চিরশত্রু সিপিএমের সঙ্গে ঘর বাঁধার ইঙ্গিত মমতার
বিজেপিকে আটকাতে চিরশত্রু সিপিএমের সঙ্গে নির্বাচনী জোট হতে পারে বলে সোমবার দিল্লিতে কার্যত বোমা ফাটালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। জওহরলাল নেহেরুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে দিল্লিতে পৌঁছে মমতা বলেছেন, রাজনীতিতে কেউই অচ্ছুৎ নয়, চিরস্থায়ী শত্রু কেউ হয় না। সবার আগে দরকার দেশের অখণ্ডতা, ঐক্য ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লড়াই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে সিপিএমের সঙ্গে বোঝাপড়া হতেই পারে।
এভাবেই সিপিএমের সঙ্গে ঘর বাঁধার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। কবে এই জোট হবে প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেছেন, সময়ই সে কথা বলবে। আদৌ হবে কিনা তা তো দুপক্ষের বোঝাপড়ায় ঠিক হবে। যার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে, মাঠে-ময়দানে বক্তৃতা করে মমতা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সেই কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়ার ইঙ্গিত দিতেই পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে হইচই পড়ে গেছে। কলকাতার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু অবশ্য মমতার এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিং বলেছেন, বিজেপি যে প্রতিদিনই মানুষের আরও সমর্থন পাচ্ছে তার প্রমাণ সিপিএম, কংগ্রেস এবং মমতা ব্যানার্জি সবাই এক হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে জোট করছে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে এক ফাঁকে বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলে আসেন মমতা। আসলে নরেন্দ্র মোদি দিল্লি না থাকার সুযোগে রাজধানীতে এসে নানা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন মমতা।
সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় বিজ্ঞান ভবনে কংগ্রেস আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পৌঁছান মমতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বলেন, নেহেরু আধুনিক ভারতের রূপকার। এটা কোনো দলীয় অনুষ্ঠান নয়। নেহেরুর জন্মজয়ন্তী পালনের এটা উচিত সময়। কংগ্রেসের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন ১৯ দেশের ৫৫ জন নেতা।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে সীতারাম ইয়েচুরিকে মমতা বলেন, কী করছেন? বিজেপিকে আটকাতে হবে। মমতাকে সমর্থন করে ইয়েচুরিও বললেন, ঠিক। মমতা-ইয়েচুরির এই কথোপকথনেই স্পষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করতে এবং বিজেপিকে রুখতে নেহেরুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেই সূচনা হতে পারে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে রোববার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন মমতা। রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাম্পাদক মুকুল রায়ও। কংগ্রেসের এই শীর্ষ সম্মেলন শেষে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। জানুয়ারীতে বিশ্ববাংলা সম্মেলনে হাজির থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। সোম-মঙ্গল দুদিনব্যাপী দিল্লির এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রাক্তণ রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমন্ত্রণ পেয়েছে তৃণমূল, সপা, আরজেডি, জেডিইউ, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির মতো বাম দল। আমন্ত্রণ করা হয়নি বিজেপিকে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একমাত্র মমতা ব্যানার্জিই উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে তার কুশল বিনিময়ও হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে নামতে সোনিয়া মমতাকেই পাশে চাইছেন। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েও ঝাড়খণ্ডে প্রচারের জন্য আসতে পারেননি আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারে বিশেষ কাজের অজুহাতে কারণে আসেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
এভাবেই সিপিএমের সঙ্গে ঘর বাঁধার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। কবে এই জোট হবে প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেছেন, সময়ই সে কথা বলবে। আদৌ হবে কিনা তা তো দুপক্ষের বোঝাপড়ায় ঠিক হবে। যার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে, মাঠে-ময়দানে বক্তৃতা করে মমতা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সেই কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়ার ইঙ্গিত দিতেই পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে হইচই পড়ে গেছে। কলকাতার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু অবশ্য মমতার এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিং বলেছেন, বিজেপি যে প্রতিদিনই মানুষের আরও সমর্থন পাচ্ছে তার প্রমাণ সিপিএম, কংগ্রেস এবং মমতা ব্যানার্জি সবাই এক হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে জোট করছে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে এক ফাঁকে বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলে আসেন মমতা। আসলে নরেন্দ্র মোদি দিল্লি না থাকার সুযোগে রাজধানীতে এসে নানা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন মমতা।
সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় বিজ্ঞান ভবনে কংগ্রেস আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পৌঁছান মমতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বলেন, নেহেরু আধুনিক ভারতের রূপকার। এটা কোনো দলীয় অনুষ্ঠান নয়। নেহেরুর জন্মজয়ন্তী পালনের এটা উচিত সময়। কংগ্রেসের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন ১৯ দেশের ৫৫ জন নেতা।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে সীতারাম ইয়েচুরিকে মমতা বলেন, কী করছেন? বিজেপিকে আটকাতে হবে। মমতাকে সমর্থন করে ইয়েচুরিও বললেন, ঠিক। মমতা-ইয়েচুরির এই কথোপকথনেই স্পষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করতে এবং বিজেপিকে রুখতে নেহেরুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেই সূচনা হতে পারে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে রোববার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন মমতা। রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাম্পাদক মুকুল রায়ও। কংগ্রেসের এই শীর্ষ সম্মেলন শেষে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। জানুয়ারীতে বিশ্ববাংলা সম্মেলনে হাজির থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। সোম-মঙ্গল দুদিনব্যাপী দিল্লির এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রাক্তণ রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমন্ত্রণ পেয়েছে তৃণমূল, সপা, আরজেডি, জেডিইউ, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির মতো বাম দল। আমন্ত্রণ করা হয়নি বিজেপিকে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একমাত্র মমতা ব্যানার্জিই উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে তার কুশল বিনিময়ও হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে নামতে সোনিয়া মমতাকেই পাশে চাইছেন। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েও ঝাড়খণ্ডে প্রচারের জন্য আসতে পারেননি আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারে বিশেষ কাজের অজুহাতে কারণে আসেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
No comments