গাড়ি চালাতে হবে, পোড়ালে ক্ষতিপূরণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন খালেদা: ইনু
২০
দলীয় জোটের ডাকে চলা টানা অবরোধে সড়কে গাড়ি চালাতে বললেন স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, অবরোধের সময় রাস্তায়
গাড়ি বের করতে হবে। এসময় কোন যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের যথাযথ
ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাস, ট্রাকসহ
সবধরণের যানবাহনই এর আওতাভুক্ত। বিষয়টি আমাকে আপনাদের জানিয়ে দিতে বলেছেন
প্রধানমন্ত্রী। পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
শুক্রবার বিকালে সারাদেশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর গাবতলীতে এ
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পরিবহনের মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত
ছিলেন।
জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন খালেদা: ইনু
বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিকে ‘হঠকারি পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার মধ্য দিয়ে জনগণের ওপর রাগ ঝাড়ছেন। জনগণের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা ও মহানগর শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু এসব কথা বলেন।
টঙ্গীতে চলমান বিশ্ব ইজতেমার মধ্যে অবরোধ রাখার সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘মুসলমানদের ইজতেমা উনি (খালেদা জিয়া) সহ্য করতে পারেন না। কারণ, ওনার পেছনে রাজাকাররা আছে, জামায়াতিরা আছে। ওরা ইজতেমার বিরুদ্ধে। সেজন্য এই তবলিগ জামাতকে ধ্বংস করার জন্য খালেদা জিয়া অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে খালেদা জিয়াকে ‘অমানবিক নেত্রী’ বলে অভিহিত করেন ইনু। বলেন, ‘আপনার দিলে একটু রহম আনেন। জেএসসি পরীক্ষার সময় আপনি হরতাল দিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা সামনে। আপনার দিলে যদি রহম না আসে, প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোর হবে।’
এ ছাড়া লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এটা অবরোধ নয়। কোথায় আপনার কর্মী? আপনার জনগণ কই? আপনি এক হাজার লোক দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন, একটা গুলিও মারব না আমরা। কিন্তু আমি জানি আপনি নাশকতায় বিশ্বাস করেন।’
সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেওয়া সাত দফা প্রস্তাবে ‘কৌশলে’ যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীদের মুক্তির জন্য ‘ওকালতি’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো খালেদা জিয়াকে আটকাইনি। আমরা হঠকারি খালেদা জিয়ার উসকানি বন্ধ করতে চেয়েছি।’
জাসদ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি রফিকুল হক খোকনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিকে ‘হঠকারি পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার মধ্য দিয়ে জনগণের ওপর রাগ ঝাড়ছেন। জনগণের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা ও মহানগর শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু এসব কথা বলেন।
টঙ্গীতে চলমান বিশ্ব ইজতেমার মধ্যে অবরোধ রাখার সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘মুসলমানদের ইজতেমা উনি (খালেদা জিয়া) সহ্য করতে পারেন না। কারণ, ওনার পেছনে রাজাকাররা আছে, জামায়াতিরা আছে। ওরা ইজতেমার বিরুদ্ধে। সেজন্য এই তবলিগ জামাতকে ধ্বংস করার জন্য খালেদা জিয়া অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে খালেদা জিয়াকে ‘অমানবিক নেত্রী’ বলে অভিহিত করেন ইনু। বলেন, ‘আপনার দিলে একটু রহম আনেন। জেএসসি পরীক্ষার সময় আপনি হরতাল দিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা সামনে। আপনার দিলে যদি রহম না আসে, প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোর হবে।’
এ ছাড়া লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এটা অবরোধ নয়। কোথায় আপনার কর্মী? আপনার জনগণ কই? আপনি এক হাজার লোক দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন, একটা গুলিও মারব না আমরা। কিন্তু আমি জানি আপনি নাশকতায় বিশ্বাস করেন।’
সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেওয়া সাত দফা প্রস্তাবে ‘কৌশলে’ যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীদের মুক্তির জন্য ‘ওকালতি’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো খালেদা জিয়াকে আটকাইনি। আমরা হঠকারি খালেদা জিয়ার উসকানি বন্ধ করতে চেয়েছি।’
জাসদ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি রফিকুল হক খোকনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
অসুস্থ হলে হাসপাতালে যান, খালেদাকে মায়া
ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসার ভার আওয়ামী লীগ নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি খালেদা জিয়াকে এ পরামর্শ দেন।
বিশ্ব ইজতেমার সময় অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘নাস্তিকতার’ পরিচয় দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন ত্রাণমন্ত্রী।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্ব ইজতেমা সফল করার জন্য পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষ যেন ইজতেমায় আসতে না পারেন, সে জন্য খালেদা জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। এটা কোনো আস্তিক করতে পারেন না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, ‘অসুস্থ হলে হাসপাতালে যান। আপনি সুস্থ থাকেন, আওয়ামী লীগ এটা চায়। দরকার হয় চিকিৎসার ভার আওয়ামী লীগ গ্রহণ করবে।’
একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। তাদের এজেন্ডা তত্ত্বাবধায়ক নয়, এদের আসল উদ্দেশ্য খালেদা-তারেকের মামলা প্রত্যাহার করা। তাদের কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, বিচার থেকে তিনি রেহাই পাবেন না। তাই তিনি এখন অসুস্থতার ভান করছেন।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সব কর্মসূচি সফল করতে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক প্রমুখ।
ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসার ভার আওয়ামী লীগ নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি খালেদা জিয়াকে এ পরামর্শ দেন।
বিশ্ব ইজতেমার সময় অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘নাস্তিকতার’ পরিচয় দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন ত্রাণমন্ত্রী।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্ব ইজতেমা সফল করার জন্য পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষ যেন ইজতেমায় আসতে না পারেন, সে জন্য খালেদা জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। এটা কোনো আস্তিক করতে পারেন না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, ‘অসুস্থ হলে হাসপাতালে যান। আপনি সুস্থ থাকেন, আওয়ামী লীগ এটা চায়। দরকার হয় চিকিৎসার ভার আওয়ামী লীগ গ্রহণ করবে।’
একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। তাদের এজেন্ডা তত্ত্বাবধায়ক নয়, এদের আসল উদ্দেশ্য খালেদা-তারেকের মামলা প্রত্যাহার করা। তাদের কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, বিচার থেকে তিনি রেহাই পাবেন না। তাই তিনি এখন অসুস্থতার ভান করছেন।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সব কর্মসূচি সফল করতে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সস্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক প্রমুখ।
No comments