বহুদূর যেতে হবে বিলাওয়ালকে
মাত্র ১৯ বছর বয়সে দেশের সবচেয়ে পুরোনো পারিবারিক পরম্পরার রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান হন বিলাওয়াল ভুট্টো। এখন তিনি ২৬ বছরের যুবক। দুঃসময়ে পড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সুদিন ফিরিয়ে আনার জোর চেষ্টা করছেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনীতিতে সাফল্যের মুখ দেখতে তাঁকে বহু দূর যেতে হবে। করতে হবে নতুন কিছু। গত মাসে করাচিতে বিশাল জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিলাওয়াল। সেটাকেই তাঁর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু বলে বর্ণনা করেছে পিপিপি। সেই দিন হাজারো কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশে বিলাওয়াল বলেন, দলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন তিনি। সমস্যা হচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও বিলাওয়ালের পরিবারেই রয়েছেন দেশটির সবচেয়ে ‘কুখ্যাত’ রাজনীতিবিদদের একজন। তিনি আর কেউ নন, বিলাওয়ালেরই বাবা আসিফ আলী জারদারি স্বয়ং।
গত মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন জারদারি। আর সে সময় তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুট্টো পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, ‘বিলাওয়াল বোঝেন, বাবার মতো অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। আবার জারদারি জানেন, ছেলের উদ্দীপনা ও প্রাণশক্তি তাঁর চেয়ে বেশি। তবে পিপিপির নীতিনির্ধারণ, দলীয় নানা কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো জারদারিই নেন। বিলাওয়ালের কর্তৃত্ব কিংবা অভিজ্ঞতা বলতে গেলে নেই।...আসলে জারদারিই প্রধান।’ বিলাওয়ালের মা পিপিপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো আট বছর স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে ২০০৭ সালে দেশের ফেরার পর বোমা হামলায় নিহত হন। নওদেরো গ্রামের বাড়িতে মায়ের পড়ার ঘরে বসে বিলাওয়াল রয়টার্সকে বলেন, ‘বাবা-মা দুজনের কাছ থেকেই রাজনীতির পাঠ নিয়েছি। নিজেকে অগ্রসর রাজনীতিতে যুক্ত করেছি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চাই।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষক জামি চানদি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এ জন্য বিলাওয়ালকে অনেক কিছুই আমূল পাল্টে ফেলতে হবে। নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হতে হবে।’
No comments