কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
(কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বজলুর রহমান। ছবিটি বৃহস্পতিবার রাতে তোলা। ছবি: প্রথম আলো) কুষ্টিয়ায়
বজলুর রহমান মোল্লা (৩২) নামের এক যুবককে পুলিশের এক সদস্য নির্যাতন
করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবক গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ শুক্রবার দুপুরে ছাড়পত্র নিয়ে
বাড়ি চলে গেছেন। বজলুর রহমান সদর উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নবিছদ্দিন
মোল্লার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বজলুর
ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর
উপজেলার পাটিকাবাড়ীতে একটি মাটিবোঝাই ট্রলির ধাক্কায় আকাশ নামের এক শিশুর
মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও দুই শিশু। এ ঘটনার পর স্থানীয় পাটিকাবাড়ী
ক্যাম্পের পুলিশ ট্রলির মালিক বাদশা মিয়াকে ট্রলিটিসহ আটক করে ক্যাম্পে
নেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নিহত শিশুটির পরিবারের
সঙ্গে ট্রলির মালিক বাদশার সমঝোতা হয় এবং বাদশাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেল
চারটার দিকে বাদশার চাচাতো ভাই বজলুর রহমান পুলিশ ক্যাম্প থেকে মাটিবোঝাই
ট্রলিটি আনতে যান। এ সময় ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল আনারুল ইসলাম
বজলুরকে ক্যাম্পে মাটি নামিয়ে ট্রলি নিয়ে যেতে বলেন। বজলুর মাটি নামাতে
না চাইলে আনারুল তাঁকে বেধড়ক পেটান।
বজলুর বলেন, তিনি আনারুলকে বলেছিলেন মাটি নামানোর জন্য কোদাল, বেলচার দরকার, যা তাঁর কাছে ছিল না। এ কারণে তিনি মাটি নামাতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে পরে তাঁর ভাই বাদশা থানায় মাটি দিয়ে যাবেন। বজলুর বলেন, এ কথা বলার পরই আনারুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। তাঁকে মাটিতে ফেলে সারা শরীরে পাড়াতে থাকেন। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটান। খবর পেয়ে বজলুরের চাচা আবদুল মালেক পাটিকাবাড়ী বাজার থেকে ক্যাম্পে গিয়ে পুলিশের সদস্য আনারুলের দেখানো স্থানে ট্রলি থেকে মাটি নামিয়ে দেন। পরে বজলুরকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। অভিযোগের ব্যপারে জানাতে চাওয়া হলে পুলিশের সদস্য আনারুল মুঠোফোনে বলেন, ট্রলির মাটি ফেলা নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে একটু ‘ধাক্কাধাক্কি’ হয়েছে। মারধরের অভিযোগ ঠিক না। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায় বলেন, ‘মাটি ফেলা নিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে এক যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। শুনেছি ওই যুবককে সে একটা থাপড় দিয়েছিল। এতে হাসপাতালে ভর্তি হবার কথা নয়।’ তবে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ওই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বজলুর বলেন, তিনি আনারুলকে বলেছিলেন মাটি নামানোর জন্য কোদাল, বেলচার দরকার, যা তাঁর কাছে ছিল না। এ কারণে তিনি মাটি নামাতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে পরে তাঁর ভাই বাদশা থানায় মাটি দিয়ে যাবেন। বজলুর বলেন, এ কথা বলার পরই আনারুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। তাঁকে মাটিতে ফেলে সারা শরীরে পাড়াতে থাকেন। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটান। খবর পেয়ে বজলুরের চাচা আবদুল মালেক পাটিকাবাড়ী বাজার থেকে ক্যাম্পে গিয়ে পুলিশের সদস্য আনারুলের দেখানো স্থানে ট্রলি থেকে মাটি নামিয়ে দেন। পরে বজলুরকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। অভিযোগের ব্যপারে জানাতে চাওয়া হলে পুলিশের সদস্য আনারুল মুঠোফোনে বলেন, ট্রলির মাটি ফেলা নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে একটু ‘ধাক্কাধাক্কি’ হয়েছে। মারধরের অভিযোগ ঠিক না। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায় বলেন, ‘মাটি ফেলা নিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে এক যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। শুনেছি ওই যুবককে সে একটা থাপড় দিয়েছিল। এতে হাসপাতালে ভর্তি হবার কথা নয়।’ তবে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ওই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments