বর্ধমান বিস্ফোরণে জড়িত ৩৪ জনের তালিকা হস্তান্তর
বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে ৩৪ জনের নামের একটি তালিকা দিয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও আইনশৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধি দল এ তালিকা হস্তাস্তর করে। তবে যে নামের তালিকা দেয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বাংলাভাষাভাষি হলেও তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী কিরা এনআইএ সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দেয়নি। সংখ্যার বিষয়টি উল্লেখ না করলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অল্পসংখ্যক দুষ্কৃতকারীর তালিকা দিয়েছে এনআইএ দল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। এই তালিকা যাচাই-বাছাই করে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হবে।
এদিকে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) প্রতিনিধি দলকে সহায়তা এবং জঙ্গি সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই কমিটি এনআইএর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করবে। বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশী জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত কিনা, তা জানতে সোমবার এনআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২ দিনের সফরে সোমবার ঢাকা এসেছে। প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এসে প্রথম দিনেই স্বরাষ্ট্র সচিবসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। তবে বৈঠক শেষে এনআইএ প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। রাতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনআইএ প্রতিনিধি দলের ফের বৈঠকের কথা রয়েছে। মঙ্গলবার দেশের একটি সীমান্তবর্তী এলাকাও সফর করতে পারে প্রতিনিধি দলটি। তবে এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না।
জঙ্গি তৎপরতা রোধে এটাই ভারতীয় কোনো শীর্ষ তদন্ত সংস্থার বাংলাদেশ সফর।
সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের এই ঘটনায় তারা (এনআইএ) মনে করে দুষ্কৃতকারীরা ভারতের লোকও হতে পারে আবার বাংলাদেশেরও হতে পারে। এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের সহযোগিতা করতে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো দুষ্কৃতকারী থাকলে এনআইএকে এ কমিটির মাধ্যমে আইনানুগ সহযোগিতা দেয়া হবে।
প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক খান বলেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। তবে তাদের ধারণা, বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু দুষ্কৃতকারী রয়েছে। এ জন্য দুদেশ যৌথভাবে কাজ করবে। আমরা চাই না দুদেশে কোনো দুষ্কৃতকারী থাকুক। তারা দেশ ও জনগণের শত্র“।
দুই নেত্রীকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিষয়টি আজ আপনাদের কাছে জানলাম। এর আগেও সংবাদ মাধ্যম থেকে শুনেছি। এ বিষয়েও তাদের (এনআইএ) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন, এনআইএ প্রতিনিধি দলটি সোম ও মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফর করবে। গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা মাঠ পর্যায়ে সফর করতে পারে। তবে কোথায় সফর করবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেছুর রহমান, সিআইডির প্রধান মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এনআইএ মহাপরিচালক শারদ কুমার ও উপ-মহাপরিদর্শক সজীদ ফরিদসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি এবং ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও বর্ধমান বিস্ফোরণ ও জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত ৩৪ জঙ্গির তালিকা দেয়ার কথা জানান। ২ অক্টোবর ওই বোমা বিস্ফোরণে শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল নামে দুজন নিহত এবং আবদুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তারা জেএমবির সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানতে পারে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সাজিদ নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দার বাসিন্দা বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরোয়। তাতে বলা হয়, এনআইএর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদীয়া জেলায় ইসলামী রাষ্ট্র গড়ার ছক আঁকছিল জেএমবি। বিস্ফোরণে জড়িত ১০ প্রধান সন্দেহভাজনের যে তালিকা ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা প্রকাশ করে হুলিয়া জারি করে তার মধ্যে তিনজনের বাড়ি বাংলাদেশে বলে জানানো হয়। বৈঠক শেষে স্বরষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা বলেছে বাংলাদেশ ও ভারত দুদেশেই দুষ্কৃতকারী রয়েছে। কাজেই তাদের খুঁজে বের করা দরকার। তারা মনে করে বাংলাদেশেও দুষ্কৃতকারী রয়েছে। এনআইএ প্রতিনিধি দলের এই আবেদনটি একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। এটিকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) প্রতিনিধি দলকে সহায়তা এবং জঙ্গি সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই কমিটি এনআইএর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করবে। বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশী জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত কিনা, তা জানতে সোমবার এনআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২ দিনের সফরে সোমবার ঢাকা এসেছে। প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এসে প্রথম দিনেই স্বরাষ্ট্র সচিবসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। তবে বৈঠক শেষে এনআইএ প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। রাতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এনআইএ প্রতিনিধি দলের ফের বৈঠকের কথা রয়েছে। মঙ্গলবার দেশের একটি সীমান্তবর্তী এলাকাও সফর করতে পারে প্রতিনিধি দলটি। তবে এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না।
জঙ্গি তৎপরতা রোধে এটাই ভারতীয় কোনো শীর্ষ তদন্ত সংস্থার বাংলাদেশ সফর।
সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের এই ঘটনায় তারা (এনআইএ) মনে করে দুষ্কৃতকারীরা ভারতের লোকও হতে পারে আবার বাংলাদেশেরও হতে পারে। এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা চেয়েছে। তাদের সহযোগিতা করতে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো দুষ্কৃতকারী থাকলে এনআইএকে এ কমিটির মাধ্যমে আইনানুগ সহযোগিতা দেয়া হবে।
প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক খান বলেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। তবে তাদের ধারণা, বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু দুষ্কৃতকারী রয়েছে। এ জন্য দুদেশ যৌথভাবে কাজ করবে। আমরা চাই না দুদেশে কোনো দুষ্কৃতকারী থাকুক। তারা দেশ ও জনগণের শত্র“।
দুই নেত্রীকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিষয়টি আজ আপনাদের কাছে জানলাম। এর আগেও সংবাদ মাধ্যম থেকে শুনেছি। এ বিষয়েও তাদের (এনআইএ) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন, এনআইএ প্রতিনিধি দলটি সোম ও মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফর করবে। গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা মাঠ পর্যায়ে সফর করতে পারে। তবে কোথায় সফর করবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেছুর রহমান, সিআইডির প্রধান মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এনআইএ মহাপরিচালক শারদ কুমার ও উপ-মহাপরিদর্শক সজীদ ফরিদসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি এবং ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও বর্ধমান বিস্ফোরণ ও জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত ৩৪ জঙ্গির তালিকা দেয়ার কথা জানান। ২ অক্টোবর ওই বোমা বিস্ফোরণে শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল নামে দুজন নিহত এবং আবদুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তারা জেএমবির সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানতে পারে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সাজিদ নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দার বাসিন্দা বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরোয়। তাতে বলা হয়, এনআইএর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদীয়া জেলায় ইসলামী রাষ্ট্র গড়ার ছক আঁকছিল জেএমবি। বিস্ফোরণে জড়িত ১০ প্রধান সন্দেহভাজনের যে তালিকা ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা প্রকাশ করে হুলিয়া জারি করে তার মধ্যে তিনজনের বাড়ি বাংলাদেশে বলে জানানো হয়। বৈঠক শেষে স্বরষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা বলেছে বাংলাদেশ ও ভারত দুদেশেই দুষ্কৃতকারী রয়েছে। কাজেই তাদের খুঁজে বের করা দরকার। তারা মনে করে বাংলাদেশেও দুষ্কৃতকারী রয়েছে। এনআইএ প্রতিনিধি দলের এই আবেদনটি একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। এটিকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করা হচ্ছে।
No comments