যে গ্রামের ব্যাংক, বাড়ি কোথাও দরজা নেই
গ্রামের কোনো ঘরেই দরজা নেই। অফিসে ঝুলে না তালা। এমনকি ব্যাংকের দরজাও রাতদিন খোলা। কাউকে পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘরের গয়নাগাটি, অফিসের কাগজপত্র, ব্যাংকের টাকা সবই ঠিকঠাক মতো থাকছে। ভয় নেই চুরি যাওয়ার। এমন নিশ্চিন্ত ও প্রাকৃতিক নিরাপত্তার গ্রাম শনি শিংনাপুর। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই গ্রামে প্রতিটি বাড়িই দরজা ছাড়া। তাদের উন্মুক্ত ঘর পাহারা দেন গ্রহরাজ শনিদেব। চুরি করতে চাইলে ঘাড় মটকে দেবে শনিদেব।
এই বিশ্বাস ও ভরসাই নিশ্চিত করেছে গ্রামের নিরাপত্তা। বংশ পরম্পরায় চলে আসা গ্রামের এই প্রথা সম্পর্কে জানতে চাইলে গৃহবধূ জয়শ্রী গাদে বলেন, বহু বছর আগে শনিদেব গ্রামবাসীদের স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের ঘরে কোনো দরজা রাখার দরকার নেই। আমিই তোমাদের সবকিছু রক্ষা করব।’ গ্রামের বাসিন্দাদের মতে, শক্তিমান ও করুণাময় শনিদেবের কথায় কেউ ঘরে দরজা রাখেনি। লোককথা অনুযায়ী, প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামে ভয়াবহ বন্যায় সবকিছু ভেসে যায়। তখন লোহা ও পাথর দিয়ে শনিদেবের স্তম্ভ বানানো হয়। এখন খোলা মাঠে ফুল দিয়ে গ্রহরাজকে পূজা দেয়া হয়। শনিদেবকে শনি গ্রহের মতো বিশাল ও শক্তিশালী মনে করা হয়। কারখানা শ্রমিক বালাসাহেব বরুদ বলেন, ‘শনিদেবের এতই ক্ষমতা- কেউ যদি চুরি করে সারা রাত হেঁটে ভাবে গ্রামের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু সকালে যখন সূর্য উঠবে, তখন দেখবে সে আসলে সেই ঘরেই রয়ে গেছে।’ ডেইলি মেইল, এএফপি।
No comments