গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা
দেন তাঁরা। কক্সবাজারের কয়েকজন হোটেলমালিক জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু
হওয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধের কারণে শহরের বিভিন্ন
হোটেল-মোটেলে আটকা পড়েছিলেন এসব পর্যটক। গতকাল সকালে পুলিশি পাহারায়
তাঁদের চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। গাড়ি ছাড়ার আগে গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রী
ঢাকার কমলাপুরের গৃহবধূ আকলিমা জান্নাত বলেন, ‘অবরোধে আটকা পড়ে ভয়ের
মধ্যে ছিলাম, এখন পুলিশ পাহারায় ভিআইপির মর্যাদায় বাড়ি ফিরতে পারছি।’
পর্যটকদের গাড়িবহরের নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ৫১টি গাড়ির মধ্যে মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়িসহ ২৫টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ছিল। এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, পর্যটকবাহী এসব গাড়িকে ঢাকা পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে টানা হরতাল, অবরোধের সময়ও আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন চার-পাঁচ হাজার পর্যটককে বিমান ও সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, পুলিশি পাহারায় পর্যটকবাহী বাসগুলোকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে। গাড়িবহর যে এলাকায় পৌঁছাবে, সে অঞ্চলের পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। গ্রিনলাইন পরিবহন কক্সবাজারের পরিচালক সুলতান আহমদ বলেন, বেলা ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আগে-পিছে পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় ১১টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গ্রিনলাইন, একটি সোহাগ, একটি টিআরসহ ৫১টি গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বিকেল চারটায় গাড়িবহরটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকা অতিক্রম করেছে।
পর্যটকদের গাড়িবহরের নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ৫১টি গাড়ির মধ্যে মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়িসহ ২৫টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ছিল। এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, পর্যটকবাহী এসব গাড়িকে ঢাকা পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে টানা হরতাল, অবরোধের সময়ও আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন চার-পাঁচ হাজার পর্যটককে বিমান ও সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, পুলিশি পাহারায় পর্যটকবাহী বাসগুলোকে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে। গাড়িবহর যে এলাকায় পৌঁছাবে, সে অঞ্চলের পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। গ্রিনলাইন পরিবহন কক্সবাজারের পরিচালক সুলতান আহমদ বলেন, বেলা ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আগে-পিছে পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় ১১টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গ্রিনলাইন, একটি সোহাগ, একটি টিআরসহ ৫১টি গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বিকেল চারটায় গাড়িবহরটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকা অতিক্রম করেছে।
No comments