মন্ত্রীদের মুখে ইসলামের কথা ভণ্ডামি: রিজভী
আওয়ামী
লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রীদের মুখে ইসলামের কথা ‘ভণ্ডামি’ ছাড়া কিছু
নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আাজ
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীর একটি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে
রিজভী এ মন্তব্য করেন। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে অবরোধ কর্মসূচি
নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের জবাবে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্ব
ইজতেমা শুরু হয়েছে। অবরোধও চলছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে
সংবিধানে আল্লাহর নাম সংযোজন করেছিলেন, এই সরকার সংবিধান থেকে মহান আল্লাহর
নাম মুছে ফেলেছে। সরকারের যে মন্ত্রী পবিত্র হজ, মহানবী ও তাবলিগ জামাত
সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন, তাঁকে কারাগারে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। এ রকম
ভণ্ড, প্রতারক সরকারের মুখে ইসলামের কথা ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়।’ রিজভী
চলমান অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার অবৈধ বন্দুকধারীদের মতো দেশ শাসন করছে। কোনো বেআইনি
সরকার এভাবে দেশ পরিচালনার অধিকার রাখে না। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান
জানাব, সব শক্তি ও সাহস নিয়ে রাজপথ, রেলপথ-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি সফল
করুন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ রিজভী অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে মানসিক ও শারীরিকভাবে পর্যুদস্ত করতে এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই, সরকার করছে না। দেশে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার হিড়িক পড়েছে। ন্যায় ও স্বাধীন মত প্রকাশকে সরকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। তিনি এই পথ থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান। অবরোধ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের এই অবরোধ কর্মসূচি ন্যায়ের জন্য, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, স্বাধীন মত প্রতিষ্ঠার জন্য। এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই অবৈধ সরকার পতনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পাবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ রিজভী অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে মানসিক ও শারীরিকভাবে পর্যুদস্ত করতে এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই, সরকার করছে না। দেশে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার হিড়িক পড়েছে। ন্যায় ও স্বাধীন মত প্রকাশকে সরকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। তিনি এই পথ থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান। অবরোধ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের এই অবরোধ কর্মসূচি ন্যায়ের জন্য, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, স্বাধীন মত প্রতিষ্ঠার জন্য। এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই অবৈধ সরকার পতনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পাবে।’
খালেদার কার্যালয়ের তালা আবার খুলেছে
রাজধানীর
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা
খোলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফটকের তালা আবার খোলা দেখা
গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানের ওই কার্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা গোপনে
খুলে নেওয়ার পর রাতে আবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য তালা খোলা ও লাগানোর
কথা পুলিশের কেউ স্বীকার করেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়ানো নারী পুলিশ সদস্যরা কিছুটা সরে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় ফটকের তালা খোলা দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের আগে কোনো এক সময় তালা খোলার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার আটকে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর তা আবার খুলে দেওয়া হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে শেষ দফায় আবার তালা লাগানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আগের মতো কড়াকড়ি রয়েছে। গুলশান-২-এর ৮৬ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, এই কার্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে আগের মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাহারাও আগের মতো বহাল। কার্যালয়ের এক পাশে একটি জলকামান, আরেক পাশে দুটি প্রিজন ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। ফটকের দুই পাশে ও কার্যালয়ের সামনে ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মুখে পুরুষ পুলিশ সদস্যদের রাস্তা আটকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এর মধ্যেই বিশিষ্টজনেরা সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। স্বজনেরা তাঁকে খাবার সরবরাহ করেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতো রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়ানো নারী পুলিশ সদস্যরা কিছুটা সরে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় ফটকের তালা খোলা দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের আগে কোনো এক সময় তালা খোলার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার আটকে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর তা আবার খুলে দেওয়া হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে শেষ দফায় আবার তালা লাগানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আগের মতো কড়াকড়ি রয়েছে। গুলশান-২-এর ৮৬ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, এই কার্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে আগের মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাহারাও আগের মতো বহাল। কার্যালয়ের এক পাশে একটি জলকামান, আরেক পাশে দুটি প্রিজন ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। ফটকের দুই পাশে ও কার্যালয়ের সামনে ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মুখে পুরুষ পুলিশ সদস্যদের রাস্তা আটকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এর মধ্যেই বিশিষ্টজনেরা সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। স্বজনেরা তাঁকে খাবার সরবরাহ করেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতো রয়েছে বলে জানা গেছে।
No comments