সাবধান চুম্বনে ব্যাকটেরিয়া!
যখন তখন পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকিয়ে ভালবাসার চুম্বন। কিন্তু জানেন কি? সেই চুম্বনে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া! একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে শরীরে ঢুকছে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া। গবেষণায় আরও জানা গেছে, দিনে অন্তত ৯ বার চুম্বন করলে, শরীরে প্রবেশ করে সমপরিমান ব্যাকটেরিয়া। ২১ জোড়া দম্পতির চুম্বন সংক্রান্ত এক সমীক্ষা চালিয়েছে মাইক্রোপিয়া মিউজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের অর্গানাইজেশন ফর অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিফিক রিসার্চ সংস্থা। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, আমাদের মুখে বাসা বাঁধে ৭০০-র বেশি রকমের ব্যাকটেকরিয়া, যা চুম্বনের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। সমীক্ষায় দম্পতিদের চুম্বনের সময়কার আচরণ, দিনে গড়ে কতবার উষ্ণ চুম্বন করেন, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়। তারপর সমীক্ষকরা ওই দম্পতিদের মুখের লালা সংগ্রহ করেন। তাদের জিভের রসে, লালায় লেগে থাকা জীবানুর গঠন পরীক্ষা করতেই লালা নেয়া হয়। তাতে দেখা যায়, প্রেমিক-প্রেমিকারা যখন ঘনিষ্ঠ হয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বেশি চুম্বন করেন, তাদের লালা থেকে উৎসারিত হয় একই রকমের জীবানু। গড়ে দিনে অন্তত ৯ বার চুম্বন হলে দম্পতিদের লালারস থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত হয় পরস্পরের শরীরে। এ ব্যাপারে নেদারল্যান্ডসের গবেষণা দলটির প্রধান রেমকো কোর্ট বলেছেন, পুরো জিভে জিভ ঘষে গভীর চুম্বন ও তা থেকে বেরনো লালারসের আদানপ্রদান মানুষের একটা অভিনব ভালবাসার কায়দা। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম প্রেমিকযুগল কতটা মুখে মুখে ব্যাকটেরিয়া দেয়া নেয়া করে। দেখা যাচ্ছে, যত বেশি চুম্বন, তত ব্যাকটেরিয়া আদান প্রদান হয়। এরপর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ নির্ধারণে নিয়ন্ত্রিত চুম্বনের মাধ্যমে পরীক্ষা চালানো হয়। চুম্বনের আগে প্রত্যেক দম্পতির একজনকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভর্তি প্রোবায়োটিক পানীয় খেতে বলা হয়। সেটি পান করার পর ঘনিষ্ঠ চুম্বনে দেখা যায়, যিনি চুম্বনটি গ্রহণ করেছেন, তার লালারসে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। হিসাব কষে দেখা যায়, ১০ সেকেন্ড স্থায়ী একটি চুম্বনে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া আদানপ্রদান হয়েছে। কোর্ট বলেন, পরীক্ষায় দেখা গেল, যখন তুলনামূলকভাবে বেশি চুম্বন হচ্ছে, তাদের লালারস থেকে বেরচ্ছে একই রকমের ব্যাকটেরিয়া।
No comments